কী যে ভালোবাসি মেয়ে, কী যে ভালোবাসি। তুমি তা বোঝো না বোঝো না। বোঝো না বলে আবার হলুদ দোতলা বাড়ি নিয়ে কবিতা লিখছি। ছাইরঙা জানালায় মিশে যাওয়া তোমার লজ্জা, আলো নিভিয়ে দেবার পর আরো আলোকিত ঘরের রহস্য আমাকে গোলকধাঁধায় ফেলে। তুমি চুল বাঁধতে বাঁধতে আমার বোকামো দেখে হেসে কুটিকুটি। 

ময়ূরের পেখম ছুঁয়েছি কবে, কবে দেখেছি হরিণের ছুটে চলা, জলপাই আচার কেনার কথা কেন ভুলে গেছি, শাড়ি কেনার সময় আমি কেন ষোলো আনা এইসব খুনসুটিমাখা সুখ তুমি সেফটিপিনের মাঝামাঝি লুকিয়ে রেখেছো। 

শৈত্যপ্রবাহের রাতে উষ্ণতা পাবার জন্য তোমার নামটা উচ্চারণ করি। হলুদ দোতলা বাড়ি, কুয়াশায় ভেজা লাইটপোস্টের নির্জনতা, পিচঢালা পথ, হাস্নাহেনা ফুলের গন্ধ, সিঁড়িতে কারো পায়ের শব্দ আমাকে মাতাল করে দেয়। 

কী যে ভালোবাসি মেয়ে, কী যে ভালোবাসি। তুমি তা বোঝো না বোঝো না। তবু অহর্নিশি তোমার বন্দনা পুনর্জন্ম দেয়। ফুরফুরে থাকে মন। মনে হয়, এই বুঝি তুমি জেনে গেলে আমার বেদনা …।