মিজানুর খান
জনম : ১ জানুয়ারি ১৯৭২
পেশা : সাংবাদিকতা
প্রকাশক : ঐতিহ্য
হাজার বছরের বাঙালির জীবনে একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ সবচেয়ে মহৎ ঐতিহাসিক ঘটনা। যুদ্ধ করে স্বাধীন দেশ গঠনের এই ঘটনাটিতে জড়িয়ে আছে লাখো মানুষের প্রাণ বিসর্জন ও আত্মত্যাগের কাহিনি। যাঁরা এইসব কাহিনি নিয়ে শিল্পসাহিত্য রচনা করেছেন এবং এখনো করছেন তাঁরা আমাদের বিবেকের কণ্ঠস্বর ও নান্দনিক জীবনশিল্পী। এরকমই একটি গ্রন্থ মিজানুর খান-রচিত সোনার পরমতলা। ইয়োরোপের জার্মানি আর বাংলাদেশের পরমতলা গ্রামের পরিসরে তাঁর কাহিনি বিসত্মৃত। যুদ্ধ, মানুষের লড়াই, কিছু বিরোধী মানুষের নৃশংস অমানবিক কার্যকলাপ, হত্যা ও মৃত্যুর ঘটনা তুলে ধরে মিজানুর খান দেখাতে চেয়েছেন যে, স্বাধীনতা, অসিত্মত্ব রক্ষা ও আত্মমর্যাদা বজায় রাখার লড়াইয়ের প্রাক্কালে বিশ্বের সকল দেশই এক। বিশ্বজুড়ে মানবপ্রজাতি একই নিয়তি বরণ করছে।
পরমতলা গ্রামের মুক্তিযুদ্ধ ও মায়ের নির্যাতনের কাহিনি আর জার্মানির যুদ্ধঘটনায় নারীর অসিত্মত্ব রক্ষার জন্য আত্মমর্যাদা ত্যাগের ঘটনা একই তাৎপর্য বহন করে। এই কাহিনির সঙ্গে লেখক জুড়ে দিয়েছেন বর্তমানের এক প্রবাসীর বেঁচে থাকার লড়াইকে। তার প্রেমের গল্প ও নির্মম বাসত্মবতার কাহিনিকে। এও তো এক জীবনযুদ্ধ। কাহিনির বিন্যাস অভিনব, ছোট ছোট শিরোনামে সাজানো। সময়ের ব্যবহার, স্থান-জগতের বিচিত্র প্রয়োগে উপন্যাসটি অভিনব। মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক রচনাধারায় সোনার পরমতলা একটি মূল্যবান সংযোজন এবং এটির স্থান অবশ্যই গুরম্নত্বপূর্ণ।
Leave a Reply
You must be logged in to post a comment.