সৈকত রহমান
বহুদিন পর আউটডোর। একটি দিন ফিরে এলে, বান্ধবীও
ফিরে আসে, টানা-কাজলের হাসি চোখে। সাদামাটা
চলার ভাবনাগুলো হঠাৎ রঙের বাক্স খোলে, ভুলে যাওয়া
সুর উড়ে আসে কোথা থেকে।
বাংলার ভূদৃশ্যের কাছে যেতে হবে। কাজের ফিরিস্তি আছে
বহু। আবদেরে বাচ্চাকাচ্চা আছে। স্ত্রী আছে ভারমুখ।
তাকে সন্তুষ্টির নগদ শিউলি তুলে দিতে হবে হাতে।
তবু ফসকে না যাক, টানে যে শুভশ্রীদিন। মরা বাঁক,
নদীর দিগন্ত পাড়। নৌকা ও কাশবন। সাদা বালি, ভাঙাপাড়।
দুস্থ ঘরের ভিটে। আশাবহুল মুখের রেখাবলি। বেড়ে ওঠা
শ্যামাঙ্গী কন্যাদের চটক, ভালোবাসা।
বেপাত্তা দলের লোক আমাদের বলো। যা-ই বলো। বাংলা
বোলটা সবার। এতটা ছবির দেশে, মায়া পাতা ঘাসে
শিশিরের দুল পরে রোদ নামা সকালের চুমো, খাওনি যে,
বড়। তুলিতে রং তুলে, বান্ধবীর বুক ভরে ওঠে স্বদেশের গানে।
নিজেকে কিংবা অন্যকে বা সমুদ্র কতটা চেনো! তুঙ্গ-নাচানো ঢেউ।
পাড়ি দিতে সাধ, ওপার ঠিকানা। ঘরবাঁধা মনে। তুলি হাতে
রংমাখা, আমাদের সারাবেলা। ছেলেখেলা।
আছড়ে-পড়া সাগর শব্দপাত।
Leave a Reply
You must be logged in to post a comment.