ব্যক্ত কিংবা অব্যক্ত জীবনানন্দ

ওবায়েদ আকাশ

জীবনানন্দ ঘুরে গেলেন। বসেছিলেন সজনেতলায়, ভোরে…
তার মুখ থেকে কার্তিকের হিম খসে পড়ে গেলে
তখন ভোর হয়, তখন জ্বর ওঠে ঝিঁঝি পোকার দেহে

কিছু বললেন কিছু হাসলেন বলে জানাল বাড়ির অস্থিরপ্রাণ পাখি
আমার ঘুম পেল, তোমার আগ্রহ ছিল, ঘুমে –

তার মুখশ্রীর শেষে তোমার-আমার বিভ্রান্তি নিয়ে
আজ যে কাঁটাতার বৈঠকের কথা; মাননীয় মেঘলাদিন
সুদৃশ্য হাসির আড়ালে লুকিয়ে রেখেছে

জীবনানন্দ, যখন মাইলেটাস ভ্রমণে ছিলেন
সিন্দুর সভ্যতাজুড়ে বাইজিনাচ – ঘাসে ঘাসে মুদ্রা তুলেছে
তখন চৌচির হলো মাঠ – নর্থ বেঙ্গলে
তিনি ঘামলেন, ফিরে গেলেন – খাজুরাহে, পদ্মায়…

এবার øানশেষে হাজার বছর ধরে তাকালেন
বুকভর্তি নক্ষত্রের দিকে। তাকে নেড়েচেড়ে
শ্যাওলায় লুকানো রাত্রি নির্নিমেষ জ্বালিয়ে দিলেন –
আর এক বিস্মৃত চাঁদ – পেড়ে এনে তুলে নিলেন
নিকষ কালো হাড় – তবু জীবনানন্দ বিস্ময় অপার!

তার মুখভর্তি অমীমাংসিত নিভৃতি এত
কোনোকালে দেখিনি কোথাও