মার্কিনি ভূমিপুত্রদের লেখালেখি

আজকে যাদের আমরা রেড ইন্ডিয়ান বা নেটিভ আমেরিকান বা মার্কিনি ভূমিপুত্র বলে জানি, তারা মূলত দুই আমেরিকার আদি বাসিন্দা। অধিকাংশ বিজ্ঞানীর ধারণা, আজ থেকে প্রায় পনেরো হাজার বছর আগে এসব ইন্ডিয়ান এশিয়া থেকে আমেরিকায়  পাড়ি জমিয়েছিল। কোনো কোনো বিজ্ঞানী মনে করেন, এই আন্তঃমহাদেশীয় অভিবাসনের বয়স পঁয়ত্রিশ হাজার বছর, যখন উত্তর গোলার্ধের অধিকাংশ জায়গা দেড় থেকে তিন কিলোমিটার পুরু বরফস্তরে ঢাকা ছিল। তখন এশিয়া ও উত্তর আমেরিকার মাঝখানে আশি কিলোমিটারের মতো আইস ব্রিজ বা বরফ-সেতু ছিল, যা বর্তমানে বেরিং প্রণালি নামে পরিচিত। সম্ভবত এই সেতুপথই তাদের আদি-যাত্রাকে সম্ভব করেছিল। ১৪৯২ সালে কলম্বাস যখন আমেরিকা পৌঁছেন, ততদিনে ইন্ডিয়ানরা উত্তর ও দক্ষিণ আমেরিকা মহাদেশ জুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে। ইউরোপীয় অভিযাত্রী, ব্যবসায়ী ও বসতকারীদের আগমনের পরপরই নেটিভ আমেরিকানদের হাজার হাজার বছরের জীবনধারা পালটে যেতে থাকে। তাদের জমি ও সম্পদের প্রভু হয়ে যায় বহিরাগতরা। কার্যত নিজদেশে পরবাসীর অদৃষ্টই হয়ে ওঠে তাদের অদৃষ্ট। অত্যাচার, সংঘাত, রোগ, দারিদ্র্য ইত্যাদি কারণে তারা একটি ক্ষয়িষ্ণু সমাজে পরিণত হয়। বিংশ শতাব্দীর শুরুতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ভূমিপুত্রের সংখ্যা মাত্র আড়াই লাখে নেমে আসে, যা ইউরোপীয়দের আগমনের আগে ছিল দশ থেকে পনেরো মিলিয়নের মতো। ইতিহাসের পরিহাস হলো, নিজেদের দেশে তারা নিজেরাই দীর্ঘকাল ধরে বৈধ নাগরিক হিসেবে স্বীকৃতি পায়নি। ১৯২৪ সালে ‘ইন্ডিয়ান সিটিজেনশিপ অ্যাক্ট’ কংগ্রেসে পাস হবার আগ পর্যন্ত, কিছু বিচ্ছিন্ন ব্যতিক্রম ছাড়া, রেড ইন্ডিয়ানরা মার্কিন নাগরিকত্বের অধিকার থেকেও বঞ্চিত ছিল। ভূমিদখলের এ-নির্মম ইতিহাসই ভূমিপুত্রদের ইতিহাস। তথাকথিত সভ্যতা ও উপনিবেশবাদের ইতিহাসও তাই।

