কামরুল হাসান
একদিন ফিরে গিয়ে দেখি শূন্য সে-ঘর, শূন্য সে-উদ্যান
ডাকবাক্সে জমে আছে আমার পাঠানো চিঠি, সুরবাঁধা গান
ভাবি তবে কি পুরোটাই বিভ্রম, তবু প্রাণে একি মায়া জাগে
প্রতিবেশী বলে, চামেলি? সে তো মরে গেছে ত্রিশ বছর আগে।
দুই
পথে পথে পাই কিছু ভাঙা প্রেম, জ্যোৎস্নার মেওয়া
কণিষ্ক জ্যোতির টানে গড়িয়ে চলেছে প্রাণবঁধুয়া
প্রণোদনা দিয়ে যায় প্রান্তরের হাওয়া লিলুয়া
কী হবে আমার বসন, বাসন্তী নাকি গেরুয়া?
তিন
আমন সোনার দেহ ঝুরঝুর মাটি হয়ে যাবে?
সে-মৃত্তিকায় জন্ম নেওয়া উদ্ভিদের প্রতি শাখে
ফুটন্ত সকল ফুলে ওই রূপ কান্তি খুঁজে পাবে
তনয়া মায়ের রূপ হুবহু ধরে রাখে বাগে।
চার
অবিনশ্বর কীর্তিসব মহাকালের ধুলায় ঢাকা পড়ে
জগদ্বিখ্যাত মুখেরা দ্রুত উঠে পড়ে ফ্রেমে
এরাই তো পৃথিবীকে জড়াল কত মেধা ও প্রেমে
তাদের আদুরে গ্রহ, কৃত্তিবাস পুড়ছে এক জরে।
পাঁচ
ঝড়ে উড়ে যায় কত মুখ, গৃহস্থের চাল
সুস্থ প্রকৃতি হয়ে ওঠে অমন মাতাল
অতঃপর নেমে আসে ঘোর বর্ষাকাল
ঝড়ে বা বর্ষায় তুমি আশ্রয়-ডাল।
Leave a Reply
You must be logged in to post a comment.