অধস্তন

শঙ্খ ঘোষ

 

স্বপ্নই দেখেছি তবে। বাস্তবে তো এমন হবে না!

অধস্তন দিনগুলি হঠাৎ উড়েছে ডানা মেলে

তোমার পায়ের কাছে সমর্পণে, নিরহংকারে –

তুমি আছো মেঘেরই মতন আসন্নবর্ষণ, ঘন।

কখনো-বা স্নান দেবে তারই প্রতীক্ষায় থেকে থেকে

জড়িয়ে নিয়েছে তার সমস্ত পুরোনো অবসাদ

সব গ্লানি, মনোভার, শরীরের সব ক্ষতজ্বালা।

তোমার পায়ের কাছে উড়ে গিয়ে বলেছে সে : এসো,

এসো প্রত্যাগত হও – কী এমন ভুল ছিল বলো –

যা ছিল তা ধুয়ে দাও – শুরু যদি থাকে, আছে শেষও।

 

সারমেয় কন্যা ‘নিশি’র সঙ্গে এই শ্রাবণে

রফিক আজাদ

 

ধারাজলে মুছে যায় জীবনের সকল সন্তাপ,

স্বজনেরা বহু আগে পরিত্যাগ করেছে আমাকে;

সারমেয় কন্যা এক জাগে রাত্রি আমার সপক্ষে!

টানা-বারান্দায় বসে নির্ঘুম রাত্রিটি কেটে যায় –

সে থাকে সর্বদা পাশে – থাবা দুটি তুলে দ্যায় কোলে,

আমার পায়ের কাছে লেজ নেড়ে দুঃখনিশি জাগে,

দুই চোখে ঝরে তার সান্ত্বনার অমিয় আদর –

শ্রাবণের ধারাপাত সে-ও শোনে সারারাত জেগে!

 

মনুষ্য-সন্তান জানি ক্ষমাহীন, বড়ই নিষ্ঠুর –

সতত আঘাত করা দায়িত্বের অংশ বলে ভাবে –

 

ভাগ্যাহত মানুষের অশ্রুজল ধারাজলে মেশে –

এই বঙ্গে ভাগ্যদোষে আমিও এমনই একজন।

 

বন্দনা করি না কেন এ-শ্রাবণে পালিত কন্যার –

আমার সময় কাটে কোনোমতে সাহচর্যে তার!