সুহৃদ অভিভাবক

[কবি শামসুর রাহমানের প্রয়াণ মাস স্মরণে]

ক .

বাঁচার আনন্দ

কিংবা যন্ত্রণা,

সবসময়

বন্দনীয়

মনে হয়েছে তার কাছে।

যার পরিচর্যার পিঠে পিঠে ক্ষুধার্ত হয়েছিল পাখি

শত স্নিগ্ধ সন্ধ্যার উপস্থিতিতে ফিনফিনে পালক

মিথের বৈঠকে এসে মুখের প্রচ্ছদে বসেছিল;

দৃষ্টির সীমানাটা মেপে ছুঁয়েছিল রূপায়িত সত্যের

                            কলকণ্ঠের পরিচয়

খ .

লোকরুচির দশক শাস্ত্রেরই বিশেষ প্রিয়তা পাখি উদ্বেল শব্দে

মিশে যায়;  ডাকে সম্মানিত ঝিনুকের সহজ চঞ্চলতার কারুকলা,

পথছুট দিগ্ভ্রম নেই, চতুর্দিকে আলোড়ন হাসে বিস্ময়ের জব্দে –

হৃদয়ে হৃদয়ে পারাপার ছিল, সঙ্গে ছিল সময়ের বনেদি শৃঙ্খলা।

গ .

সকল মগ্নতার স্বতঃস্ফূর্ত প্রণামে জীবন – বারতা রটেছিল

চিরচেনা ওই প্রহরে,

পরস্পরের অনুভবগুলো সুহৃদ অভিভাবক সেজে রসায়নে যে

কাঁপিয়েছিল শহরে ।