বিভাস রায়চৌধুরী
নিসর্গকে আড়াল ক’রে বহুবিধ জ্ঞান আমাদের খায়।
ভেবে দেখার পর ভাবনা আর কোনো কাজেই লাগে না।
আরো আছে গানবাজনা। আরো আছে হলুদ পাখি। তবু কেন
এসেছিলাম জানা গেল না কোনোভাবেই। সেই হেতু প্রতিটি
স্নান ব্যর্থ হয়ে গেছে। এপার-ওপার হাওয়ায় বৃষ্টির মতো
লাগে ঝরাপাতা। তুমি এলে তোমাকে আয়োজন ভাবি। মুহূর্তে
ঝাঁপাই। পরমুহূর্ত অপেক্ষায় থাকে। চুম্বন কুড়োনোর শেষে
কোথায় লুকোব হা-অন্ন দুচোখের জল। মেধায়, বাকলে, উচ্চতায়
হে প্রেম, তোমাকে মনে হয় কাঁদতে কাঁদতে ঘুমিয়ে পড়া মমি।
বসন্তপাখির যাতায়াত। যত দৃশ্য তত গ্রীষ্ম লুক্কায়িত
জেনো। নদী শীর্ণ হয়ে আছে। জীবনের সমাধান মুশকিল চলো
চলো হাঁটি। ওই তো উদ্ভিদ যার জন্য তোমাকে পেয়েছি।
এসো। দেখাও তোমার ফার্ন! পৃথিবী নির্জন। দেখাও তোমার
ফার্ন! যদি টের পাও আমাদের জাগরণ বাঁশবনে ঘুঘু ডাকে।
জগৎ বসাই এসো। দু-শরীরে কাঁপতে কাঁপতে কী যে হচ্ছে ছাই
বুঝতেই পারবে না …
ভোরবেলা পালক কুড়োব। তোমাকে না। তুমি থাকো।
বিরহী নদীর তীরে বিষাদের মৃদু ভোজসভা … নীল প্রভাবিত।
ভোরবেলা ভালোলাগে এসেছি এ-কথা ভেবে। কোথায় এসেছি?
তারাবন? রাতের আকাশ ধ্বংস হয়ে গেলে ভোরবেলা মহান
পাখির সাদা পালক কুড়োব। তোমাকে না। তুমি ধ্বংস নও। তুমি মৃত।
Leave a Reply
You must be logged in to post a comment.