বার্ধক্য কিংবা নকশিকাঁথার গল্প

কাজলেন্দু দে

ব্যস্ততা কুড়িয়ে রাখি

গাছের কোটরে।

শীতবস্ত্র বুনতে বুনতে

ক্রমশ এগিয়ে আসে শীত –

শূন্যঘরে রং-তুলি

ধুলোময়লা

জুতো ও বিলাপ।

স্বরলিপি রাতের ফসলগুলি

কবেই কুয়াশায় নিরুদ্দেশ!

আজকাল

ভ্রু ছুঁয়ে যাওয়া পাখির ঠিকানা খোঁজে

ইসিজি রিপোর্ট –

আর, পোস্টমর্টেমের সুচ

সারাদিন দুঃখের সুতোয় নকশিকাঁথা বোনে।

আমার হারিয়ে যাওয়া জামাটির ওপর

একটা সবুজ ঘাসফড়িং বসে আছে।

আর, শব্দিত সকালে

ভেবে রাখা গন্তব্য ও পরবর্তী পদক্ষেপসমূহ

পরস্পর হাত ধরে

আট নম্বর ব্রিজ পার হয়ে

পুবদিকে হেঁটে যায় –