বিশ্বস্ত তর্জমায় দৌড়বিদ মুরাকামির স্মৃতিকথা

বাশিরুল আমিন

দৌড় বিষয়ে যত কথা  মূল : হারুকি মুরাকামি
অনুবাদ : ফারুক মঈনউদ্দীন  অন্যপ্রকাশ  ঢাকা, ২০১৯  ৩০০ টাকা

যেখানেই অশান্তি আর অস্থিরতার দেখা মেলে সেখানেই লোকজন হারুকি মুরাকামিতে স্বস্তি খোঁজে। পরিসংখ্যান এরকমই বলে। খোদ হারুকি মুরাকামির ধারণাও এমন – যে-দেশে রাজনৈতিক অস্থিরতা থাকে সে-দেশে তাঁর বইয়ের বাজার ভালো। তাঁর ভাষ্যমতে, ১৯৯০-এর দিকে রাশিয়ার অবস্থা যখন টালমাটাল তখন সেখানে তাঁর বই বিক্রি হয়েছে খুব। বার্লিন দেয়াল পতনের পর জার্মানিতে মুরাকামির ব্যাপারে সেখানকার লোকজনের আগ্রহ বাড়তে থাকে। সূত্র ধরে বলা চলে, আমরা (বাংলাদেশিরা) খুব একটা স্থিতিশীল অবস্থায় নেই বলেই তাঁকে ব্যাপকহারে পড়তে শুরু করেছি।
হারুকি মুরাকামি এদেশে খুব জনপ্রিয় বা উত্তরোত্তর তিনি জনপ্রিয় হয়ে উঠছেন। সেইসঙ্গে ব্যাপকভাবে অনূদিতও হচ্ছেন; বিষয়টি আমাদের জন্য সুখকর। তবে এক অর্থে বিপজ্জনকও। বিখ্যাত বা পুরস্কারপ্রাপ্ত বিদেশি লেখকদের জন্য এটা এক প্রকারের দুর্ভাগ্যও হতে পারে যে, দ্রুত বাজার ধরতে গিয়ে অনুবাদক ও প্রকাশকরা তাঁদের লেখা খুব তাড়াহুড়ো করে যতœহীনতায় ছাপেন। অনুবাদ, ছাপা, বাঁধাইসহ পুরো প্রক্রিয়াটিই অশৈল্পিক আর মানহীনভাবে চলে। ফলে যা হওয়ার তাই হয় – অনুবাদকৃত বইটি প্রায়ই পাঠযোগ্য হয়ে উঠতে পারে না। বাজারে বা পাঠকমনে দীর্ঘস্থায়ী অবস্থান গড়তে অসমর্থ হয়। তাছাড়া যোগ্য অনুবাদকের অভাব তো রয়েই গেল।
খুব ভালো ইংরেজি জানি না বলে বিদেশি বই প্রথমে ইংরেজিতে, পরে বাংলায় পড়ি – যদি বাংলাটা পাওয়া যায়। কখনো আগে বাংলা অনুবাদ পড়ি, পরে ইংরেজিটা। ভালো অনুবাদের খোঁজ জানি না বলে হারুকি মুরাকামির বইয়ের ক্ষেত্রে ইংরেজিটাই পড়া হচ্ছে (সুযোগ হলে বাংলায় আবার পড়ে নেব)। তবে বিস্ময়কর ব্যাপার হলো, প্রথমবারের মতো এবারই হারুকি মুরাকামির একটি বই বাংলা অনুবাদে পরম তৃপ্তি নিয়ে পড়লাম, যা তাঁর অন্যসব বইয়ের চেয়ে একেবারেই আলাদা।
যে-বইয়ে মুরাকামি লেখক বা দৌড়বিদ হিসেবে নয়, উপস্থিত হন ভিন্ন এক পরিচয়ে, যা সচরাচর একজন লেখকের ক্ষেত্রে ঘটে না। ভিন্ন পরিচয় বয়ানকারী বইটি হলো, হোয়াট আই টক অ্যাবাউট হোয়েন আই টক অ্যাবাউট রানিং।
