সাদি ইউসেফে
ভাষান্তর : মঈনুস সুলতান
হামদানে প্রচলিত আছে একটি কথা – জানে তা কমবেশি
সকলে,
যখন ঘুমিয়ে পড়বে খেজুরগাছ
তখন ঘুমাতে যেও তুমি – শরীর জড়িয়ে পশমি কম্বলে।
নক্ষত্রের সোনালি গমের শীষে ভরে উঠবে হামদানের আকাশ
নিভে যাবে কুটিরগুলোর মিটিমিটি কুপি,
মৃদুস্বরে খেজুরের পাতা ছুঁয়ে বইবে বাতাস।
নীরব নিথর পুরনো সব ঘরবাড়ি – ঘুমাচ্ছে মসজিদ,
ঝরাপাতার ফিসফিসানিতে নেমে এসেছে সুদীর্ঘ নিঁদ,
মানুষ, বৃক্ষ ও নক্ষত্রের ঘুম যেন মৃত্যুর সহোদর,
এ হলো আমাদের হামদান –
যক্ষ্মা, খেজুরের কুঞ্জবীথি – তাদের জলময় অন্তর।
হামদানে আমরা শুনি, শুধু আমাদেরই কথাবার্তা
মৃদু বাৎচিত ফিসফিসে নীরব,
আমাদের রাত্রি, খেজুরের গাছে
অভিজ্ঞ ঘাসে পদপাতের অনুভব।
পুরনো হাজা নদী,
মৃদু হাওয়ায় ভাসে লেবুপাতা
ভেসে যায় ভাটিতে নিরবধি।
শ্যাওলাভাসা পানির মতো সবুজ,
তোমার চোখের মতো
বলি হে – তুমি তো খানিক অবুঝ,
তোমার দুচোখে আমি ধরে রেখেছি বসন্ত
একজন বন্ধু কীভাবে ভুলবে তোমাকে
সে তো জানতে চায় তোমার আদিঅন্ত।
দেখা করবো আমি তোমার সাথে,
কাছে আসবো – খুঁজবো তোমার অন্তর
অফুরান নক্ষত্রে ভরে উঠবে যখন হামদানের আকাশ,
মৃত্তিকা হবে উর্বর।
আর শহরের ওপর নেমে আসবে নিশিরাত,
একত্রে ঘুরে বেড়াবো আমরা বাগদাদের অলিগলিতে
ওয়েসিসে খুঁজবো জলের প্রপাত।
Leave a Reply
You must be logged in to post a comment.