প্রতিবিম্বিত আলোকছটা

গুপী বাঘার সঙ্গে

রবীন্দ্রনারায়ণ চৌধুরী

কোডেক্স l কলকাতা, ২০২০ l ১৫০ টাকা 

নিমতিতায় সত্যজিৎ

রবীন্দ্রনারায়ণ চৌধুরী

কোডেক্স l কলকাতা, ২০১২ l ১৭৫ টাকা

এই লেখাটা শুরু করতে গিয়ে মনে পড়ল একটি ইংরেজি বাক্যবন্ধ – ‘রিফ্লেক্টেড গ্লোরি’। আমি তার বঙ্গানুবাদ দিয়ে এই লেখার শিরোনাম করেছি। এই মুহূর্তে আমার সামনে রয়েছে রয়েছে দুখানা কৃশকায় বই – নিমতিতায় সত্যজিৎ ও গুপী বাঘার সঙ্গে। লেখক রবীন্দ্রনারায়ণ চৌধুরী। বলতে দ্বিধা নেই এই দুখানা বই আমার চোখের সামনে নিয়ে এলো অজানা অনেক তথ্য। অনতি অতীতের বিস্মৃতপ্রায় কিছু স্মৃতিচিত্র। আমি মুগ্ধ, বিস্মিত।

লেখক নিমতিতার ওই জমিদারবাড়ির সন্তান। তাঁর পিতামহ মহেন্দ্রনারায়ণ চৌধুরীর তিন পুত্র – প্রতাপকুমার, রাধারঞ্জন ও রাধারমণ। রবীনবাবুর জন্মদাতা রাধারমণ হলেও মেজভাই নিঃসন্তান রাধারঞ্জন তাঁকে দত্তক নিয়েছিলেন তাঁর মাত্র ছ-মাস বয়সে। ছ-বছর বয়সে রীতিমতো যাগযজ্ঞ করে তাঁকে পুত্র হিসেবে গ্রহণ করা হয়। পরবর্তীকালে সবটা লেখক জানলেও নিজের বাবাকে কাকা এবং মাকে কাকিমা সম্বোধন করেছেন সবসময়। একথা সুবিদিত যে, নিমতিতার ওই জমিদারবাড়ির খ্যাতি সত্যজিৎ রায়ের জলসাঘর ছায়াছবির জন্যে। আমরা যেমন জানি জয়শলমিরের কেল্লা সুপরিচিত ‘সোনার কেল্লা’ নামে। পর্যটকদের সুললিত ভাষায় ওই কেল্লার বর্ণনায় উঠে আসে বিখ্যাত ওই ছবির শুটিংপর্বের নানা ঘটনা এবং দুর্ঘটনার সরস প্রতিবেদন। একই রকমভাবে এই নিমতিতার জমিদারবাড়ির বিশ্বজোড়া সুনাম জুটলেও সেই বাড়ি অযত্ন ও অবহেলায় আজ ধ্বংসের মুখে। তবু ইতিহাসের প্রলেপ তো লেগেই থাকে জায়গাটার পরতে পরতে। ভাবতে ভালো লাগে, এই একই লোকেশনে স্বয়ং সত্যজিৎ রায় তাঁর একাধিক ছবির শুটিং করেছেন। জলসাঘর ছাড়াও ওই তালিকাভুক্ত হয়েছে সত্যজিৎ রায়ের আরো দুটো ছবি – দেবী ও তিন কন্যার সমাপ্তি। এছাড়া তাঁর প্রামাণ্যচিত্র রবীন্দ্রনাথের ‘গগনে মন্দ্রিল ডমরু গুরু গুরু’ গানের দৃশ্যায়নে এখানকার লোকেশন ব্যবহৃত হয়েছিল। এমনকি মণিহারা ছবিতেও এই লোকেশনে গৃহীত একটি শট ব্যবহার করা হয়েছিল।

