মোহাম্মদ রফিকের সঙ্গে পরিচয় হয়েছিল সহপাঠী আলতাফের মাধ্যমে। আলতাফ বাংলায় পড়ত, আমি ইংরেজিতে। তখনই ওর কবিখ্যাতি কিছু হয়েছে, কণ্ঠস্বরে কবিতা ছাড়াও রবীন্দ্রনাথের গান নিয়ে একটি অসাধারণ গদ্য প্রকাশিত হয়েছে। সেই লেখায় আলতাফ গীতবিতানকে বলেছিল সর্বশ্রেষ্ঠ ধর্মগ্রন্থ। নোবেলপ্রাপ্তির আগেই গীতাঞ্জলি ও রবীন্দ্রনাথের আরো অনুবাদ পড়ে আইরিশ ইংরেজ কবি ডব্লিউ বি ইয়েটস তাঁর কিছু গানের মধ্যে অধ্যাত্ম চেতনার সন্ধান পেয়েছিলেন। সং অফারিংস-এর হৃদয়গ্রাহী ভূমিকায় ইয়েটস এসব কথা লিখেছেন। আমাদের মধ্যে ঢাকা পর্যন্ত খ্যাত আলতাফ – কবি আলতাফ হোসেন – রফিকের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেয়।
সেটা ১৯৬৮ সালের শেষ দিক হবে। মোহাম্মদ রফিক সদ্য যোগ দিয়েছেন তৎকালীন সরকারি ইন্টারমিডিয়েট কলেজে – যা এখন সরকারি মোহসিন কলেজ হিসেবে পরিচিত। শিক্ষা ক্যাডারে এটি তার প্রথম কর্মক্ষেত্র। রফিক বয়সে আমার চেয়ে
পাঁচ-ছয় বছরের বড় হলেও রফিকভাই বলে ডাকতে দেয়নি। এটি তার সকলকে আপন করে নেওয়ারই একটা পথ।
রফিক ইংরেজির প্রভাষক এবং স্ত্রী জিনাত আরা রফিক একই কলেজে বাংলার। জিনাত আরা, যাঁকে আমরা তানি আপা বলতাম, স্কুলে ও বিশ্ববিদ্যালয়ে আমার আপার সহপাঠী, ব্যাচমেট। ফলে তানি আপার ব্যাপক উৎসাহে অচিরেই এই দম্পতি আমাদের বাসায়ও আসতে শুরু করে। মূল লক্ষ্য বাবা সাহিত্যিক আবুল ফজলের সান্নিধ্য লাভ ও কথাবার্তা শোনা, এবং মা লেখিকা উমরতুল ফজলের স্নেহপূর্ণ অভিভাবকত্বের ছোঁয়া অর্জন। তখন ওদের একটিই ছেলে শুভ, সম্ভবত বছর তিনেকের হবে। সঙ্গে থাকত সেও।
তবে আসল যোগাযোগটা ঘটতে থাকল এর বাইরে। আলতাফ স্বভাবে, ভাবনায়, এমনকি আচরণে মূর্তিমান কবি। রফিক এক উচ্চাভিলাষী দার্শনিক কবি। ঢাকায় তাকে বন্ধুরা অনেকেই ডাকত পি. রফিক, পাগলা রফিক, সে অবশ্য বলত পি. হলো প্রফেটের আদ্যাক্ষর, কবি প্রফেটিক ব্যক্তি তো বটে। তা হতেও পারে, সংস্কৃতে কবি শব্দের একটি অর্থ হলো সত্যদ্রষ্টা – যাঁরা মোহময় বাস্তবতার আড়াল ছিন্ন করে নিরেট সত্য তুলে আনতে পারেন। তাই কবিরাই পারেন স্মরণীয় পঙ্ক্তি রচনা করতে।