দৌড় বিষয়ে যত কথা নামে তা অনুবাদ করেছেন এ-সময়ের গুরুত্বপূর্ণ ভ্রমণলেখক ও অনুবাদক ফারুক মঈনউদ্দীন। অনুবাদে তিনি নমস্য। একদমই আলাদা রকমের রুচিকে উদ্দেশ করে লেখা হারুকি মুরাকামির বইটি তিনি নিষ্ঠা আর পরিশ্রম দিয়ে অনুবাদ করেছেন। প্রতিটি বাক্যকে তিনি আলাদা যতœ দিয়ে অনুবাদ করেছেন। মনোযোগ দিলে বোঝা যায় – শব্দ বাছাইয়ের ক্ষেত্রেও অনুবাদক সচেতন ছিলেন।
ইংরেজি সংস্করণের সঙ্গে একটি দৃঢ় সংযোগ রক্ষার্থে অনুচ্ছেদ-বিন্যাসও হুবহু রেখেছেন; দু-একটি ব্যতিক্রম ছাড়া। পাঠককে মূল টেক্সটের স্বাদের কাছাকাছি নিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যে অনুবাদক মূল লেখকের ভাষাশৈলীকে যথাসাধ্য তাঁর বর্ণনাভঙ্গির অনুগামী করার চেষ্টা করেছেন। হালকা চালের ভাষায় চমক লাগানোর ব্যাপারটি ভালো করেই রয়ে গেছে। গদ্যের মসৃণতাসমেত। মুরাকামির প্রতি তাঁর ভালোবাসার ফলেই হয়তো এ-অনুবাদকর্মটি এত মমতা পেয়েছে।
অনুবাদকের সাবলীল গদ্যে বাংলায় এসে অনন্য একটি রূপ ধারণ করেছে গ্রন্থটি। এরকম দারুণ অনুবাদ না হলে (ভিন্নআঙ্গিকের লেখা হওয়ার ফলে) হয়তো পড়ে এগোনো যেত না। বইটি মুরাকামির গল্প বা উপন্যাস নয় বলে তাঁকে বাড়তি খাটুনি যে করতে হয়েছে তা স্পষ্ট।
দশ বছরের ভাবনা ও আরো কয়েক বছরের পরিশ্রম দিয়ে বইটি দাঁড় করিয়েছেন মুরাকামি। দৌড় সম্পর্কে ভাবনা ও অনুভূতির কথা লিখতে গিয়ে এই বইয়ের অবতারণা। বইটি আসলে কী বা কোন বিষয়ে লেখা এ নিয়ে একটা প্রশ্ন আছে পাঠকমনে। আমাজন তাদের ‘রানিং অ্যান্ড জগিং’ ক্যাটাগরিতে বেস্ট সেলার তালিকার পঞ্চম স্থানে রেখেছে এ-গ্রন্থটিকে। লেখকও এতে তাঁর ম্যারাথন ও ট্রায়াথলন নিয়েই বেশি কথা বলেছেন। তবে দৌড়, সাইক্লিং আর সাঁতার নিয়ে লিখতে গিয়ে স্মৃতিকথাটাই উঠে এসেছে বেশি, সেইসঙ্গে লেখালেখির গল্প। সংগীত আর চলচ্চিত্রের প্রতি ভালোবাসার কথাও এক-আধটু পাওয়া যায়।
মুরাকামি নিজে কীভাবে দেখেন বইটিকে – ‘বইটাকে আমি একধরনের স্মৃতিকথা হিসেবে দেখি … কিন্তু এই লেখার মাধ্যমে আমি আলাদা করে দেখাতে চেয়েছি পঁচিশ বছর ধরে একজন ঔপন্যাসিক ও সাধারণ মানুষ হিসেবে কী ধরনের জীবন আমি যাপন করেছি। একজন ঔপন্যাসিক তাঁর উপন্যাসের সঙ্গে কতখানি এবং কতখানি নিজের কথা বলবেন।’ এভাবেই নিজের বই নিয়ে বলেছেন মুরাকামি। তাঁর লেখকসত্তা ও সাধারণ জীবনের সঙ্গে পাঠকের পরিচয়ের সুযোগ করে দিতেই এ-বই। কাজেই এটা স্পষ্ট যে, বইটি স্মৃতিচারণমূলক এবং খানিক আত্মজীবনীও।
