সোহরাব পাশা
পাখির কী কষ্ট পাঠসূত্র নেই মেঘলা আকাশে,
মহাকালের নির্বোধ ঘড়ি, কীর্তিমান কোনো শিল্পী –
ভীমসেন যোশী স্বীকৃতি রাখেনি তার
বৃষ্টির ক্ল্যাসিকে,
দীর্ঘ রাত্রি ভেজা পাখিরাই জানে বৃষ্টির দহন,
আর বৃক্ষনিধনের শব্দ
জানে, কীভাবে হঠাৎ ভেঙে যায় উড়ালের ভাষা
কতটা বর্ষণে শাবকের ডানা থেকে ছিঁড়ে যায়
ভোর;
ঐশ্বর্য হারানো মানুষের থাকে বৃষ্টির বিবিধ
পাতা ছেঁড়া অন্ধকার, গল্প, যার দাঁড়ি কমা নেই,
প্রবীণের চোখ ঠিক জানে ওইখানে একদিন
কেয়াবন ছিলো, পাশেই কদমগাছ,
এক রাতে সকল উজাড়
নিয়নবাতির নিচে জ্বলে না জোনাকি,
আর
এখন কেবল স্মৃতির উতলা ঘ্রাণ
মাঝরাত খুলে যায় শ্রাবণের শব্দে,
ঘুম আসে না একলা রাতের হাওয়ায়
ছায়ালোক-২০
সৌভিক রেজা
চোখ সরালেই থেমে যায়
নদী। এ-নদীর স্রোত মেশে অবশেষে মধুপুরে।
সেখানে
ঢেউহীন আমার দিন। রাত জেগে গান গায় বৃক্ষ।
ছায়া তার
দীর্ঘতর বন্যা। জোয়ারে নেই তুমি ভাটাতেও
নেই। পাতাঝরা ভাঙা ডালে গান গায় পাখি।
এখানেও
ছায়ার মায়া। চোখ থেকে নেমে গ্যালো নদী…
Leave a Reply
You must be logged in to post a comment.