আলতাফের ব্যক্তিত্ব ছিল পরোক্ষ, রফিক প্রত্যক্ষ; আলতাফের সঙ্গ অন্তর্স্পর্শী, রফিক নাড়া দেয় ভাবে ও মননে; আলতাফ অনুভূতির জগৎকে ছুঁয়ে দেয়, রফিক বোধ-বুদ্ধিকে জাগিয়ে তোলে। দুজনের বন্ধুত্বে মজেছিলাম তখন। রফিক একসময় ছাত্র রাজনীতিতে সক্রিয় থাকলেও তখন হৃদয়ে-মননে হাড়ে-মজ্জায় কবিতায় নিমজ্জিত। এ নিয়ে আবেগের কমতি ছিল না তার। তার প্রবল বেগ সঙ্গীদেরও চলার প্রেরণা দিত। এতে ভূমিকা রাখত তার ব্যক্তিত্বের আকর্ষণী শক্তি।
আলতাফ কবিতার ক্র্যাফ্ট বা শৈলী ভালোই বুঝত, তার কাব্যভাষা ও প্রকাশ তখনই একটা নিজস্ব ধারা পাচ্ছিল। রফিক ছিল পাঁড় পাঠক, বিশ্বসাহিত্যে তার অদম্য তৃষ্ণা। ওর কাছে শুনতে শুনতে ক্রমাগত আমাদের কাব্যজগতের বিস্তার ঘটেছে; বিশেষত জার্মান, হিস্পানি ও রুশ কবিতার স্বাদ পেতে থাকলাম। ইতালীয় এবং পূর্ব ইউরোপের কবিতারও সন্ধান দিচ্ছিল রফিক। বাড়িতে আয়োজনটা ছিল বলে আমার বিশ্ব কথাসাহিত্যের কিছু পড়া ছিল, কিন্তু রফিকের কাব্যরুচিতে এ যেন এক কবিতার বাঁধভাঙা প্লাবন, অন্যসব চিন্তা তখনকার মতো ভাসিয়ে নিয়েছিল। আমরা সদলে কবিতায় বুঁদ হতে থাকলাম।
বলা যায়, সাহিত্যের আকর্ষণ ও কবিতার তাগিদে কখন যেন ছাত্ররাজনীতিই ছেড়ে দিলাম। তবে রাজনীতি সচেতনতা বজায় থাকল। রফিকই উদ্যোগী হলো একটি কবিতা পত্রিকা প্রকাশের। তানি আপা বরাবর এসব ব্যাপারে উৎসাহী। আলতাফ ও রফিকের সোৎসাহ প্রেরণাতে আমিও কবিতায় হাত পাকাতে থাকলাম। আমি বোধহয় আলতাফের মতো স্বাভাবিকভাবে কবিত্বশক্তি নিয়ে বড় হইনি, আয়ত্ত করার চেষ্টা করেছি। কিন্তু আমার ছিল দ্রুত একটা কিছু লিখে খাড়া করবার সামর্থ্য, আর ছিল মুদ্রণ সম্পর্কে কিছু অভিজ্ঞতা, কিছুটা সাংগঠনিক দক্ষতা।
আলতাফের কবিতার পরে গান ছিল ধ্যানজ্ঞান। রবীন্দ্রসংগীত শুনতে শুনতে উচ্চাঙ্গসংগীতের শ্রোতায় পরিণত হয়েছিল সে। তার ছিল ভাষা ও কবিতায় সহজাত পরিশীলন। তুলনায় রফিকের ছিল মানবজীবনের আদিম মৌলিকত্বের প্রতি তীব্র আসক্তি। শিল্প যে পরিমার্জন দাবি করে তার প্রতি ভ্রুক্ষেপ করতে চাইত না। অতি-নান্দনিকতার প্রতি তার ছিল প্রবল তাচ্ছিল্যের ভাব, কালচার্ড আর কালচারিস্টের মধ্যে তফাৎ জানত।