নানা সূত্র থেকে সন্ধান পেয়ে সত্যজিৎ রায় নিমতিতার এই বাড়ি, ওখানকার নদীতীর তথা আশপাশের বিস্তীর্ণ জায়গাগুলোকে জলসাঘর ছবির জন্যে নির্বাচিত করেন। পরে জানতে পারেন, লেখক তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায় ওই বাড়ির জমিদারকে নিয়েই তাঁর গল্পের কাঠামো দাঁড় করান। ক্ষয়িষ্ণু জমিদারতন্ত্রের প্রতিভূ হিসেবে এই বাড়ি, নদীতীর তথা বিস্তীর্ণ ধুধু প্রান্তর ছবিকে এক অন্য মাত্রা দেয়। যাঁরা ছবিটা দেখেছেন, তাঁরা জানেন জলসাঘরের জন্যে কতখানি সুপ্রযুক্ত হয়েছিল এই লোকেশন। আসলে পরিচালক হিসেবে সত্যজিৎ শুরু থেকেই অনন্য ছিলেন। পথের পাঁচালী যে-ইতিহাস রচনা করেছিল তার অব্যবহিত পরেই অপরাজিত ছবির নির্মাণ ছিল পরিচালকের দক্ষতার অন্যতম এক উজ্বল নিদর্শন। এর পরের ছবিই হলো জলসাঘর।

এই ছবির শুটিং করতে আসা সত্যজিৎ রায় তথা তাঁর ইউনিটের অন্যদের মুখোমুখি হয়েছিলেন লেখক তাঁর তেরো বছর বয়সে। অদম্য কৌতূহল আর উত্তুঙ্গ সন্ধিৎসা তাঁকে চলচ্চিত্র নির্মাণের প্রতি আকৃষ্ট করে তোলে। তাই খুব কাছ থেকে নিবিড়ভাবে লেখক সাক্ষী ছিলেন মহান স্রষ্টার এক অনবদ্য সৃষ্টির। নিমতিতায় সত্যজিৎ সেই অভিজ্ঞতারই ফসল। আটষট্টি বছর পরে স্মৃতিকে ঝালাই করে লেখক আমাদের উপহার দিয়েছেন বইটি। এজন্যে লেখক তথা প্রকাশক পাঠকের কৃতজ্ঞতা-ধন্যবাদ অবশ্যই পাবেন। স্মৃতির ওপর নির্ভর করে লেখক একে একে তুলে এনেছেন অনেক অজানা তথ্য, যা কৌতূহলী পাঠককে তৃপ্ত করবে। সত্যজিৎচর্চায় এ-গ্রন্থ তাই এক মর্যাদাবান ভূমিকা পালন করেছে।

মনে রাখা দরকার, শুধু জলসাঘর নয়, নিমতিতায় সত্যজিৎ রায় আরো তিনটি ছবির আংশিক দৃশ্যগ্রহণ করেছিলেন। বলা বাহুল্য, সব সময়েই লেখক শুটিংপর্ব প্রত্যক্ষ করেছেন। ইউনিটের লোকজন তো বটেই, স্বয়ং পরিচালক লেখক রবীন্দ্রনারায়ণের কর্মদক্ষতা ও অনুসন্ধিৎসার প্রশংসা করেছেন একাধিকবার এবং তা প্রকাশ্যে।

কৃশকায় হলেও গ্রন্থখানির পৃষ্ঠায় পৃষ্ঠায় ছড়িয়ে অনেক অজানিত তথ্য। বিশ্ববরেণ্য একজন স্রষ্টাকে এত কাছ থেকে দেখার সৌভাগ্য কজনার হয়! সুখের কথা, সেই অভিজ্ঞতার ঝুলিকে তিনি এতদিন পরে নিঃসঙ্কোচে উপুড়  করে দিয়েছেন অগণিত পাঠকের দরবারে । তাঁর দেখার চোখটা যেমন স্বচ্ছ তেমন লেখার ভঙ্গিটিও অসাধারণ। যে-কারণে এই বইকে পরমাদরে গ্রহণ করেছেন পাঠকবর্গ। বলা বাহুল্য, লেখক হিসেবে প্রথম গ্রন্থেই বাজিমাত করেছেন তিনি।

