স্বল্পদৈর্ঘ্য ভোরে
সুন্দর একবার ছুঁয়ে দিলে ধুধু গভীর পতন
জংধরা আঁধার ডাকে। হিংস্র লাল নখ
নদীর ঠোঁটে শোকার্ত সংগীত। নষ্ট পর্ব
অশ্লীল কুয়াশা খামচে ধরে একুশের রোদ। রুগ্্ণশিল্প।
ডাকে জয়নুলের কাক
পোড়া স্মৃতির ছাই ওড়ে – খোঁড়াখুঁড়ি –
কানামাছি খেলা।
শিকড়ে বিশ্রী উঁই। ঝরে বৃক্ষ, লতাগুল্ম, নারী – মাঠ
থেকে ফেরা উজ্জ্বল কিশোরী
নীল বিজ্ঞাপন – পণ্যের ছায়াবৃষ্টি। টাকার গন্ধ ওড়ে নরম
মাংসে
স্নানঘর
ময়লাধোয়
শুদ্ধ জল নেই জলে
ঘৃণ্য বন্যতা। বধ্যভূমিতে পা’
রাখছে
নষ্টদের প্রেতাত্মা
কষ্টের মিছিল অপেক্ষায় –
ভাঙা শহিদ মিনার। বাঁশঝাড়ের কঞ্চিতে বসা
দুঃখী
কাক
ভেজে
কুয়াশায়
ভোদাই
জাহিদ হায়দার
যুবক চালাক হতে থাকে।
মেয়েটি হেসে প্রেমিককে বলেছিল :
কবে অংক হবে
এতোটা ভোদাই কেন প্রবল বর্ষণে?
সুশীল পাঠক শব্দের আরশিতে খুঁজছে তুলনা।
সমাজ-ভাঙনে মানুষেরা হিব্রুর রহস্য বোঝে।
পারমিতা রৌদ্রে হাঁটিতেছে।