প্রথম বই বৈশাখী পূর্ণিমার কবিতা তখন কিছু লেখা হয়েছে, কিছু চলছে। রফিক কবিতা পত্রিকা প্রকাশে সিরিয়াস। এর জন্যে দলভারি করতেও চাইল, কিন্তু শহরে আরো যারা লিখছে তাদের ব্যাপারে তেমন আগ্রহী হলো না। আমাদের সঙ্গে জুটে গেল আমার ইংরেজি বিভাগের সহপাঠী দিবাকর বড়ুয়া এবং তার সূত্রে তারই জ্ঞাতিভাই তপনজ্যোতি বড়ুয়া। দুজনই ইংরেজি সাহিত্যে ভালো ফল করে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হয়েছিল, দিবাকর অবশ্য বৃৃত্তি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি দেয়। ডিগ্রি করে আর ফেরেনি, সেখানেই পড়ায়। তপন তার চাকরি শেষে অবসরে গিয়েছিল, সম্প্রতি দুরারোগ্য ব্যাধিতে তার জীবনাবসান হয়েছে।
তানি আপা, আলতাফ, আমি, দিবাকর এবং তপন – এই পাঁচজনকে সঙ্গে নিয়ে রফিকের কবিতা পত্রিকার অভিযান শুরু হলো। ও চায় ইয়েটসদের রাইমার্স ক্লাবের মতো একটি ইশতেহার লিখবে। অর্থাৎ যা লেখা হচ্ছে তা কবিতা হচ্ছে না, নতুন ভাবনা, নতুন ধরন, জীবনের নতুনতর উদ্ভাসন চাই কবিতায়। এটি লেখা চলল বেশ কিছুদিন। তারপরে একসময় প্রকাশিত হলো ক্ষীণকায় কবিতা পত্রিকা অচিরা। নাম নিয়ে গবেষণা কম হয়নি, এ-নামটি সম্ভবত তানি আপারই দেওয়া। শব্দটির একটি অর্থ বিদ্যুৎ – অচিরার কবিতা ঝলসে উঠবে এবং ঝলসানিতে অন্যদের হয়তো মোহিত করবে বা আচ্ছন্ন করে রাখবে। হয়তো এমন চিন্তা রফিককে উৎসাহিত করে থাকবে।
এর মধ্যেও বুঝতে পারতাম তার মধ্যে চলছে কবির অন্বেষণের প্রবল আলোড়ন। নিয়ম বা গণ্ডির মধ্যে আটকে থাকতে তার কষ্ট হচ্ছে। কবিতায় যা যেভাবে বলতে চাইছে তা আসছে না। রফিকের অস্থিরতা আমাদের মধ্যে সংক্রমিত না হয়ে এক ধরনের উদ্বেগ তৈরি করেছিল। সম্ভবত এ-সময়ে ছেলের অসুস্থতাও শুরু হলো, তানি আপার মধ্যে শঙ্কাকুল ব্যাকুলতার প্রকাশ ঘটেছিল, একটা যেন ক্রাইসিস তৈরি হচ্ছিল তাদের নিজেদের গণ্ডির মধ্যে।
এমন সময় দেশের রাজনৈতিক আন্দোলন তুঙ্গে উঠতে থাকল, ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থান, আইয়ুবের পতন, নির্বাচনের প্রস্তুতি, রাজনৈতিক অঙ্গনে ফের জোয়ার নিয়ে এলো, সঙ্গে এলো প্রকৃতির প্রহার – সত্তরের ঝড়-জলোচ্ছ্বাস, অসংখ্য প্রাণহানি। সব মিলে সংবেদনশীল মানুষের মনে নিজকে ছাপিয়ে উঠে বৃহত্তর পরিসরের ডাকে সাড়া দেওয়ার তাগিদ এসে পৌঁছায়। আমরা চিন্তাগ্রস্ত। আবার সেই সঙ্গে আশাবাদে উন্মুখ হচ্ছি ভবিষ্যৎ নিয়ে। রফিক চিন্তিত, সঙ্গে অস্থিরতা, বিপ্লবের সময় কবির কী কাজ সেসব আসছে ভাবনায়। বিপ্লবের এক তোলপাড় করা সময়ের আসন্নতায় রফিক কখনো উদ্দীপ্ত, কখনো মন-মরা, কখনো ঝাঁপিয়ে পড়তে উদ্গ্রীব, কখনো নিজের মধ্যে নিজেকে গুটিয়ে নিচ্ছে।
