সমরজিৎ রায় চৌধুরী : শিল্প-জীবনগাথা

ভালো মানুষ হওয়া জীবনের বড় সার্থকতা। আর যিনি শিল্প-সাধনায় নিমগ্ন, তিনি ভালো মানুষ হলে একটা আদর্শ রূপ পায়। আবার তিনি যদি হন শিল্পের শিক্ষক, তাহলে তাঁর আদর্শ জীবনাচরণ সবার কাছে হয় শিক্ষণীয়। সদ্যপ্রয়াত শিল্পী সমরজিৎ রায় চৌধুরী তেমন একজন শিক্ষক, যিনি ভালো মানুষ হিসেবে সর্বজনস্বীকৃত। তিনি তুলনামূলক দীর্ঘজীবন পেয়েছেন। এই দীর্ঘ জীবনে তাঁর চারপাশে ঘটে যাওয়া আর্থ-সামাজিক, রাজনৈতিক, ভূ-প্রাকৃতিক অনেক বিবর্তন ও বৈচিত্র্যময় ঘটনা থেকে লব্ধ অভিজ্ঞতা তাঁর শিল্পমানসে রসদ জুগিয়েছে। যদি তাঁর জীবনকে (১৯৩৭-২০২২) কয়েকটি মোটা দাগে ভাগ করে দেখা হয়, তাহলে তাঁর একজন পরিপূর্ণ শিল্পী হয়ে-ওঠার বিষয়টি অনুধাবন করা যাবে। ছেলেবেলায় কুমিল্লার নিসর্গ ও প্রকৃতি প্রত্যক্ষণ তাঁর দৃষ্টিবৈভবের মূলে সক্রিয়। মনন গঠনে জোগান হয়েছে গ্রাম্য-সংস্কৃতির কৃষ্টি, উৎসব, খেলাধুলা ও বন্ধু-বান্ধবের সঙ্গে সৌহার্দ্য-সম্প্রীতি। মায়ের এমব্রয়ডারি পারদর্শিতা তাঁর শিশুমনে সৌন্দর্য চেতনার ভিত গড়ে দিয়েছিল। সাইনবোর্ড আঁকিয়েদের মনোরম দৃশ্যাঙ্কন দেখে মুগ্ধ হয়েছেন। মাটি-মানুষ, জল-বায়ু, আলো-বাতাসবেষ্টিত নিসর্গের মধ্যে দেশমাতৃকাকে খুঁজে পেয়েছেন। সেই নস্টালজিয়া-তাড়িত মন তাঁর শিল্পসত্তাকে সারাজীবন প্রেরণা জুগিয়েছে। চিত্রে লোকশিল্পের মোটিফ বেছে নিয়ে জ্যামিতিক ফর্মে জীবনদর্শনকে সাজিয়েছেন। স্বপ্ন, উৎসব, কৃষ্টি, ঋতুবৈচিত্র্যের বয়ানে তাঁর কাজ ক্রমান্বয়ে অন্যদের থেকে আলাদা হয়েছে। চিত্রকলায় নির্মাণ করেছেন আঙ্গিকের নিজস্ব ধারা, যা একজন শিল্পীর সৃজনশীলতার প্রথম শর্ত। ২০০৭ সালে বেঙ্গল শিল্পালয়ে প্রদর্শিত শিল্পীর পঞ্চম একক প্রদর্শনী প্রসঙ্গে সৈয়দ আজিজুল হক লিখেছেন, ‘যে শান্ত, নম্র ও সৌম্য রূপ তাঁর ব্যক্তিজীবনাচারের অপরিহার্য অংশ, তা তাঁর চিত্রকেও সব বৈশিষ্ট্যের অনুগামী করেছে’ (‘জ্যামিতিক ফার্মের জীবনদর্শন’, কালি ও কলম, চতুর্থ বর্ষ, তৃতীয় ও চতুর্থ সংখ্যা, বৈশাখ-জ্যৈষ্ঠ ১৪১৪, পৃ ৮৬)। দৃঢ়তার সঙ্গে উল্লেখ করা যায়, গ্রাফিক ডিজাইনের বৈশিষ্ট্যকে বজায় রেখে সুকুমার চিত্রকলাচর্চায় তিনি এক অনন্য নজির স্থাপন করেছেন। বিষয়টি খতিয়ে দেখার প্রয়োজন এজন্য যে, চারুকলার যত বিভাগ আছে সেগুলির প্রায় প্রত্যেক শিক্ষক-শিল্পী ছবি আঁকার প্রতি মনোযোগী। অনেকেই বিভাগকেন্দ্রিক মাধ্যমগুলি চর্চার পাশাপাশি কেউ কেউ সেই চর্চা এড়িয়েও যান। ছবি আঁকাকে গুরুত্বের সঙ্গে নেন। সমরজিৎ রায় চৌধুরী ডিজাইনের ছাত্র হিসেবে সফলতার স্বাক্ষর রেখেছেন এবং তিনি ডিজাইন বা নকশা ব্যবহার করেই রসোত্তীর্ণ ছবি এঁকেছেন। অর্থাৎ শিক্ষকতা এবং শিল্পচর্চায় তিনি প্রতিষ্ঠানের কাছে দায়বদ্ধ ছিলেন। দীর্ঘ শিক্ষকতাজীবনে কাজে কখনো ফাঁকি দেননি। ১৯৬০ থেকে ২০০৩ সালে অবসর গ্রহণের সময় পর্যন্ত একজন আদর্শ শিক্ষকের ভূমিকা থেকে কখনো বিচ্যুত হননি। তিনি সদা নিবেদিত ছিলেন গ্রাফিক ডিজাইনের ব্যাপক প্রসারের ক্ষেত্রে। সজাগ দৃষ্টি দিয়ে তিনি অভিভাবকের দায়িত্ব পালন করেছেন।