এ-গ্রন্থে দৌড় আর লেখালেখিকে সমান্তরালে রেখেছেন হারুকি মুরাকামি। বইটির শেষের দিকে লিখেছেন, যদি তাঁর সমাধিফলক হয় তবে তাতে লেখা থাকবে – ‘হারুকি মুরাকামি/ ১৯৪৯-২০ …/ (লেখক ও দৌড়বিদ)/ অন্তত তিনি কখনো হাঁটেননি।’
লেখালেখিকে একমাত্র দৌড়ের সঙ্গেই তুলনা করেন তিনি। বিশেষত উপন্যাস লেখাকে। তাঁর জবানিতে, ‘উপন্যাস লেখা ও ম্যারাথন দৌড়ানো খুব কাছাকাছি। মূলত একজন লেখকের নীরব, অভ্যন্তরীণ প্রণোদনা থাকে এবং বাহ্যিকভাবে কোনো স্বীকৃতি তিনি যাচনা করেন না।’
ঠিক তাই, একজন ম্যারাথন দৌড়বিদ যেরকম দিনের পর দিন, রেসের পর রেস দৌড়ে নিজের উচ্চতা ও গতি-পরিধি বাড়ায়, অন্যকে পেছনে ফেলার চেয়ে নিজেকে নিজে অতিক্রম করার যেরকম তাগাদা থাকে, উপন্যাস-লেখকের বেলায়ও তাই। ঔপন্যাসিকের প্রতিযোগিতা থাকে নিজের সঙ্গেই। দিন দিন নিজেকে অতিক্রম করার অভিলাষই উপন্যাস-লেখকের জীবনে অভীষ্ট লক্ষ্য।
পুরো বইটিতে তিনি দৌড়ের সঙ্গে উপন্যাস লেখার বিষয়টিকে কাছাকাছি রেখেছেন। তাঁর মতে, উপন্যাস লেখা এক ধরনের শারীরিক শ্রম। লেখাটা মানসিক শ্রম হলেও একটা আস্ত বই লিখে শেষ করা শারীরিক শ্রমের কাছাকাছি। বইয়ে উপন্যাস লেখার কলাকৌশল নিয়েও কথা বলেছেন তিনি। তাঁর মতে, উপন্যাস লেখার জন্য দুটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো : মেধা আর শ্রম, এবং এ-দুটির সঙ্গে প্রয়োজন সহিষ্ণুতা। তাঁর এ-কথার সঙ্গে কেউ দ্বিমত পোষণ করতে আসবেন বলে মনে হয় না। তিনি যেসব বিষয়ের কথা বলেছেন, সেসব বিষয় তিনি ধারণ করেন বলেই হয়তো এত ভালো ঔপন্যাসিক হতে পেরেছেন।
ব্যক্তিজীবনে মুরাকামি কতটা কঠোর অনুশীলন আর নিয়মতান্ত্রিকতার ভেতর দিয়ে জীবন পার করেন – এর দেখা মেলে এখানে। ছাব্বিশটিরও বেশি ম্যারাথন দৌড়ানো লেখক মুরাকামি বিভিন্ন ম্যারাথন আর ট্রায়াথলনে নিয়মিত অংশগ্রহণ করতে পিছপা হন না। একবার তো একদিনে বাষট্টি মাইলের রেস সম্পন্ন করে ফেলেন তিনি।
হোয়াট আই টক অ্যাবাউট হোয়েন আই টক অ্যাবাউট রানিং বইয়ের পরিশিষ্টাংশে লেখেন, ‘শীতের মাসগুলোতে ম্যারাথন আর গ্রীষ্মে ট্রায়াথলনে অংশ নেওয়া আমার জীবনের একটা চক্র হয়ে দাঁড়ায়।’ বইটি লেখা পর্যন্ত তাঁর দৌড়ের বয়স ছিল প্রায় সিকি শতাব্দী। দৌড়ে তাঁর এই কঠোর অনুশীলনের মূল লক্ষ্য ছিল উপন্যাস লেখার জন্য শারীরিক অবস্থার উন্নতি করা এবং সেটা ধরে রাখা – এমনটিই তিনি উল্লেখ করেছেন।