আত্তীকরণ ও অভিবাসনের কথিত স্বর্গরাজ্য যুক্তরাষ্ট্রেও এর মূল জনগোষ্ঠী এখনো মূলস্রোত থেকে বিচ্ছিন্ন। চেরোকি, চিপিওয়া, নাভাজো, স্যু ইত্যাদি প্রধান গোত্রসহ প্রায় ৫৪০টির মতো গোত্র-গোষ্ঠীতে বিভক্ত রেড ইন্ডিয়ানদের তিন-পঞ্চমাংশ নাগরিক জীবনের সাথে মানিয়ে নিলেও, অবশিষ্ট দুই-পঞ্চমাংশ তাদের চিরাচরিত উপজাতীয় ও সংরক্ষিত এলাকার মায়া ছাড়তে পারেনি। এককালের তিনশ’র মতো ভাষা বিলুপ্ত হতে হতে গত শতাব্দীতে একশ নব্বইতে এসে ঠেকেছে। বিস্ময়কর ব্যাপার এই, মায়া, ইনকা ও অ্যাজটেক সভ্যতার উত্তরপুরুষদের ইলিয়াড, ওডিসি, রামায়ণ, মহাভারত তো দূরেরকথা, এদের কাছাকাছি উন্নত কোনো লেখ্য-সাহিত্যেরও উত্তরাধিকার নেই। ফলে এই সুপ্রাচীন জাতিগোষ্ঠীর সাহিত্য-ক্ষেত্রে যা কিছু অর্জন তা একেবারে বিংশ শতকি। নিগৃহীত কৃষ্ণাঙ্গদের মতো এদেরও অধিকার আদায়ের সংগ্রামে নামতে হয়েছে। গড়ে তুলতে হয়েছে দ্য আমেরিকান ইন্ডিয়ানের মতো বিভিন্ন সংগঠন। জীবিকা ও মৌলিক অধিকারের মতো বিষয়গুলো যেখানে অমীমাংসিত, সেখানে সাহিত্যচর্চা, তা-ও আদিবাসী পটভূমিতে, কতটা জরুরি হতে পারে, চিন্তার বিষয়। তবু গত শতাব্দীতে রেড ইন্ডিয়ানরা কলম ধরেছেন। কেউ কেউ মূলধারার মার্কিনিদের মতো প্রতিষ্ঠাও পেয়েছেন। তেমন একজন হলেন কিওয়া-চেরোকি বংশোদ্ভূত এন. স্কট মোমাডে। তিনি তাঁর House Made of Dawn উপন্যাসের জন্য পুলিৎজার পুরস্কার পেয়েছেন ১৯৬৯ সালে। তাছাড়া কথাসাহিত্যিকদের মধ্যে মাইকেল ডরিস, ল্যুইস র্এড্রিচ, লিন্ডা হোগান, ব্যারি মিলিকেন, লেসলি মারমন সিল্কো, রবার্টা হিল হোয়াইটম্যান, ব্ল্যাক এল্ক্, ডায়ান গ্ল্যান্সি, সাইমন জে. অরটিজ, জয় হারজো বেশ খ্যাতিমান। কবিদের মধ্যে পরিচিতি পেয়েছেন পলা গান্   অ্যালেন, ডায়ান বার্নস, মরিস কেনি, ম্যারি টল মাউন্টেন প্রমুখ।

অসংখ্য গোত্র-গোষ্ঠী-জাতিতে বিভক্ত রেড ইন্ডিয়ান বা নেটিভ আমেরিকানদের বিচিত্র সংস্কৃতি, ভাষাগত ও আচরণগত বৈশিষ্ট্য ও বৈসাদৃশ্যগুলো যেমন একদিকে, অন্যদিকে ভূমিদখলের ইতিহাস, অত্যাচার, প্রতিরোধ, রোগ-শোক-মৃত্যু, ক্রোধ, বেদনা, কষ্টসহিষ্ণুতা ও সভ্যতা-ভীতির মতো সাদৃশ্যগুলো তাদের সাহিত্যকে শুধু জীবনঘনিষ্ঠ করেনি, একটি অনাস্বাদিত পূর্ববিষয়গত নতুনত্বও দিয়েছে, যা খোদ মার্কিনি সাহিত্যে অনুপস্থিত। তাদের সাহিত্যে ফুটে উঠেছে প্রকৃতিসচেতনতা, আধিভৌতিকতায় বিশ্বাস, নিবিড় পারিবারিক ও গোত্রীয় বন্ধন, অর্থনৈতিক অসচ্ছলতা, অসহায়ত্ব, মদ্যপ্রিয়তা এবং জীবনের উদ্দেশ্যহীনতার মতো আধুনিক অনুষঙ্গগুলো। এরা এখনো ভূমিখে-কোদের ভিনগ্রহের প্রাণীর মতো অবিশ্বাসের চোখে দেখে। পুলিশ ও সমাজকর্মীদের কাছ থেকে পালিয়ে বেড়ায়। আঁকড়ে রাখে পুরানো সংস্কৃতিকে – পোশাকে, চুলে, ভাষায়, চেতনায় ও বিশ্বাসে। আবার আধুনিক শিক্ষা ও পেশাগত জগতকেও আমস্তক বর্জন করে না। প্রজন্মবাহিত ঐতিহ্য ও বর্ণিল সভ্যতার এক নিরন্তর দ্বন্দ্ব ও সহাবস্থানের মধ্য দিয়ে এগিয়ে গেছে এ-অঞ্চলের সাহিত্যধারা।

