তোমার বাড়ি গিয়েছিলাম আজ। দরজায় দেখি বিশাল তালা।
অদ্ভুত লাগল।
তালা নতুন কেন?
তোমরা বাড়ি ছেড়েছ আজ নয় মাস। তাহলে?
কেউ তো ও বাড়িতে যায় না। তবে?
কে আসে? কে যায়?
তালা খোলে? ভেতরে ঢোকে?
তুমি কি আসো? চুপি-চুপি?
আকাশটা আজ আবার মেঘলা। তোমার যাওয়ার দিনের মতো।
তুমি মেঘমাখা আকাশমুখে বলেছিলে, ‘যাচ্ছি।’
আমি বললাম, ‘যাচ্ছি বলতে নেই, বলো আসছি।’
দীর্ঘশ্বাস বেরিয়ে এসেছিল তোমার বুক চিরে। ‘হ্যাঁ, আসছি।’
আমার নুয়ে পড়া চোখ তোমার বুকে খেলে বেড়ায়।
ওড়নার আড়ালে খোঁজে ভালোবাসার তিল।
কিন্তু সব বৃথা। ঢেকে ফেলেছ তুমি –
তোমার বুক আমার জন্য, তোমার দিন, তোমার হৃদয়, তোমার স্বপ্ন, তোমাকেও।
চলে গেলে তুমি, আমি দেখলাম শুধু, আটকাতে পারলাম না।
এরপর থেকেই এই শূন্যবাড়িতে আমি আসি, রোজ।
তোমায় খুঁজি। তোমার ঘ্রাণ। বুকের তিল।
তুমি আসো না। খবরও নাও না।
সীমানা প্রাচীরে বাঁধা এই এলাকায় আমার মতো আরো অনেকেই ঘোরে,
সবাই হয়তো আমার মতোই তাদের ‘তোমাকে’ খোঁজে।
তুমি কিংবা তোমরা আসো না।
কিন্তু তালা নতুন হয়ে ওঠে দিন দিন।
Leave a Reply
You must be logged in to post a comment.