যখন শৈশব ডাকে

শৈশবের ডাক আসে আজো

লালমোরগের ঝুঁটি ছুঁয়ে আসে ডাক

সেই ফেলে আসা ভোর ঘোরের ভিতরে

নিয়ে যায় আজো এই পড়ন্ত বেলায়।

শীতের শিশির ছুঁয়ে কলাপাতা দোলে

মগ্নতার গভীর ভিতরে?

কে আমাকে ডেকে নেয় তা হলে শীতের আমন্ত্রণে

এমন খরায় পোড়া দুপুরে স্নায়ুতে কেন প্রবল বর্ষণ?

ঘুম ভাঙে মধ্যরাতে ডাহুকের করুণ কান্নায়!

প্রবল বৃষ্টিতে ভেসে যায় চরাচর

অথচ কংক্রিটে ঘেরা শহুরে জঙ্গলে

কোথায় বৃষ্টির চিহ্ন, কোথায় ডাহুক!

এখনো হঠাৎ যেন রূপকথা-ঝুলি

মেলে ধরে আমার শতায়ু দাদি, ‘বানেছা পরি’র

গল্পের ভিতর দিয়ে চলে যাই মায়া-অলৌকিকে!

ফিকে হয়ে যায় দুঃখ-দাহময় রূঢ় বর্তমান।

তালপুকুরের জলে লালশাপলা এখনো কি ভাসে?

জানি না। শৈশব তবু সুতোছেঁড়া ঘুড়ি

স্মৃতির দিগন্তে ফিরে আসে।