এরই মধ্যে হয়ে গেল নির্বাচন। বিজয় উল্লাস, আনন্দ, আবারো বাঁধভাঙা জোয়ার। তারপর ষড়যন্ত্র ও প্রত্যাঘাতের নানা পর্ব। গুমোট অবস্থা দেশে। রফিকের মধ্যেও সেই গুমোট। তারপর পঁচিশে মার্চের কালরাত্রি। শুরু হলো আমাদের জীবনের সবচেয়ে তাৎপর্যময় অধ্যায় – মুক্তিযুদ্ধ।
শুরুটা কেটেছে উদ্বেগে ও অনিশ্চয়তায়। সবার মতো আমাদেরও। বাড়িও ছাড়তে হলো, আলতাফের সঙ্গে যোগাযোগ হলো বটে, তবে রফিকের সঙ্গে হয়নি। তারপর নানা অভিজ্ঞতার ভেতর দিয়ে এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহে নিরাপত্তার জন্যে বাবাকে নিয়ে গ্রামে খালার বাড়িতে চলে যাই আমরা। জুলাইয়ে ফিরে আলতাফকে পাই, কিন্তু রফিককে আর পাইনি। কোনো একসময় জানলাম সে একাই কোনো দলের সঙ্গে ভারতে পাড়ি দিয়েছে। তানি আপা কষ্টেসৃষ্টে ছেলেকে নিয়ে ঢাকায় বাবার বাড়ি চলে যান।
স্বাধীনতার পরে রফিক ঢাকায় বদলি হয়ে প্রথমে ঢাকা কলেজ, তারপর একসময় থিতু হয় জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে। সেটিই হয়ে ওঠে তার পরবর্তী দীর্ঘ সময়ের ঠিকানা।
রফিকসহ আমরা অচিরার দুটি সংখ্যা প্রকাশ করেছিলাম। এরপরে আলতাফ, দিবাকর, তপনকে নিয়ে আরো একটি। তারপরে আলতাফ চাকরি নিয়ে চলে যায় প্রথমে কুমিল্লা, পরে ঢাকায়। দিবাকর চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগ দিয়েই বৃত্তি নিয়ে চলে গেল যুক্তরাষ্ট্র। তপন আর আমি থাকলাম। এরপরে আমাদের শিশু প্রতিষ্ঠান ফুলকিতে চালু হলো পাঠচক্র – অচিরা পাঠচক্র। নতুন প্রজন্মের একঝাঁক তরুণ, অধিকাংশ বিশ্ববিদ্যালয়পড়ুয়া, এখানে এসে যুক্ত হয়েছে। সেই থেকে অচিরা পাঠচক্র থেকেই অচিরার আরো বেশ কয়েকটি সংখ্যা বেরিয়েছে। প্রতিটিতেই আমার সঙ্গে আর কেউ যুক্ত থেকেছে সম্পাদক হিসেবে। প্রায় দুই দশকের পরিসরে সম্ভবত অচিরার ষোলোটি সংখ্যা প্রকাশিত হয়েছিল।
চটগ্রামেই, পাকিস্তান আমলে, রফিকের প্রথম কবিতার বই বৈশাখী পূর্ণিমা প্রকাশিত হয় ১৯৭০ সালে। একজন ধর্মস্রষ্টার জীবনের তাৎপর্যপূর্ণ উপলক্ষকে কবিতার বইয়ের শিরোনাম করার মধ্যে ঐতিহ্যপন্থী মানুষের ভাবমূর্তি ফুটে ওঠে। আদতে তখনো রফিক তার পথ, কাব্যভাষা, প্রকরণ খুঁজে ফিরছে। অনেক কবিতাই দুর্বল। তবে বোঝা গেছে যে, রফিক নিজের অতীতের মধ্যেই তার জগৎ খুঁজে নেওয়ার কথাই ভাবে। আমরা