সমরজিৎ রায় চৌধুরী ১৯৫৪ সালে প্রবেশিকা (ম্যাট্রিক) পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে ১৯৫৫ সালে গভর্নমেন্ট ইনস্টিটিউট অব আর্টসে (বর্তমান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদ) কমার্শিয়াল আর্ট (গ্রাফিক ডিজাইন) বিভাগে ভর্তি হন। ১৯৬০ সালে প্রথম শ্রেণিতে প্রথম স্থান অধিকার করে তিনি স্নাতক ডিগ্রি সম্পন্ন করেন। তাঁর মেধায় আবিষ্ট হয়ে শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিন তাঁকে ডেকে এনে শিক্ষকতায় যোগদান করতে বলেন। ১৯৬০ সালে শিল্পী নিখিল পাকিস্তান টেক্সটাইল ডিজাইন প্রতিযোগিতায় প্রথম পুরস্কার লাভ করেন। গ্রাফিক ডিজাইন-সংক্রান্ত তাঁর কাজগুলিতে রয়েছে নতুনত্ব এবং বৈচিত্র্যের স্বাক্ষর। অসংখ্য নান্দনিক প্রচ্ছদ এবং পোস্টারও করেছেন। বাংলাদেশের সংবিধান অলংকরণে নিয়োজিত শিল্পীদের তিনি ছিলেন একজন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, জাতীয় গ্রন্থাগার, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশন, বিমান বাংলাদেশসহ তাঁর করা অনেক লোগো প্রশংসিত হয়েছে। তাঁর ডিজাইন-সংক্রান্ত কাজগুলিতে রয়েছে পরিমিতিবোধ ও পরিচ্ছন্নতা, অপরদিকে চিত্রগুলিতেও প্রকাশ পেয়েছে নিজস্ব ভাবলোকের গভীর অনুভূতি। গ্রাফিক ডিজাইনের মূলনীতিকে তিনি শৈল্পিকভাবে চিত্রকলায় প্রয়োগ করেছেন। বিষয়টি খুব একটা সহজ নয়, কারণ ডিজাইন ও চিত্রকলার মধ্যে এক সূক্ষ্ম পার্থক্য রয়েছে। একটি চলে অনেকটা নিয়মের অনুশাসনে, অন্যটি অবচেতন মনের নির্ভার আনন্দে। হীরা ও কাচ, সোনা ও ইমিটেশন, মধুর চাক ও বোলতার চাকের পার্থক্যের মতোই বাণিজ্যিক নকশা আর নকশাধর্মী চিত্রকলায় থাকতে হয় সুস্পষ্ট পার্থক্য। শিল্পী সমরজিৎ রায় চৌধুরীর চিত্রকলা ও ডিজাইনের কাজে শিল্পরসিকদের গোলকধাঁধায় পড়তে হয় না।

ছেলেবেলা থেকেই সমরজিৎ রায় চৌধুরীর ছবি আঁকার প্রতি ছিল প্রবল আগ্রহ। মৃত্যুর পূর্ব পর্যন্ত সে-আগ্রহের কখনো কমতি ঘটেনি। স্কুলে ছবি আঁকার জন্য পুরস্কৃত হয়েছেন।

