বস্তুর ভিতর থেকে তুলে আনো নৈর্ব্যক্তিক ভয়াল শূন্যতা,
বস্তুহীনতার ধুধু প্রান্তরে তোমার অন্বেষণ সেই আলো –
যা দেখেনি এ-পৃথিবী অতীতে কখনো। তোমার নিয়তি সেই
অলৌকিক সুন্দরের অন্বেষণ শুধু।
এইভাবে অন্বেষণে তৃষ্ণায় চৌচির হবে তোমার হৃদয়।
সম্মোহন যদি ভাবো, তা-ও ভাবা যায়। বস্তুর ভিতরে ছিল
হয়তো কখনো এই দুর্লভ সুন্দর; এখন দৃষ্টিতে নেই
যেন তুমি অন্তহীন সমুদ্রের ধুধু শূন্যতায় ভ্রাম্যমাণ।
কোথায় তোমার সেই স্বপ্নে দেখা দ্বীপ! এই দয়াহীন নীল
নির্জনতার মধ্যে সঙ্গী-সাথিহীন তোমাকেই
খুঁজে নিতে হবে সেই মায়াদ্বীপ – যেখানে সুন্দর।
সুন্দর কোথায় থাকে? চিরদিন এই প্রশ্নে রক্তাক্ত কবিতা।
মর্মের বেদনা কেউ বুঝবে না, জানো তুমি কবির নিয়তি
জন্মের ভিতর তুমি বুনেছ মৃত্যুর বীজ, বিষে অঙ্গ নীল,
অনুতাপে দগ্ধ হয়ে জ্বলবে আমৃত্যু, তবু তৃষ্ণা ফুরোবে না,
যা দেখার কথা ছিল তা খুঁজে পাবে না কোনোদিন।
খেলাচ্ছলে শিশু তুমি আগুনে দিয়েছো হাত!
আগুনের দাহ্যশক্তি শিল্পের চেয়ে তো বেশি নয়;
সেই শিল্প খোঁজো তুমি বস্তুর ভিতর থেকে যা গেছে হারিয়ে!
ঘন অরণ্যের অন্ধকারে জোনাকির আলো যেমন রহস্য চিরকাল।
উন্মোচিত ছিল সবই, তোমার নিজস্ব দৃষ্টি পড়েছে বিভ্রমে,
তাই খুঁজে যাচ্ছো শুধু আপন সমুদ্রে তুমি লুপ্ত মায়াদ্বীপ!