লক্ষ করি, কোনো প্রতিষ্ঠিত প্রমিত জীবনদর্শনকে তার স্বদেশ অন্বেষণের ভিত হতে দিতে চায় না রফিক। কারণ স্বদেশের চেতনা বিমূর্তও নয়, নিছক প্রকৃতিকেন্দ্রিকও নয়, সে খোঁজে পাত্র এবং উপযুক্ত পাত্রী এবং মূলত ব্যক্তিও নয়, সমষ্টি, মূলত সাধারণজনই তার পাত্র-পাত্রী। ব্যক্তির মধ্য দিয়ে সে খোঁজে সেই জনগণকে, তার সূত্রে আসে প্রকৃতি, বিশেষত নদী। তাকে এ-অন্বেষণ চালিয়ে যেতে হয়েছে। পরের বই ধূলোর সংসারে এই মাটি (১৯৭৬)-তে সে তার বিচরণক্ষেত্র খুঁজে পেয়েছে, মানুষেরও দেখা মিলতে শুরু করেছে। যদিও অভীষ্ট জনের দেখা তখনো মেলেনি। এখানেও কাঁচা আবেগের ইতস্তত প্রকাশ ঘটেছে, প্রকৃতি ও মানুষ আছে বটে, তবে তারা হাজিরা দিয়ে হারিয়ে যাচ্ছে, দীর্ঘস্থায়ী প্রভাব বিস্তারে এখনো অক্ষম। কীর্তিনাশায় এসে মোহাম্মদ রর্ফিক যেন খুঁজে পেল তার কণ্ঠস্বর – ভাষা এবং বিষয়। তারপর এই ধারাতেই এগিয়ে যাওয়া। এগোতে গেলে বদলাতে হয়, নিবিষ্ট পাঠক বাঁক ও বদল লক্ষ করবেন তার কবিতায়।
স্বাধীনতার পরে মোহাম্মদ রফিকের সঙ্গে মাঝে মধ্যে ঢাকা কলেজে দেখা হয়েছে। তারপর এখানে-ওখানে অল্পবিস্তর। আমি অনেক রকম সাংগঠনিক কাজ, সাংবাদিকতা এবং নিজের মতো লেখালেখিতে থাকলাম, কিন্তু সাহিত্যিক বন্ধুত্ব আর সেভাবে দীর্ঘায়িত হয়নি। সর্বশেষ বোধহয় বছরখানেক আগে বিশ্ব সাহিত্যে কেন্দ্রের ওপরে বই বিপণি বাতিঘরে তার একক বক্তব্যের আসরেই দেখা হলো। অসুস্থতা বোঝা যাচ্ছিল, তবুও ঘাটতি ছিল না তার ওজস্বিতার।
দূর থেকে মনে হতো, এ এক অনিয়ন্ত্রিত জীবনের বেহিসেবি চলন। কিন্তু বাইরে যেমনই হোক ভেতরে নিশ্চয় নিয়ন্ত্রণের ভার তার নিজের হাতে ছিল। এ না হলে সৃজনশীলতার ঘাটতি হতো।
রফিক মানে বন্ধু। সে ছিল বন্ধু, সাহিত্য ও কাব্যের এক দিশারী। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে একটা মনোমত ভুবন পেয়েছিল। অসংখ্য তরুণ-তরুণীর দেখা পাই যারা তার মননের স্পর্শে ও মানসের সংস্পর্শে নবজীবনের সন্ধান পেয়েছে। প্রাণিত করা, অনুপ্রাণিত করা ওর ধর্ম। তরুণ-তরুণীদের সান্নিধ্য তাকে উজ্জীবিত রেখেছিল – প্রাণ দিয়ে সে প্রাণ পেয়েছে। আজীবন ছিল প্রাণবন্ত , প্রাণ ছিল অফুরন্ত। না, মৃত্যুতে সে প্রাণের রসদ ফুরোয়নি, রয়েছে লেখায়, কবিতায়।
Leave a Reply
You must be logged in to post a comment.