খ্যাতি আর লোকচক্ষুর বাইরে থাকতে পছন্দ করা অন্তর্মুখী মানুষ হারুকি মুরাকামি। নিজের ব্যাপারে কথা বলতে বা ঢোল পেটাতে অনাগ্রহী হিসেবে খ্যাত লেখক তিনি। ২০১৮ সালে বিকল্প নোবেল পুরস্কারের হ্রস্ব তালিকায় তাঁর নাম আসায় তিনি কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করেছিলেন তাঁর নাম বাদ দিতে – যাতে তিনি বিখ্যাত হওয়ার বিড়ম্বনা থেকে কিছুটা হলেও বাঁচতে পারেন। কিন্তু দৌড় বিষয়ে যত কথা বইয়ে তিনি বেশ খোলামেলাভাবে নিজেকে উপস্থাপন করেছেন। নিজের ব্যাপারে খোলাসা কিছু বলতে অনাগ্রহী মুরাকামি তাঁর এ-গ্রন্থে অকপট।
ঠিক কীভাবে তিনি নিজেকে নিয়ে ভাবেন এবং কীভাবে লেখার জন্য নিজেকে তৈরি করেছেন – এসব কথা বলেছেন কুণ্ঠাহীনভাবে – ‘আমার বয়স যখন ষোলো, একদিন ঘরে কেউ ছিল না, আমি সম্পূর্ণ নগ্ন হয়ে বাড়ির একটা আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে ওপর থেকে নিচ পর্যন্ত আমার শরীরটা দেখি। এ সময় আমি মনে মনে সবধরনের খামতি কিংবা আমার কাছে খামতি মনে হয়েছে, এমন জিনিসের একটা তালিকা করি। যেমন আমার চোখের ভুরুগুলো খুব ঘন, কিংবা আমার নখগুলোর
আকৃতি খুব হাস্যকর – এ-জাতীয় সব জিনিস। … আমার মনে পড়ে সাতাশটা ঘাটতি পেয়ে ক্লান্ত হয়ে ক্ষান্ত দিই।’
হ্যাঁ। এভাবেই নিজেকে মেলে ধরেছেন মুরাকামি। দৌড় আর সাইক্লিং নিয়ে কথা বলতে বলতে বিভিন্ন শহর, নদী আর সমুদ্রসৈকতের যে-বর্ণনা দিয়েছেন তা বেশ চমকপ্রদ। শরীরচর্চা করতে গিয়ে যেসব ছোটখাটো বিড়ম্বনা বা উৎসাহের দেখা পেয়েছিলেন তার সরস বিবরণ তাঁর পাঠকদের আলাদা রকমের একটা পাঠানন্দ দেবে।
আশির দশকে টোকিওতে প্রতিদিন সকালে দৌড়াতেন মুরাকামি। রোজ সকালে এক সুন্দরীর দেখা পেতেন এবং দৌড়ে পাশ কাটিয়ে যেতেন। পরস্পর হাসিবিনিময় করতেন তাঁরা। কয়েক বছর ধরে এমন হাসিবিনিময় চললেও তাঁদের মধ্যে কখনো কথা হয়নি। মুরাকামি এমনই অদ্ভুত।
মুরাকামি লেখেন, ‘তবু রোজ সকালে দৌড়ানোর সময় ওর চেহারা দেখাটা ছিল ছোট ছোট আনন্দগুলোর একটা। এ-জাতীয় আনন্দ ছাড়া রোজ সকালে ঘুম থেকে উঠে দৌড়ানো বেশ কঠিন।’ আসলেই তো!
