স্মৃতিকথায় সমকালীন জীবন

গোলাম কিবরিয়া ভুইয়া
অধুনা গবেষণাকর্মে স্মৃতিকথা-সাহিত্য ব্যবহার করার সুযোগ ক্রমেই বাড়ছে। সামাজিক ইতিহাস গবেষণায় মূলত স্মৃতিকথা, আত্মজীবনী অথবা আত্মকথা গ্রহণযোগ্যতা পাচ্ছে। বাংলা অঞ্চলে আধুনিক সময়ে স্মৃতিকথা রচনার উদাহরণ বেশি পুরনো নয়। রাজনৈতিক কারণে সুরেন্দ্রনাথ ব্যানার্জী-লিখিত A Nation in Making বহুলব্যবহৃত একটি গ্রন্থ। আবার নীরদ সি চৌধুরীর Autobiography of an Unknown Indian সামাজিক ইতিহাস অধ্যয়নে বেশ গুরুত্বপূর্ণ। আবুল মনসুর আহমদ-লিখিত আমার দেখা রাজনীতির পঞ্চাশ বছর শীর্ষক গ্রন্থটিও বেশ উল্লেখযোগ্য। বিশ ও ত্রিশের দশকে জন্মগ্রহণকারী ব্যক্তিবর্গ, যাঁরা জীবনে প্রতিষ্ঠা পেয়েছেন, তাঁদের জীবন ও সময়কালের স্মৃতি বেশ কিছু গ্রন্থে প্রকাশিত হয়েছে। এগুলো বর্তমান বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক ইতিহাস অনুধাবনে বেশ মূল্যবান। প্রগতি ও আধুনিক সমাজমনস্ক লেখকদের মধ্যে এ এফ সালাহউদ্দিন আহমদ, আনিসুজ্জামান, এ বি এম হোসেন প্রমুখের স্মৃতিকথায় চল্লিশের দশক থেকে প্রায় বর্তমান পর্যন্ত সময়ের চিত্র পাওয়া যায়। নারী-লেখকদের মধ্যে বেগজাদী মাহমুদা নাসির, হামিদা বেগম, শাহানারা হোসেন, নীলিমা ইব্রাহিমসহ আরো অনেকেই রয়েছেন। আলোচ্য গ্রন্থদুটি রচনা করেছেন ড. শিপ্রা রক্ষিত দস্তিদার। তিনি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের প্রথমদিকের ছাত্রী ও পরে শিক্ষক হিসেবে কর্মজীবন শেষ করে অবসরে গেছেন। বাংলাদেশের বেশির ভাগ আত্মস্মৃতিমূলক রচনা কলকাতা এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে উত্তীর্ণদের দ্বারা লিখিত। জানামতে শিপ্রা হলেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে উত্তীর্ণ প্রথম একজন শিক্ষার্থী, যিনি স্মৃতিকথা লিখেছেন। স্বাভাবিক কারণেই চট্টগ্রাম জেলা, শহর এবং বিশ্ববিদ্যালয় তাঁর গ্রন্থে ধরা দিয়েছে। তাঁর অধিকাংশ স্মৃতি মূলত এই তিনটি স্থান ঘিরে আবর্তিত হয়েছে। বাংলাদেশে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের একজন নারী হলেন শিপ্রা দস্তিদার। তাঁর শৈশবকথা ও ছাত্রী হিসেবে প্রাথমিক, মাধ্যমিক পর্যায়ের লেখাপড়া সম্পর্কিত স্মৃতি গ্রন্থের শুরুতে রয়েছে।
নস্টালজিয়া মানুষকে তাড়িত করে অতীতের দিকে। লেখিকাও ব্যতিক্রম নন। নিজ গ্রামের স্মৃতি তিনি কখনো ভুলে যাননি। শৈশবের স্মৃতি সম্ভবত মানুষের সবচেয়ে বড় সম্পদ। পারিবারিক গ–তে যে-সীমাবদ্ধতা থাকে তার মধ্যেই মানুষ বেড়ে ওঠে। পরিবারের সুখ-দুঃখে নিজেকে মানিয়ে নেওয়ার অভিজ্ঞতাই পরবর্তী জীবনে প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে অবদান রেখে থাকে। পরিবারই তাকে ধৈর্য এবং মানবিক হতে শেখায়। সবাই এভাবে শিক্ষা গ্রহণ করতে পারলে সমাজ হতো অনেক মানবিক এবং হিংসামুক্ত।