গ্রন্থের ছত্রে ছত্রে সত্যজিৎ রায়ের তিনটি ছবির নির্মাণপর্বের অনেক অজানা কাহিনি ছড়িয়ে রয়েছে। প্রসঙ্গক্রমে এসেছে সত্যজিৎ  রায়ের  ইউনিটের  মানুষজন  তথা  অভিনেতাদের কথা। কর্মাধ্যক্ষ অনিল চৌধুরীর পাশাপাশি এসেছে শিল্পনির্দেশক বংশী চন্দ্রগুপ্তের কথা, ক্যামেরাম্যান সুব্রত মিত্র ও সৌমেন্দু রায়ের কথা। পাশাপাশি এসে গেছে অভিনেতা ছবি বিশ্বাস, সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়, শর্মিলা ঠাকুর, অপর্ণা সেন, কামু মুখোপাধ্যায় প্রমুখের কথা। এঁদের প্রত্যেকের সঙ্গে কমবেশি সখ্য হওয়ার সুবাদে তাঁদের কথাও অকপটে লিখেছেন লেখক। জমিদারবাড়ির ছেলে হয়েও লেখকের মধ্যে ছিল সকলের সঙ্গে মিশতে পারার এক দুর্লভ ক্ষমতা। ওই বয়সেই বক্স ক্যামেরায় ছবি তুলতে অভ্যস্ত ছিলেন তিনি। যার ফলে ওই সময়ের বেশকিছু ছবি লেখকের সঞ্চয়ে রয়ে গেছে এখনো, যা এই বইয়ের মূল্যবান সম্পদ। ব্যক্তি সত্যজিতের অনেক অন্তরঙ্গ মুহূর্তের সাক্ষী তিনি। তাঁর লেখায় মাঝে মাঝেই তাই উঠে এসেছে ওই মানুষটার নানা পরিচয়। বইয়ের শেষদিকে যখন নিমতিতা পর্বের পালা শেষ করে সবাই চলে যাওয়ার উদ্যোগ নিচ্ছেন, সেই সময়ের একটি সুন্দর চিত্রায়ণ ঘটেছে তাঁর লেখায় –

সমাপ্তি ছবির কাজ দ্রুত শেষ করে ফেললেন মানিকদা। কাজেই এবার তাঁদের কলকাতা ফেরার দিন এগিয়ে এলো। দুর্গাপূজার সপ্তমীর দিন সন্ধ্যাবেলায় যাবার দিন ঠিক হল। সন্ধ্যারতি দর্শন করে উঠোনে দাঁড়িয়ে আছি। চণ্ডীমণ্ডপের বিপরীতে দোতলার বারান্দায় হ্যাজাকের আলোয় দেখলাম মানিকদা হাতে তোয়ালে-সাবান নিয়ে স্নান ঘরের দিকে যাচ্ছেন আর তাঁর ভরা গলায় গাইছেন – “আমার যাবার বেলায় পিছু ডাকে …।” আমার মনটাও উদাস হয়ে গেল।  (পৃ ৬০)

এমন অন্তরঙ্গ চিত্রণের গুণে বইটি অত্যন্ত আকর্ষণীয় হয়ে উঠেছে। বয়সে অনেক ছোট হয়েও সত্যজিৎ রায়কে তিনি যেমনভাবে অনায়াসে ‘মানিকদা’ সম্বোধন করতে পারেন, সেই আন্তরিক অনুভবের বর্ণনা আছে ছোট্ট এই গ্রন্থটিতে। বইটির অন্যতম আকর্ষণ এতে সন্নিবেশিত বেশ কিছু দুর্লভ ছবি। প্রচ্ছদে জলসাঘর ছবিতে ব্যবহৃত জমিদারবাড়ির ছবি পাঠককে স্মৃতিকাতর করে  তোলে। প্রচ্ছদশিল্পী  সুব্রত  মাজীর কৃতিত্ব এখানেই।