সংগীতপ্রেমী, চলচ্চিত্র-পোকা, দৌড়বিদ ও লেখক হারুকি মুরাকামি। তিনি যে-শহরেই গিয়েছেন সেখানেই দৌড়েছেন, সাইক্লিং করেছেন, বা সাঁতরেছেন। হাওয়াই, কেমব্রিজম-ম্যাসাচুসেটস, হোক্কাইডো, কানাগাওয়া, নিগাতা প্রিফেকচার; কোথায় দৌড়াননি তিনি। এসব শহরে অংশগ্রহণ করা ম্যারাথন আর ট্রায়াথলনের স্মৃতি নিয়েই তাঁর এই বই – হোয়াট আই টক অ্যাবাউট হোয়েন আই টক অ্যাবাউট রানিং।
যারা হারুকি মুরাকামির লেখা বা তাঁর লেখকজীবন নিয়ে আগ্রহী তাদের জন্য বইটি অবশ্যপাঠ্য। অনুসন্ধিৎসু পাঠক বইটি পড়ে অন্যরকম এক রুচির সঙ্গে পরিচিত হতে পারবেন। মুরাকামি নিয়ে পাঠকের চেনাজানার পরিধিকে আরো বিস্তৃত করতে সহায়ক হবে ফারুক মঈনউদ্দীনের এই অনুবাদটি। অনুবাদকের বিশ্বস্ত বাংলায়ন আর গদ্যের সরসতার ফলে বইটি আরো আকর্ষক হয়ে উঠেছে।
বিশেষত অনুবাদে ক্রিয়াপদ ব্যবহারে যে একঘেয়েমি ভাব, পরিভাষার দুর্বোধ্যতা কিংবা বাক্যের দীর্ঘতার মতো অস্বস্তিকর ব্যাপারগুলো থাকে – এর সবকটি থেকেই বইটি মুক্ত। মূলের সঙ্গে সাযুজ্য রেখে এরকম সাবলীল অনুবাদ বিরল। তবে শিরোনামের ক্ষেত্রে তিনি আরেকটু স্বাধীনতা নিতে পারতেন। সর্বোপরি এ-অনুবাদটির পেছনে অনুবাদকের দায়বদ্ধতা ছিল। তাঁর সাহিত্যবোধ, মুরাকামিকে পুরোদমে অনুভব ও পুনর্র্সৃষ্টির তাগাদা এক্ষেত্রে বিশেষ ভূমিকা পালন করেছে।
মুরাকামি পাঠকদের জন্য বিশেষ উপহার হিসেবে থাকবে অনুবাদকের প্রাঞ্জল ও তথ্যবহুল একটি ভূমিকা। হারুকি মুরাকামির অন্তর্জগৎ ও তাঁর লেখকসত্তাকে পরিমিত ভাষায় উপস্থাপন করেছেন তিনি। সামগ্রিকভাবে তাঁকে পরিচয় করিয়ে দেওয়ার জন্য ভূমিকাটি যথেষ্ট – আমার তাই মনে হয়েছে। অনুবাদকের সংযুক্ত প্রয়োজনীয় টীকাসমূহ পাঠের ক্ষেত্রে বিশেষ সহযোগিতা প্রদান করবে।
ফারুক মঈনউদ্দীনের অনুবাদে মুরাকামির বইটি প্রকৃত অর্থেই সুখপাঠ্য ও আরামদায়ক।