অষ্টম-নবম শ্রেণিতে পড়ার সময় শিল্পী হওয়ার স্বপ্ন নিয়ে এগিয়েছেন। ঢাকা চারুকলার ছাত্র ও শিক্ষকরা মিলে ১৯৫২ সালের ভিক্টোরিয়া কলেজে একটি প্রদর্শনী করেছিলেন, বলা যায়, সেই প্রদর্শনীতে অংশগ্রহণের মধ্য দিয়ে তাঁর শিল্পীজীবন শুরু। ২০২২ সালে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি কর্তৃক প্রকাশিত আমি ও আমার শিল্পজীবন গ্রন্থের স্মৃতিচারণায় তিনি লিখেছেন, ‘কুমিল্লার নিয়মিত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানগুলো আমাকে চারুশিল্পের প্রতি আকৃষ্ট করেছে। … আত্মাকে বিকশিত করতে সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের বিকল্প নেই। আমি এখনো এগুলো মনে ধারণ করে চলি।’ শুধু সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান নয়, স্কুলে পড়ার সময় মাছ ধরা, ঘুড়ি ওড়ানো, ফুটবল খেলা, ডাকটিকিট এবং দেশ-বিদেশের মুদ্রা সংগ্রহের নেশা তাঁর সমৃদ্ধ শিল্পমানস গঠনের ভিত গড়ে দিয়েছিল। এই শিল্পমানস দর্শকের সামনে বড় পরিসরে দৃশ্যগোচর হয় ১৯৮৩ সালে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমিতে তাঁর প্রথম একক চিত্রকলা-প্রদর্শনীর মাধ্যমে। ফুল, লতাপাতা, গাছ, মানুষ, নিসর্গ মন্ময় নকশা, ভরাট রং ও আলোছায়ার চিত্র তিনি এমনভাবে এঁকেছেন, যা পাশ্চাত্য রীতিতে দেশজ ভাবনার পথ খুলে দিয়েছিল। এই কাজগুলি অবশ্য কাইয়ুম চৌধুরীর চিত্রকলার সঙ্গে কিছুটা সাদৃশ্যপূর্ণ। গোয়াশ মাধ্যমে করা ‘স্বদেশের গান’ সিরিজের একটি চিত্রে কলসি কাঁখে দুজন রমণীকে নদীর ঘাটে দাঁড়িয়ে থাকা অবস্থায় দেখা যায়। নিমগ্ন দৃষ্টি ছাড়া এই ছবির চিত্রজমিন থেকে ফিগারকে খুঁজে আলাদা করা সম্ভব নয়। চিত্রজমিনে ফুল, পাখি, মানুষ, গাছপালা, নদী-মাটি রং-আলোছায়ামিশ্রিত একাধিক ফর্মে একটি গল্প তৈরি করে। দর্শকদের চোখ ঘুরে ঘুরে সে-গল্প উদ্ধার করে।

সমরজিৎ রায় চৌধুরী মূলত পশ্চিমের রীতিশৈলীকে নিজস্ব ঐতিহ্যের সঙ্গে সংমিশ্রণ করেছেন, ডিজাইন ও রঙের আবেশে প্রকৃতি ও প্রকৃতিমধ্যস্থ বিষয়গুলিকে নিজস্ব পর্যবেক্ষণের রসায়ন তুলে ধরেছেন। সাদৃশ্যমূলক দৃশ্যবর্ণনার চেয়ে সাংকেতিক আকার ও প্রতীকের দিকে তিনি বেশি ঝুঁকেছেন। নানারকম জ্যামিতিক আকার, ছোট-বড় ত্রিভুজ, রং লেপ্টে মোটা-চিকন রেখার চলন তাঁর চিত্র গাঁথুনিকে মজবুত করেছে। প্রথম পর্বের কাজের মধ্যে পরিচিত দৃশ্যরূপের সঙ্গে নানা সাদৃশ্য পাওয়া যায়। এই প্রদর্শনীর পর তিনি যেন প্রতিটি দশক জুড়েই নিরন্তর নিরীক্ষা করে গেছেন, আঙ্গিকের পরিবর্তন ঘটিয়ে চলেছেন প্রতিটি পর্বের কাজে। সে-আঙ্গিকের কাজগুলিতে রেখা হয়ে উঠেছে প্রধান। হালকা রঙের বাহারি চালে রং ও ফর্মে তিনি মিনিমাইজেশন এনেছেন। পরবর্তী সময়ে যৌথ ও একক প্রদর্শনীতে এ-ধরনের কাজ লক্ষ করা যায়। বিশেষ করে ২০১৪ সালে বেঙ্গল গ্যালারি অব ফাইন আর্টসে আয়োজিত একক প্রদর্শনীর কাজগুলি দেখলে বিষয়টি অনুধাবন করা যায়। রঙে রোমান্টিকতা আছে, পাশাপাশি নবরসের ভাবও প্রকাশিত হয়েছে চমৎকারভাবে। ষড়ঋতু, নিসর্গের দৃশ্য, গ্রামীণ জীবন ও নাগরিক বিষয়ের অন্তর-অনুভূতিজাত দৃশ্যকল্প গল্পাকার ফর্মে শিল্পী তাঁর ছবিগুলি সাজিয়েছেন।