শিপ্রা দস্তিদার তাঁর স্মৃতি রোমন্থন করতে গিয়ে সেই শৈশবের প্রসঙ্গ নিয়ে লিখেছেন, ‘১৯৭৬ সালের শেষ দিকে আমাদের বসতভিটা গ্রামেরই একজনের কাছে বিক্রি করে দেওয়া হয়। শুধু ভিটেটাই ছিল। ১৯৬৮ সালের বন্যায় বাড়ি সম্পূর্ণ বিধ্বস্ত হয়ে যায়। এই ভিটে তাই আমরা দেখতে গিয়েছিলাম ২০০৮ সালের মে মাসে। … পুকুরের সীমানা পার হওয়ার পর দেখলাম দক্ষিণ-পশ্চিম কোনায় কয়েকটা গাছের সঙ্গে তিন-চার হাত কাঁটাতার এখনো লেগে রয়েছে। আমাদের বাড়িতে বাবার নিজের করা যত্নের ছবি এই কাঁটাতারে গেঁথে আছে। তেমনি আমাদের স্মৃতিতেও এক অদৃশ্য কাঁটা বিঁধে আছে।’ (পৃ ৯-১১)
১৯৫৮ সালে চট্টগ্রাম শহরে এসে শিপ্রা রক্ষিত বিদ্যালয়ের পড়াশোনা শুরু করেন। নোয়াপাড়া গ্রাম এরপর থেকে তাঁর ও পরিবারের কাছে হয়ে যায় অনেক দূরের কোনো স্মৃতির পরশ। তবে তিনি নিজের শৈশব নিয়ে সন্তুষ্ট, আনন্দিত। তিনি লিখেছেন, ‘বাবা ও মা আমাদের কড়াকড়িভাবে ধর্ম পালনের জন্য কখনও চাপ দেয়নি। হিন্দু পরিবারে স্বাভাবিক যে নিয়ম-আচার প্রচলিত ছিল তা মানতে শিখিয়েছিলেন। বাবার তাতেও আপত্তি ছিল। এত মানার কি দরকার।’ (পৃ ৩৩) সুতরাং ধর্মের গ–তে নিজের ছেলেমেয়েকে আটকে রাখার চেষ্টা তিনি করেননি। পার্থিব বিষয়ে মনোযোগ অর্থাৎ নিজের পড়াশোনায় উন্নতির প্রয়োজনীয়তা তিনি হয়তো বিবেচনায় নিয়েছেন বেশি।
শিপ্রা দস্তিদার তাঁর স্মৃতিকথায় নিজের বেড়ে ওঠার পাশাপাশি সমাজ ও দেশের নানা প্রসঙ্গ উপস্থাপন করেছেন। একজন সচেতন উচ্চশিক্ষিত নাগরিক হিসেবে তিনি সমাজ, দেশের নানা ঘটনা প্রত্যক্ষ করেছেন। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী হিসেবে অথবা মুক্তিযুদ্ধের সময়ে অনিশ্চিত ও নিরাপত্তাহীন জীবন তিনি তাঁর এই স্মৃতিকথায় বর্ণনা করেছেন। প্রতিবেশী মুসলিম সমাজের কেউ কেউ লেখকের পরিবারের বিপদে যথেষ্ট সহযোগিতা যেমন করেছেন, তেমনি বিপদগ্রস্ত করার চেষ্টাও ছিল। শেষমেশ শিপ্রা দস্তিদারের পরিবার কলকাতায় আশ্রয় নিয়েছিল। তবে শরণার্থী হিসেবে ভারত যাওয়ার যে-অভিজ্ঞতা তা মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস রচনার উপাদান হিসেবে থেকে যাবে। তাঁর বর্ণনায়, ‘কারণ দিন দিন সীমান্ত এলাকার অবস্থা সঙ্গীন হয়ে উঠছে, পাকিস্তানি মর্টারের গোলার রেঞ্জের মধ্যে এই এলাকা পড়ে। … আনুমানিক জোরারগঞ্জ থেকে শ্রীনগর সীমান্ত পর্যন্ত আমরা একটানা চল্লিশ মাইল হেঁটেছিলাম। হঠাৎ এতখানি চাপ পায়ের মাংসপেশি সহ্য করতে পারেনি।’ (পৃ ১২৯) শরণার্থী হিসেবে ভারতে অবস্থানশেষে যখন বাংলাদেশের বিজয় অর্জিত হয়, তখন শিপ্রা দস্তিদারের পরিবার চট্টগ্রামে ফিরে আসে ১৯৭২ সালের ফেব্রম্নয়ারি মাসে। এরপরের স্মৃতি তিনি স্মৃতিকথার অপর খ- অস্থির তরীতে উপস্থাপন করেছেন।

দুই