নামটি শুনতে ঘোড়া ঘোড়া মনে হয়, আসলে নারী, আলবার্টিন আমেরিকান হর্স তার একমাত্র পুত্রকে সমাজকর্মী মহিলার হাতে তুলে দিতে চায় না। হোক কষ্ট, না থাক ভবিষ্যৎ, তবু ভূমিখেকোদের হাতে তার ছেলের মঙ্গল নিহিত নেই – এই বোধে তাড়িত হয়ে সে রীতিমতো পুলিশের সঙ্গে যুদ্ধ করে এবং পরাস্ত হয়। পুত্র বাডিকে ওরা গাড়িতে তুলে নিয়ে যায়। পেছনে ধুলো ওড়ে, পড়ে থাকে আঙ্কেল লরেন্স ও মা আলবার্টিন। ল্যুইস র্এড্রিচের অসাধারণ গল্প ‘আমেরিকান হর্স’ সেই শেকড়ছেঁড়া মার্কিনি মঙ্গলযজ্ঞের (!) গল্প। ‘জীবন বয়ে যায়’ একই সাথে এক মা ও একটি ক্ষয়িষ্ণু সমাজের জীবনালেখ্য। পরপর তিন শিশু    সন্তানের মৃত্যুতে মা রবার্টা বাকশক্তিরহিত হয়ে গৃহত্যাগ করে। মৃত্যুকামনা করলেও অসহনীয় জীবন তার পিছু ছাড়ে না। টেনে-বেড়ানো এ-জীবনকে তার কাছে মনে হয় অর্থহীন ও অসংলগ্ন। সে প্রাচীন রেড ইন্ডিয়ানদের মতো কাঠ খোদাই করে পাখি বানায়, কাক বানায়, শোকবিহ্বল ঘুঘু বানায় আর অপরিসীম বেদনা ও মমতায় কাঠের পাখির ভেতরে তার প্রিয় এঞ্জেলা, উইলকিনস্ ও হ্যারিয়েটের আত্মাকে পুনরুজ্জীবিত করতে চায়। লিন্ডা হোগানের এ-গল্পে একটি গোত্রকাহিনীর প্রতীক হয়ে উঠেছে রবার্টার ব্যক্তিক ট্র্যাজেডি। স্কট মোমাডের পুলিৎজারজয়ী উপন্যাসটির মূলেও সেই গোত্রকাহিনী। এর ব্যাপক অংশজুড়ে বর্ণনা আছে কীভাবে এক-একটি গোত্র নিরন্তর বৈরিতার মোকাবিলা করতে করতে নিশ্চিহ্ন হয়ে যাচ্ছে, সে-বৈরিতা কখনো মানুষের, কখনো অজ্ঞাতচরিত্র    মহামারির। এ-সমাজে গির্জা প্রবেশ করলেও তাদের খ্রিষ্টীয় বিশ্বাসের অনেকখানি জায়গা দখল করে আছে প্রাক-ধর্মীয় যুগের সংস্কার। তারা মৃতের কফিনে পবিত্রজল ছিটায় বটে, তবে তা আত্মার সদ্গতিলাভের বাসনায় বা বিশ্বাসে নয়, যেন মৃতব্যক্তি মেঘ হয়ে প্রবল বৃষ্টি নিয়ে আসে তার খরা উপদ্রুত প্রাক্তন পিতৃভূমিতে। এমন