রুডইয়ার্ড কিপলিং

অনুবাদ : তামান্না আক্তার 

যদি তুমি তখনো শান্ত থাকতে পার 

যখন সবাই অনবরত তোমাকেই দোষ দেয়।

যদি তুমি নিজেকে বিশ্বাস করতে পার, তখনো যখন সবাই তোমাকে সন্দেহ করে;

যদি তুমি অপেক্ষা করতে পার এবং ক্লান্ত না হও, অথবা মিথ্যাচারের মুখে পরেও মিথ্যাবাদী না হও,

কিংবা ঘৃণার সম্মুখেও প্রশংসা করতে পার,

তবুও নিজেকে জ্ঞানী না বল বা অতি বুদ্ধিমান না ভাবো।

যদি তুমি স্বপ্ন বুনতে পার কিন্তু স্বপ্নকে নিজের ওপর চরাও হতে না দাও,

যদি তুমি ভাবতে পার এবং ভাবনার দাস হয়ে না যাও,

যদি তুমি জয়-পরাজয়ের স্বাদ চেখে দুটোকেই সমভাবে মেনে নিতে পার,

যদি সত্য বলার পরেও দুর্জনের বিদ্রূপ সয়ে নিতে পার,

যদি তোমাকে কাচের মতো টুকরো করে দেয়ার পরও

মাথা নত করে সেগুলো কুড়িয়ে নিয়ে নিজের জীবন গড়তে পার। 

যদি তোমার অর্জনগুলোকে জুয়ার আসরে বাজি ধরতে পার 

এবং হেরে গিয়ে আবার নতুনভাবে গোড়া থেকে শুরু করতে পার এবং সেই পরাজয়ের জন্য একটি দীর্ঘশ্বাসও না ফেল,

যদি তোমার শরীর তোমাকে জবাব দিয়ে দেয়ার পরেও তাকে চলতে বাধ্য করতে পার,

যখন তোমার প্রবল ইচ্ছাশক্তি ছাড়া আর কিছুই থাকবে না তাকে বলার, ‘চালিয়ে যাও!’

যদি শত ভিড়েও তোমার নৈতিকতা না হারায় 

বা আভিজাত্য তোমার সরলতাকে স্পর্শ করতে না পারে।

যদি বন্ধু বা শত্রু কেউই তোমাকে বেদনাহত করতে না পারে,

যদি সকলে তোমাকে বিশ্বাস করে – তবে অন্ধবিশ্বাস নয়,

যদি তুমি প্রতিটি প্রতিকূল মিনিটের ষাট সেকেন্ডের শূন্যতাকে দৃঢ়তার সাথে পূর্ণ করতে পার,

তবে এই বিশ্বব্রহ্মাণ্ডের সবই তোমার 

এবং সর্বোপরি, তুমিই হবে একজন প্রকৃত মানুষ, আমার সন্তান!

* কবির প্রথম অনুবাদ। ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থী।