লোহা-লক্কড়ে চড়ে নিজেকে উড়ালপঙ্খির শূন্য জানালার পাশে প্রিয় বন খেলে যায় সাতগুটিবাঘ। বাঘ তো হিংস্র নয় মনের বাঘের চেয়ে – চলো ঘুরে আসি বনের কাছে গিয়ে … বন মানে আমাদের পাড়ার উত্তর দিকে মাথায় ঝুঁটিবেঁধে যে মেয়েটা কল্পে পরী সাজে। সে আমাকে শয়তান জিন ভেবে মাঝে মাঝে ঘোড়ায় চড়ে –
লোহা-লক্কড়ের ট্রেনের চেয়ে ঝোপজঙ্গল অনেকটা সুখ দিতে পারে ভেবে।
এসো আমরা চলি – পুব হাওয়া মাথায় করে – কাশবনের দিকে হাওর কিংবা চলনবিলের দিকে – ট্রলার বোঝাই করে – ঘুরে আসি মাঝ দরিয়ায়। দরিয়ার একটা শুকনো বুকেও উষ্ণতা আছে জানো তো? যেমন নৌবহরে নারীটি গায়ে গা চেপে দিয়েছে কিছুটা শীতকালীন ওম …
না হয় … সমুদ্রে যাই – কিছু সময় ট্রেন ভুলে চালিয়ে আসি বাতাসের শীতল বায়বীয় ঘোড়া। সহজ করে বলি – আমার সঙ্গে তুমি বেহালাবাদক আর ঘুঘু-ময়না ক্রমাগত ডুবে যাচ্ছে … উবে যাচ্ছে … বাড়ির কবিতা-মাঠের কবিতা-ঘাটের কবিতা-হাটের কবিতা – হৃদয়পুর ট্রেনে করে। সে আর কত দূর হৃদয়পুর …
Leave a Reply
You must be logged in to post a comment.