তাঁর প্রতিকৃতিপ্রধান চিত্রগুলিতে সমরজিৎ রায় চৌধুরী বিশেষ কিছু বার্তা দেন এবং এমন বস্তুর অবতারণা করেন যা চিত্রের কম্পোজিশনকে বিশেষ আলংকারিক মাত্রা দেয়। ২০১১ সালে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে জয়নুল গ্যালারিতে প্রদর্শিত তাঁর বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিপ্রধান এমন একটি চিত্রের ডানদিকের অর্ধেকটা জুড়ে রয়েছে বঙ্গবন্ধুর ছবি, বাঁদিকের অর্ধেকের মাঝামাঝি রয়েছে নৌকা, নদীর দৃশ্য, শাপলা ফুল, মাছ ও হাঁস। চিত্রের ওপরের অংশে নদীপাড়ের গ্রাম ও আকাশ। এই চিত্রে শিল্পী মূলত বাংলার চিরচেনা রূপের সঙ্গে বঙ্গবন্ধুর অভিন্নতা মিলিয়ে ব্যাখ্যা করেছেন। চিত্রে প্রতিকৃতি ও নিসর্গ মিলেমিশে একাকার হয়ে যে দ্যোতনা সৃষ্টি করে ‘ভালোবাসার একটি মুহূর্ত’ (২০১৩) চিত্রটি তার এক অনন্য উদাহরণ।

শুধু কি গ্রাম, শহরকেও শিল্পী বেঁধেছেন তাঁর নকশার ডিজাইনে। উদাহরণ হিসেবে ‘পুরনো ঢাকা শহর’ (২০১৩) চিত্রের কথা উল্লেখ করা যায়। এখানে রয়েছে একাধিক ফিগার, জ্যামিতিক নকশার ইমারত ও গাছপালা। বলা যায়, গ্রাম ও শহরে আমাদের যাপিত জীবনের বয়ানকে কিছুটা সরল করে তিনি তাঁর ফর্মে বেঁধেছেন। আমাদের দেশের রূপবৈচিত্র্যই তাঁর চিত্রের বিষয়। যে-চিত্র দর্শককে আনন্দ দেয়, ভাবিয়ে তোলে, দেশমাতৃকার রূপ-বৈচিত্র্যের সন্ধান দেয় – তারই অনুসন্ধানে থাকতেন সমরজিৎ রায় চৌধুরী।

তাঁর ছবির প্রাণ মূলত রেখা। এই রেখার সন্ধান তিনি পেয়েছেন

প্রকৃতির মধ্যেই। শিল্পী জাহিদ মুস্তাফা শিল্পপ্রভায় এর একটি নান্দনিক ব্যাখ্যা দিয়েছেন। অর্থাৎ চেনা জগতের মধ্যেই তিনি যে-রেখাগুলি দেখে থাকেন তাই ভর করেছে তাঁর চিত্রজমিনে। এই রেখা সচল, নেচে, গেয়ে, খেলে ষোড়শীর ঢংয়ে আনন্দে আত্মহারা হয়ে চলে অথবা থমকে দাঁড়িয়ে ছবির কাঠামো, ছবির বিষয়বস্তু, ছবির রংকে প্রণয়ে বাঁধে। তখন ফর্ম ও রং রাগ-অনুরাগের ব্যঞ্জনা সৃষ্টি করে।

সমরজিৎ রায় চৌধুরীর জ্যামিতিক ফর্ম চিত্রকর্মকে আবদ্ধ করে রাখে না, বরং দর্শকের চোখ চিত্রজমিনের এক অঞ্চল থেকে আরেক অঞ্চলে ঘুরে বেড়ায়। তাঁর মনকে চিত্রজমিনের পরিধিকে বড় করে দেখতে শেখায়। পানির মধ্যে ঢিল ছুড়লে যেমন তরঙ্গ হয়, মুহূর্তের মধ্যে ঢেউয়ের কম্পন বিস্তার ঘটে এবং মিলিয়ে যায়, তেমনি রেখাগুলির গতিপথ ধরে এক রূপ থেকে আরেক রূপের কম্পন সৃষ্টি হয়, আবার বিলীনও হয়ে যায়। এক দৃশ্য থেকে আরেক দৃশ্য রূপান্তরিত হতে থাকে।

বুকের ওপর দুই হাত গুটিয়ে যে-শিক্ষক স্মিতহাস্যে শিল্পবোধকে উজ্জীবিত করতেন, তিনি চলে গেছেন না-ফেরার দেশে। রেখে গেছেন আদর্শ। শ্রেণিকক্ষ ও শ্রেণিকক্ষের বাইরে তাঁর শিক্ষকতার আদর্শ সবাইকে যুগ যুগ ধরে অনুপ্রাণিত করবে।