প্রচ্ছায়া
মুর্তজা বশীর বাংলাদেশের আধুনিক চিত্রশিল্পের ধারার অন্যতম প্রধান স্রষ্টা, প্রথম প্রজন্মের শিল্পী। ঢাকার সরকারি চারুকলা ইনস্টিটিউট থেকে ১৯৫৪ সালে তিনি স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন। তাঁর উচ্চশিক্ষা ফ্লোরেন্সের একাদেমি দ্যেল্ বেল্লে র্আতিতে ১৯৫৬-৫৮ সালে এবং প্যারিসের ইকোল নাসিওনাল সুপিরিয়র দ্য বোঁজ আর্তে ১৯৭১-৭৩ সালে। দেশ-বিদেশে তিনি পুরস্কৃত হয়েছেন এবং বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় সম্মান একুশে পদকে ভূষিত হয়েছেন। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় চারুকলা বিভাগে দীর্ঘকাল অধ্যাপনা করে অবসর জীবনযাপন করছেন ঢাকায়। তাঁর একাধিক কাব্যগ্রন্থ ও উপন্যাস পাঠক-সমালোচকের মনোযোগ আকর্ষণ করেছে। সম্প্রতি বাংলার ইতিহাস নিয়ে গবেষণামূলক গ্রন্থ প্রকাশ করেছেন তিনি। মুর্তজা বশীরই একমাত্র চিত্রকর, যাঁর সাহিত্যের নানা শাখায় আগ্রহ ও সৃষ্টিশীল কর্ম আছে।
শক্তিশালী ড্রইং, রঙের সুমিত ব্যবহার এবং সমাজচেতনায় উদ্দীপিত দৃষ্টিভঙ্গি মুর্তজা বশীরকে দিয়েছে স্বাতন্ত্র্য। বহু মাধ্যমে তিনি কাজ করেছেন : ছাপচিত্র, জলরং, তেলরং, মিশ্রমাধ্যম। তেলরঙেই তাঁর সিদ্ধি সমধিক। তিনি অনেক সিরিজের শিল্পী : দেয়াল, শহিদ-শিরোনাম, পাখা, রমণী, কলেমা তৈয়বা। প্রতিটিই স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্যে ম-িত। বাস্তব ও বির্মূত এই দুই ধারায় তিনি দক্ষ।
তাঁর রমণী-চিত্রমালায় বাঙালি নারীর আনন্দ-বেদনা, কোমলতা-দৃঢ়তা, স্বভাবসৌন্দর্য ও চর্চিত বৈশিষ্ট্য – এসবের সমন্বয় ঘটেছে। তেলরঙে আঁকা এই ছবিটির সংগ্রাহক আবুল খায়ের। ছবিটি ১৯৯৮ সালে আঁকা।
Leave a Reply
You must be logged in to post a comment.