মৃত্তিকার গান

প্রতিদিন ভোর আসে, আর আমি 

ভোরের আগুনে ফসলের মাঠ হই 

রোদে মাখা কলাবতী 

আমার শরীরে ধান্যশস্য ফলে, সরিষা কলাই

মাঠে মাঠে চড়–ইয়ের ঝাঁক 

ফড়িংয়ের ঠোঁটে রাখে প্রেমের প্রসাদ

আমার বুকের ধানে মায়াবী শালিক 

নীরবে ঝুলিয়ে রাখে পায়ের রঙিন 

নিঃসঙ্গ আকাশ থেকে জলের মাধুরী 

আমার হৃদয়ে খোলে বীজের গীতালি। 

দুপুরের রুপা-রোদে আমি পালঙ্কে শয়ান করি

লাঙলের ফলা ছুঁয়ে তামাটে প্রেমিক 

আমারে খোয়াবে দেখে 

আমি এক শ্যামলা কিশোরী 

শরীরের ভাঁজে গাঁথা রমণের রীতি। 

জলধারা বয়ে যায়, সবুজেরা নাচের মুদ্রায় 

পাতার মর্মর বাজে শাখায় শাখায় 

বাউল পাখিরা ডানায় ডানায় আবেশ জড়ায়

প্রতিদিন রাত আসে, আর আমি 

রাতের নিবিড়ে নরম বিছানা পাতি

আমার লহুতে পৃথিবীটা অঘোরে ঘুমায়।