নিমতিতা পর্বের ইতি ঘটলেও রায় পরিবারের সঙ্গে তাঁর সম্পর্কের ইতি ঘটল না। লেখক ওঁদের সঙ্গে যোগাযোগ রেখেছেন বরাবর। লিখেছেন সন্দেশ পত্রিকায়, এমনকি ওঁদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখবেন বলে কলকাতায় এসে আশুতোষ কলেজে ভর্তিও হয়েছিলেন। মাঝে মাঝেই যেতেই সত্যজিৎ রায়ের লেক টেম্পল রোডের বাড়িতে। নিজের আগ্রহের কারণে দেখতে চেয়েছেন শুটিং। দেখেছেন মহানগর, কাপুরুষ ও মহাপুরুষ, চারুলতা, নায়ক এবং চিড়িয়াখানা ছবির শুটিং। স্টুডিও চত্বরে ঘুরতে ঘুরতে দেখা হয়েছে অপর্ণা সেনের সঙ্গে। তাঁর সৌজন্যে দেখেছেন অপরিচিত ছবির শুটিং। দেখেছেন সত্যজিৎ রায়ের অন্যতম সহকারী নিত্যানন্দ দত্তের বাক্সবদল ছবির শুটিং। এইভাবে যত দেখেছেন ততই চলচ্চিত্র জগতের প্রতি আকর্ষণ বোধ করেছেন। কলেজ-পর্ব শেষ করে তিনি নিমতিতায় ফিরে গেছেন, এমন একদিনে সংবাদপত্রে তাঁর চোখে পড়ে গুপী গাইন বাঘা বাইন ছবির নির্মাণোদ্যোগের কথা। প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই তিনি সত্যজিৎ রায়কে চিঠি লেখেন ওই ছবির অবৈতনিক এক সহকারী পরিচালক হওয়ার আবেদন জানিয়ে। তাঁর সেই আবেদন মঞ্জুর হয়েছিল। ওই ছবির ছজন সহকারী পরিচালকের একজন হতে পেরেছিলেন ঐকান্তিক আগ্রহে এবং সত্যজিৎ রায়ের আন্তরিক ইচ্ছায়। সেই ছবিতে কাজ করার অভিজ্ঞতা তিনি লিপিবদ্ধ করেছেন গুপী বাঘার সঙ্গে শিরোনামীয় আরেকটি গ্রন্থে।                             

বাংলা চলচ্চিত্রের ইতিহাসে গুপী গাইন বাঘা বাইন একটি স্মরণীয় নাম। নির্মাণপর্বের পঞ্চাশ বছর অতিক্রম করেও এই ছবির জনপ্রিয়তা আজো একইরকম। ঠাকুরদা উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরীর এই অসামান্য কীর্তিকে সেলুলয়েডে বন্দি করে অমর করেছেন সত্যজিৎ রায়। শান্তির সপক্ষে যুদ্ধবিরোধী এমন একটি শিশুতোষ ছবি করতে পারা তাঁর মতো বিশ্ববরেণ্য পরিচালকের পক্ষেই সম্ভব।

