ফুলগন্ধ অন্ধকার

কল্পনার আল্পনায় সাজিয়েছি তোমাকে
যে আমি তোমার আদরের অন্তর্জন্তু।
প্রতিশ্রুত সমুদ্র দেখাতে দ্বিধা যাকে,
নভো-কুৎসিতে সে তো ছিল তোমার
মাটিমধুর অববাহিকা।
কতটা উদার-উদাস হলে
তুমি পাবে তার আত্মার আওয়াজ,
জানা নেই সম্প্রচারসভ্যতার!
মরচে ধরা নীলিমায় নিঃশব্দ তারার দামামা
পরিদের পা বেয়ে পৃথিবীতে নামে
নক্ষত্রনিদ্রার সুররস; মধুর তামস।
অভাবের দেশে আলোর বাতাসায়
ঝনঝন করে ওঠে আমাদের ভিখারি-বাসন।
ক্ষুধা-রক্ত আর রিরংসার রেসিপিতে
জমে ওঠে যুদ্ধভোজ।
ঘৃণাই যুদ্ধের বাপ-মা,
এত এত প্রকাশ ঘৃণার
অথচ পৃথিবীর প্রতিটি সিনেপ্লেক্সে
চলছে-চলবে বিরতিহীন প্রেমের পিকচার।
রাতদিন জঙ্গলে বাঁচি
আলাদা করে তাই বাঁচাইনি বনবিবি।
পাতাদের প্রতিবেদন কবিতায় লিখে রেখে
কাটা সব গাছের গোড়ায় নিবেদন করি
মানুষের রক্তমাখা পুষ্পের করোটি।
রৌদ্র ও ছায়ার নোনা নটে ডাক শুনি
লাশসিক্ত আমাদের অনন্ত আগামীর,
বাঁচি বা না বাঁচি কী লাভ-ক্ষতি কার!
আপাতত আনন্দ অপার
যেতে হবে দূর বহুদূর
আমরা একপাল আলোর আহার।