একটি সংস্কারের গল্প লেসলি মারমন সিল্কোর ‘যে লোক বৃষ্টিবাহী মেঘ পাঠাবে’। আধুনিক চেতনা ও সুপ্রাচীন ঐতিহ্যের দ্বন্দ্ব প্রতীকায়িত হয়েছে ‘ফায়ার ড্রাগন’ গল্পে। রেড ইন্ডিয়ানরা এখনো শিলাপাথর ও প্রকৃতির মধ্যে ভবিষ্যতের নির্দেশনা খোঁজে। বালক অ্যালেন সেই ঐতিহ্যের পৃষ্ঠপোষক। সে ফায়ার ড্রাগনে বিশ্বাস করে। তার অনঢ় বিশ্বাস, মানুষের যত্নহীনতায় মাটি পুড়ে ছাই হয়ে যাবে, বাতাসের গতিপথ উলটে যাবে, ক্ষুধার্ত পৃথিবী হয়ে উঠবে বৃদ্ধ মানুষের কপালের বলিরেখার মতো চৌচির। তার বড় ভাই লিলির কাছে, এসব এমন কুসংস্কার, যা ‘লিটল’ নয়, রীতিমতো     ‘সুপার’। কারণ, ‘দিস ইজ আমেরিকা’। অসাধারণ সব গল্পের ভাণ্ডার থেকে আরেকটি গল্পের উদাহরণ দিচ্ছি। ব্যারি মিলিকেনের ‘দৌড়’ আপাতদৃষ্টিতে একটি ছোট, নিরীহ ও শিশুতোষ গল্প। কিন্তু এমন শেকড়ছেঁড়া     অন্তর্ভেদী গল্প সুলভ নয়। এটি মূলত গোত্র ছেড়ে কসমোপলিটানিজমের গল্প, গলি ছেড়ে হাইওয়ে, অতঃপর শহর-যাত্রার গল্প। এ-পথ নব্য আমেরিকানিজমের পথ। ক্ষুদে দৌড়বিদের মতো নতুন প্রজন্মের সব রেড ইন্ডিয়ান যেন মন্ত্রের মতো আওড়াচ্ছে : Use your mind to beat the distance. এখানে স্মরণ করা যেতে পারে, দুই আমেরিকারব্যাপকভাবে মূলধারা থেকে বিচ্ছিন্ন, সামাজিকভাবে পশ্চাৎপদ এরকম সমাজগোষ্ঠীর কবিতা ঐতিহাসিকভাবেই অভিযোগের কবিতা হয়ে ওঠে। এদের ক্ষেত্রেও তা-ই হয়েছে। দু-একটি উদাহরণ দেই। কথোপকথনের ভঙ্গিতে লেখা ডায়ান বার্নসের কবিতার, ‘আপনি আমাকে অবশ্যই ব্যক্তিগত প্রশ্ন করতে পারেন’, পরতে পরতে আত্মব্যবচ্ছেদ করে উন্মোচন করে তার নৃতাত্ত্বিক পরিচয়, উঁচু উঁচু কপোল-হাড়ের কাহিনী, না-ইন্ডিয়ান না-স্প্যানিশ ‘নেটিভ আমেরিকান আইডেনটিটি’। হ্যাঁ, একই সঙ্গে উন্মোচন করে ইন্ডিয়ানদের নিয়ে প্রচলিত মিথের বর্জনযোগ্য মিথ্যেগুলোকে। শেষ দুটো চরণ :

