কাজলেন্দু দে
নাটাকরঞ্জ লতার নিচে নির্জনতা, পাশে
ধ্যানমগ্ন না-ফেরার দিন
কুয়াশাকুহক পার হয়ে উঠে আসা মাইক্রোবাসে
কয়েকটি উদ্বিগ্ন মুখ
মনে সচকিত পুরনো পাতার শব্দ
এলোমেলো ভাবনার মেঘ
দূরে, নদীতীরে অপঠিত অসংখ্য কবিতা
শব্দকাতরতা
সারাদিন হাতছানি দিয়ে ডাকে
আমি দিনশেষে ওইদিকে যেতে যেতে ভাবি –
যে-রাসত্মা দীর্ঘ আর এবড়ো-খেবড়ো, প্রসারিত
অবচেতনের দিকে
তার শেষপ্রামেত্ম, অর্থাৎ জন্মসূত্রে পাওয়া
অন্ধবিশ্বাসের কেন্দ্রবিন্দুতে
ওই যে একক বটগাছ
তার ডালে কোনো শুভবার্তা আছে কি না
এ-সংক্রান্ত কোনো তথ্য নেই সময়ের হাতে
কিন্তু জেনো সময় বধির নয়;
একটা রুমাল কী করে জীবন্ত সাপ হয়ে গেল, তা এখনো জানি না
শুধু জানি, অচিরেই দেখা হবে তার সাথে
ওই দ্যাখো অন্ধকারে হাসছে অভয়!
Leave a Reply
You must be logged in to post a comment.