দেবজ্যোতি মুখোপাধ্যায়
টাকা তুমি তুমি টাকা – মনে হলো আজ
কেন মনে হলো?
এমন নিষ্ঠুর হলো কেন প্রিয় মন?
চারশো টাকা দিয়ে থাকি জামা ও কাপড় যাতে
ধবধবে উজ্জ্বল সাদা হয়ে উঠতে পারে
নেটের খরচ সাড়ে চারশো টাকা, ইস্ত্রি দুশো টাকা
প্রতি রবিবার বাড়ি আসে
মহান সাহিত্যপত্র – রঙিন তোড়ায় বাঁধা ফিচারগুচ্ছেরা
সে-বাবদ প্রতি মাসে একশ পঁচাত্তর টাকা কখনো কখনো
হয়ে থাকে একশ আশি
এই অবধি ব্যক্তিগত। এরপর রয়েছে –
বাবা ও মায়ের প্রতি দায়
তাদের কে আছে আর আমি ছাড়া? এবং পিসিরা –
কে আছে তাদের? হাল ধরি
সামান্য দাঁড়াই পাশে – দেখাই করেছি রাজ্যজয়!
করতে হয় ঋণ শোধ। দৈনন্দিন খরচা আর নেশা মাঝে-মাঝে
এরপর টাকা কি থাকে আমার নিকট?
সারসের মতো নয়, কাঠবিড়ালির মতো লাফিয়ে
লাফিয়ে
কী দ্রুত হারায়!
আমাকে রাখে না মনে – ভুলে যায় নিজগুণে – মুদ্রা এই তার
লাল বারান্দার পর – যেরকম তুমি – ভুলে যাও
হয়ে ওঠো গৃহী!
কতক্ষণ থাকো তুমি? লেখার মুহূর্তে শুধু সত্যি-সত্যি পাই
যেরকম চাই আমি – পাই সেরকম
যেই লেখা শেষ হয় – আবার মিথ্যার জাল বোনা
টাকা তুমি তুমি টাকা – মনে হলো আজ
টাকা নেই তুমি নেই – কী করি এখন?
চিত্ত প্রসাদের ছবি দেখি
দেখি জয়নুল আবেদিন
দুর্ভিক্ষ আপোড়া মাঠ… হাহাকার
আকাশ রাঙানো।
Leave a Reply
You must be logged in to post a comment.