আমার চেহারার সহিষ্ণুতাবাদীর ছাপ, তাই বুঝি?

আসলে ওটাই আমার মুখ।

বলা বাহুল্য, এ-মুখ শুধু কবির নয় – ভূমিপুত্রদের উত্তরপুরুষেরও মুখ।

তাদের নিত্যদিনের অভিজ্ঞতা সুখকর নয়। কখনো কখনো তারা অযাচিত কৌতূহলের পাত্রপাত্রী হয়ে ওঠে। মার্কিন ভূমিতে রেড ইন্ডিয়ান দেখা যেন এক বিস্ময়কর আবিষ্কার। মূলধারার এ-দুর্বিষহ অজ্ঞতার আড়ালে লুকিয়ে আছে ভূমিপুত্রদের অপমানবোধ। লোমশ পশুচর্ম জুতা, সফটিক বোতামশোভিত রেশমি দস্তানা, বলগা-হরিণী চামড়ার জ্যাকেট পরা মানুষগুলোর দিকে সবাই হা করে তাকায়। এ বড়ো উৎকট দূরত্ব!

রাত গভীর হলে

আমি কামড়ে ধরি আমারই হাত

যতক্ষণ না উচ্ছল বেরোয়

আমার গাঢ় রেড ইন্ডিয়ান রক্তের টলটলে চাঁদ।

[রেড ইন্ডিয়ান রক্ত : ম্যারি টল মাউন্টেন]

তরুণ কবিরা প্রবলভাবে শেকড়সচেতন। প্রায় সবাই ঘুরে-ফিরে বলতে চেয়েছেন, ওরা প্রথমত ইন্ডিয়ান, দ্বিতীয়ত আমেরিকান। অসম্ভব ছুঁয়ে-যাওয়া তেমন একটি উৎস-সন্ধানী কবিতা ‘ওরা বলে আমি নাকি নষ্ট হয়ে গেছি’। এর উচ্চারণ বস্তুত পৃথিবীর সব প্রাকৃতজনের। তাই আমাদের কাছেও এ-বাণী দূরের কিছু নয় :

সূর্যের তৃষ্ণার জল বুকে ধরা

আমার মন্ত্র সে নদী,

আমার মন্ত্র সে নারী

যে আমাকে ধারণ করেছে –

আমার রক্ত ও আগামীর মাংসমজ্জা,

আমার মন্ত্র লতাগুল্ম সর্বরোগহর,

জোয়ার জাগানো চাঁদ

এবং ধূলিময় ভোরে সুরভারানত

বুড়ো হাড্ডিময় পৃথিবীকে শুভ্র করে যে বাতাস …

[ওরা বলে আমি নাকি নষ্ট হয়ে গেছি : মরিস কেনি]

আসলে মানুষ ছাড়াও যাদের ছাড়া মানুষ বাঁচতে পারে না, তারাই হয়ে ওঠে তাদের স্বনির্মিত সভ্যতার উপাদান। তাই খরগোশ, ভোঁদড়, সারস, রক্তাভ উইলো, কাদামাটি, নীল-ছোঁয়া অতিকায় পাইন, তমসাশ্রিত নেকড়ে, সূর্যের মুখোমুখি উড্ডীন কাক, ঘাসের পিঠের ওপর শুয়ে থাকা রোদ, নদীর গভীর জল, দুধরং গুল্ম, ফসল তোলে যে হাত, বালকের দেহে জমা ঘাম, রমণীর মুখভরা হাসি, পুরুষের রং-মাখা সাজ, বাবার গল্পের শরীর, গুণ-তীর-ধনুক সবই এক হিরন্ময় ইতিহাস রচনা করে, যে-ইতিহাসকে ‘এলিয়েন’দের পদপাত ও রক্তপাত মলিন করতে পারে না। মরিস কেনির কবিতা থেকে তুলে দেওয়া শব্দগুচ্ছই বলে দেয় কী গভীর আবেগে এই নতুন ইতিহাস নিয়ত লেখা হচ্ছে। বহুবর্ষীয় পিকটোগ্রাফগুলোও বোধ করি এ-গল্পই বলতে চেয়েছিল!