আত্মজীবনীর এই খ– শিপ্রা রক্ষিত দস্তিদার তাঁর বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষাজীবন শেষে কর্মক্ষেত্রে প্রবেশের সময় থেকে কর্মজীবনের অধিকাংশ সময়কে অবলম্বন করে লিখেছেন। কলেজের শিক্ষক হিসেবে তিনি প্রথমে চেষ্টা করেছিলেন নিয়োগের জন্য, কিন্তু নির্বাচিত হলেও তিনি ওই কলেজে যোগদান করতে পারেননি। আজ থেকে পঞ্চাশ বছর আগে ঘটে যাওয়া এই ঘটনাটি পারিপার্শ্বিক সমাজব্যবস্থা এবং কলেজ প্রশাসনের নৈতিক অবস্থা তুলে ধরে। বাস্তবে এ-ধরনের ঘটনা বর্তমানে দেশে আরো অনেক বেড়ে গেছে। এখন নানা দুর্নীতির মধ্য দিয়ে শিক্ষক নিয়োগের প্রক্রিয়া চলমান আছে।
শিপ্রা দস্তিদার তাঁর কর্মজীবনের সেরা অংশটি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে কাটিয়েছিলেন, বাংলা বিভাগের শিক্ষক হিসেবে যোগ দিয়ে একসময় তিনি অধ্যাপক হন এবং অবসরে যান। কর্মজীবনের চার দশকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, রাজনীতি, ছাত্র-রাজনীতি, বিভাগের শিক্ষকদের সংকীর্ণতা ইত্যাদি বিষয় তিনি পর্যবেক্ষণ করেছেন। নিজের ওপর বিশ্বাস রেখেই তিনি তাঁর গবেষণা শেষ করেছিলেন। হরপ্রসাদ শাস্ত্রীকে আধুনিক শিক্ষাজগতে নতুনভাবে তিনি পরিচিত করিয়েছেন। সঠিক শিক্ষার মধ্যে সংকীর্ণতা খুঁজে পাওয়া যায় না, বরং ভালোকে ভালো করার সৎ মানসিকতাই প্রকাশিত হয়েছে বিভিন্নভাবে। শিক্ষক রাজনীতির বিপরীত মেরুতে থাকা শিক্ষকদের মধ্যে যাঁরা গবেষণা ও কর্মে নিষ্ঠাবান ছিলেন, তাঁদের তিনি প্রশংসা করেছেন। তাঁদের তিনি শ্রদ্ধা জানিয়েছেন তাঁর গ্রন্থে। স্মৃতিকথা লিখতে গিয়ে লেখিকা তাঁর পাঠাভ্যাসের দিগন্ত সম্পর্কেও অবহিত করেছেন। ছিয়াত্তরের মন্বন্তর (১৯৭৬) প্রসঙ্গে বঙ্কিমচন্দ্রের লেখার উদ্ধৃতি অনেক পাঠককেই গ্রামবাংলার সে-সময়ের অর্থনৈতিক অবস্থাকে জানতে সাহায্য করেছে। বঙ্কিমচন্দ্রের রচনা বর্তমান সময়ে কয়জনই বা পড়েন। বঙ্কিমের লেখায় কিছু কিছু ক্ষেত্রে সীমাবদ্ধতা থাকলেও সাহিত্যমূল্য ও সমাজসচেতনতার কোনো ঘাটতি নেই। তাই শিপ্রা দস্তিদারের অধ্যয়ন আমাদের অনেক বিষয়েই আলোকিত করে।
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে দেশের সার্বিক সমাজকাঠামো ভেঙে পড়েছিল। দেশের এক কোটি মানুষ দেশত্যাগ করে ভারতে আশ্রয় নিয়েছিলেন। সে-সময়ে তিনিও শরণার্থীদের দীর্ঘ মিছিলের অংশ ছিলেন। তাঁর সহপাঠী ও বিশিষ্ট অধ্যাপক গবেষক ড. মাহবুবুল হকের সঙ্গে শিপ্রার যে-পত্রালাপ ’৭১ সালে হয়েছিল, সেগুলোতে দেশপ্রেম এবং বাস্তব অবস্থা প্রসঙ্গে অনেক তথ্য রয়েছে। গ্রন্থের শুরুতেই শিপ্রা কিছু চিঠি সংযোজন করেছেন। যেমন ড. মাহবুবের একটি চিঠিতে (৩-১১-১৯৭১) যে-তথ্য রয়েছে তাতে বলা হয়েছে : ‘বাড়ির সাথে যোগাযোগ নেই ২৫ মার্চ থেকে। জুনের খবর – দশবার বাড়ি সার্চ করা হয়েছিল। বাবাকে খুব মেরেছে। ভাইকে ধরে নিয়ে গিয়েছিল, সৌভাগ্যক্রমে পরে ছেড়ে দেয়। বাড়ি আমাদের হাতছাড়া। অন্যের দখলে এখন, কোন যোগাযোগ নেই।’ (পৃ ২৫)
