অলোকরঞ্জন দাশগুপ্ত
পাড়ার মেয়ের নাম রেখেছি ‘আমিত্মগোনে’
আশ্বিনের ভোরে।
শুনল না কেউ, কালান্তরের আন্দোলনে
যারা ভীষণ জোরে
আওয়াজ দিল, তারাও ছিল শ্রম্নতিশীতল;
এবং ঘুমের ঘোরে
যেসব পাথর মগ্ন ছিল রইল নিথর
আমার সম্বোধনে।
এবং কিনা আমিত্মগোনে রইল বধির
রইল নিজের মনে,
এবং পাড়ার শাসক ক্রেয়ন ছিলেন শক্তিমদির
রক্ষণাবেক্ষণে,
তোমায় দেখে মজে রইলাম মজা নদীর
নাম সংকীর্তনে,
কী করে তবু ফেরাই মুখের ফসকানো তীর
ভোরের প্রথম ক্ষণের?
তবু বিশ্বাস করতে ইচ্ছে হয়
খুব সম্ভব মৃত্যুর মুখ থেকে
ফিরে এসে তাঁর খিদে পেয়েছিল খুব,
বললেন : ‘এসো, সেরে নিই প্রাতরাশ’,
সঙ্গে-সঙ্গে শিষ্যেরা জাল ফেলে
ধরল একশো তেপ্পান্নটা মাছ।
হ্রদের কিনারে কাঠকয়লার অাঁচে
মাছ ভাজা হলো ভয়ানক পরিপাটি,
চেটেপুটে খেল নির্বাচিতেরা, আর
যারা ভাজা মাছ উলটে খেতে জানে না
এই রকমের হাজার পাঁচেক আরো।
সেন্ট জনের বিখ্যাত গসপেলে
শুনেছি এসব, বৃত্তিতে ছিল সেই
শিষ্যেরা জেলে, আর বিধাতার ছেলে,
তবু বিশ্বাস করতে ইচ্ছে হয়
মৃত্যু আমার নাকের ডগায় এলে
Leave a Reply
You must be logged in to post a comment.