শুরুতেই সত্যজিৎ রায় কালো রঙের রেক্সিনে বাঁধানো গুগাবাবার চিত্রনাট্যের খাতা লেখককে দিয়েছিলেন পড়ার জন্যে। ওটা নিবিষ্ট মনে পড়ে পরদিন ফেরত দিতে গিয়ে প্রথমেই জিজ্ঞেস করেছিলেন, ‘গানগুলো গাইবে কে?’ এই জিজ্ঞাসার উত্তরে তিনি তাঁকে অপেক্ষা করতে বলেছিলেন। কেননা ওইদিনই গানের রিহার্সাল ছিল। কেবল বলেছিলেন, ‘এখুনি রিহার্সালে আসবে, একটি ট্যালেন্টেড ছেলে পেয়েছি।’ এই কথার কিছু পরেই রবি ঘোষ ও অনুপ ঘোষাল আসেন ওখানে, যাঁকে দেখে লেখক চমকে ওঠেন। কেননা একদা তিনি আশুতোষ কলেজে লেখকের সহপাঠী ছিলেন। সেদিন ‘ভূতের রাজা দিল বর’ গানের মহড়া হয়েছিল অনেকক্ষণ ধরে। এভাবেই শুরু হয়েছিল ‘গুগাবাবা’র ছজন সহকারী পরিচালকের একজন হিসেবে কাজ করার।

আমরা জানি, ওই ছবির দৃশ্যগ্রহণ অনেকটাই হয়েছিল আউটডোরে। সবকটি লোকেশনে লেখক যেতে পারলেও হঠাৎ চিকেন পক্স হওয়ার কারণে জয়শলমিরে যেতে পারেননি। তবে ইনডোর শুটিংয়ের সব দিনেই তিনি উপস্থিত ছিলেন এবং খুঁটিনাটি নানান কাজের সঙ্গে যুক্ত থেকে কাজ শিখেছেন, খুব কাছ থেকে প্রত্যক্ষ করেছেন অত বড়মাপের একজন পরিচালকের নিখুঁত কাজের নমুনা। বলা বাহুল্য মাত্র চল্লিশ পৃষ্ঠার এই গ্রন্থের ছত্রে ছত্রে ছড়িয়ে রয়েছে সেই দুর্লভ অভিজ্ঞতার টুকরো টুকরো স্মৃতি। একটি নির্মাণের নেপথ্যকথা এভাবেই তাঁর লেখায় জীবন্ত হয়ে উঠেছে।

গ্রন্থটির অন্যতম আকর্ষণ এতে মুদ্রিত বেশ কয়েকটি ছবি। তার বেশ কয়েকটি যেমন লেখক নিজে তুলেছেন, তেমনি এতে সংযোজিত হয়েছে বিখ্যাত ফটোগ্রাফার রঘুবীর সিং এবং প্রখ্যাত টেরাকোটা মন্দির বিশেষজ্ঞ ডেভিড ম্যাককাচানের তোলা ছবি। বইয়ে লেখকের সেই বয়সের একটি ছবিও আছে। এছাড়া আছে লেখককে লেখা সত্যজিৎ রায়ের দুটি চিঠি এবং তাঁর আঁকা ওই ছবির নানান চরিত্রের স্কেচ।

আগের গ্রন্থটির মতো লেখক এতেও ওই ইউনিটের সঙ্গে জড়িত নানান জনের কথা লিখেছেন। তবে বেশ ভালো লাগে আলাদাভাবে ফটোগ্রাফার রঘুবীর সিং এবং সহকারী পরিচালক তিনু আনন্দের কথা। গ্রন্থটি কৃশকায়। মনে হয় অতিদ্রুত শেষ করার তাগিদে লেখক অনেক কথাই বিস্তৃতভাবে লেখেননি। পাঠকের এই অতৃপ্তি আশা করি পরের সংস্করণে নিশ্চয়ই মিটিয়ে দেবেন। তবু বলতে হয়, স্বল্পপরিসরে যা পেয়েছি, যতটুকু পেয়েছি, তা-ই অনেক আমাদের। লেখক রবীন্দ্রনারায়ণ চৌধুরীকে অসংখ্য ধন্যবাদ এমন দুটি গ্রন্থ রচনার জন্যে। পাশাপাশি প্রকাশক গৌতম করও এই গ্রন্থদ্বয় প্রকাশের জন্যে সমানভাবে ধন্যবাদার্হ।