শিপ্রাকে অন্য একটি চিঠি লিখেছিলেন, তাঁর সহপাঠী ম আ আওয়াল (৬-২-১৯৭২)। চিঠির শেষে তিনি মন্তব্য করেছেন, ‘লুটপাটের মাত্রা যদি সীমায় বেঁধে রাখা যেত, তাহলে বাংলাদেশের মুখশ্রী আরো উজ্জ্বল হতো। বাহাত্তর সালের যে-দৃশ্য …’ (পৃ ২৭)
শিপ্রা দস্তিদার তাঁর স্মৃতিকথার দ্বিতীয় খ– আরো একজন ব্যক্তির চিঠিপত্র পরিশিষ্টে সংযোজন করেছেন। মোট নয়টি চিঠি এতে রয়েছে। কুমিল্লা শহরের অধিবাসী অতীন্দ্রমোহন রায়। তিনি বামপন্থী একজন বিশিষ্ট নেতা ছিলেন। চিঠিগুলোতে তাঁর জীবনদর্শন এবং নানা বিষয়ে মন্তব্য রয়েছে। স্মৃতিকথায় কিছু কিছু বিষয়ে আলোকপাত করতে গিয়ে লেখিকা অনেক গবেষণাকর্মের সহায়তা নিয়েছেন, যা গ্রন্থটিকে আরো মানসম্মত করেছে। শুধু ঘটনার বর্ণনা অথবা প্রাত্যহিক কর্মের বিবরণ নয়, বরং প্রসঙ্গক্রমে বিভিন্ন গবেষকের দৃষ্টিভঙ্গি অথবা ঘটনার সাযুজ্য তিনি উপস্থাপন করেছেন। শিক্ষক-রাজনীতি নিয়ে তাঁর পর্যবেক্ষণ এখানে উল্লেখ্য : ‘অতীতে এক দলের অনুমোদন ও আশীর্বাদপুষ্ট হয়ে পরে অন্য দলে গিয়ে নেতা থেকে উপাচার্য পদে আসীন হয়েছেন এমন নজির চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে রয়েছে। … শিক্ষক রাজনীতির এই দুষ্টচক্র দেশকে, জাতিকে স্বাধীন-সমুন্নত চিমত্মা দিয়ে গবেষণা দিয়ে সমৃদ্ধ করার চেয়ে একটি অনুগত, বশ্য সমাজের দ্বারপ্রামেত্ম নিয়ে গেছে।’ (পৃ ১১০) আবার শিক্ষক নিয়োগের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন যে-নিয়মনীতির তোয়াক্কা করেনি সেই সত্যভাষণও গ্রন্থের বিভিন্ন স্থানে রয়েছে। ‘… দুজনেই বাণিজ্য অনুষদের শিক্ষক যাঁরা ব্যবস্থাপনা বিদ্যায় বেশ সক্ষম বলে প্রমাণিত। কে না জানে ‘বাণিজ্যে বসতে লক্ষ্মী’। এদের সম্মিলিত উদ্যোগ বিশ্ববিদ্যালয়ে ভোটার নিয়োগের এক রমরমা বাণিজ্য চালু হল।’ (পৃ ১১১)
স্মৃতিকথায় সমকালীন অনেক ঘটনার প্রমাণ পাওয়া যায়, যা ইতিহাসচর্চার প্রামাণ্য বিষয় হিসেবে স্বীকৃত। সরকারি রিপোর্ট অথবা সংবাদ মাধ্যমে যে-তথ্য পাওয়া যায় তা হয়তো অনেক সময়ে পরিস্থিতির কারণে সীমাবদ্ধতা নিয়ে প্রকাশিত হয়। এক্ষেত্রে স্মৃতিকথার বিভিন্ন লেখকের বর্ণনায় সঠিক তথ্যটি বেরিয়ে আসার সুযোগ থাকে। একজন গৃহিণী, একজন সমাজসচেতন নাগরিক ও একজন কর্মজীবী নারী হিসেবে শিপ্রা দস্তিদার স্মৃতিকথার যে দুটি খ- পাঠকদের কাছে উপস্থাপন করেছেন সেজন্য তিনি অবশ্যই ধন্যবাদার্হ। স্মৃতিকথার দুটি খ- প্রকাশ করে নবযুগ ও খড়িমাটি প্রকাশনী এক্ষেত্রে ধন্যবাদ পাওয়ার অধিকারী। পাঠক ও গবেষকদের কাছে শিপ্রা রক্ষিত দস্তিদারের স্মৃতিকথার এই দুটি খ- আদৃত হবে – এ-প্রত্যাশা করি।