আপনজন

সন্দীপন চট্টোপাধ্যায়

 

(সন্দীপন চট্টোপাধ্যায়ের একটি অগ্রন্থিত রচনা।  সংকলন ও সংযোজন : অংকুর সাহা)

আমার ছোটভাই এবং ভ্রাতৃবধূ আর আমার বারো বছরের ভাইপো অভীক, গত এপ্রিল মাসের একদিন গাড়ি করে এলএ থেকে আসছিল। রাত তখন দশটা-সাড়ে দশটা। ওদের বাড়ি মার্সেড থেকে ৩০-৪০ মাইল দূরে, মদেরা শহরের কাছে, গাড়ি অ্যাক্সিডেন্ট করে ওরা সবাই মারা গেল। আমার ভাইপো অভীকের ডাকনাম ছিল রাজন। কিছুদিন ধরে আমার ভ্রাতৃবধূর ভাসুরজি (আমার মেয়ে)

তৃণা এখানে ছিল। সে এখানে পড়াশোনা করছিল। আর ছিল ওদের বড় ছেলে বুবুন। বুবুনের ভাল নাম ছিল নীলাঞ্জন। বন্ধুরা ডাকে ‘নীল’ বলে। লেখাপড়াতে কখনো-কখনো দুনম্বর হয়ে গেলেও, ‘সকার’ বা ফুটবলে নীল মার্সেডের এক নম্বর খেলোয়াড়। তৃণা বলছিল, ‘নীল যখন বল নিয়ে সেন্টার লাইন পেরোয়, তখন স্টেডিয়াম-ভরা ছেলেমেয়েরা উঠে দাঁড়ায় এবং ‘নীল’ ‘নীল’ বলে চেঁচাতে থাকে। নীল প্রায়ই তাদের হতাশ করে না – অনেকে যেমন অন্নদাতা বস্ত্রদাতা হয়।’ তৃণা আমাকে বলেছে, ‘নীল তেমন একজন গোলদাতা।’ আর কিছু না থাক, তৃণার বেশ একটা সেন্স অব হিউমার আছে, একথা আমি মানতে বাধ্য।

আমার ইচ্ছে তৃণা এবং নীলকে নিয়েই লেখা, কারণ ওরা বেঁচে আছে। দুজনেই সেদিন ওদের সঙ্গে এলএ যাওয়ার জন্য পীড়াপীড়ি করেছিল। কিন্তু ওরা মরবে না, বেঁচে থাকবে। তাই ওরা শেষ মুহূর্তে থেকে গিয়েছিল।

আমার ভাই ডা. চিত্তরঞ্জন চট্টোপাধ্যায় আমার চেয়ে দুবছরের ছোট। আমরা পাঁচ ভাই, তিন বোন। চিত্তই কনিষ্ঠতম। আমরা দুজনেই বাবা-মায়ের শেষ বয়সের সন্তান। মাঝখানে অনেক বছর কেউ নেই। বস্তুত আমার বড়দা এখনো বেঁচে। তাঁর বয়স সত্তর পেরিয়েছে। এদিক থেকে দাদাই আমাদের বাবা হতে পারতেন। আপনাদের এখানকার নামকরা কবি অ্যালেন গিন্সবার্গের সঙ্গে আমার বন্ধুত্ব হয়েছিল। ১৯৬০-৬১ সালে তিনি অনেকদিন কলকাতায় ছিলেন। ‘হোয়ার ডিড ইউ গেট সাচ অ্যান ওল্ড মাদার?’ – আমার মাকে কাশীতে দেখে অ্যালেন বলেছিলেন।

বাবার শেষ বয়সের এই দুই সন্তান লেখাপড়ায় দেখা গেল খুবই ভাল। আগের তিন ভাই বাবাকে এ ব্যাপারে হতাশ করেছিল। আমি ১৯৫০ এবং চিত্ত ১৯৫২-তে ম্যাট্রিকুলেশন পাশ করলাম ভালভাবেই। চিত্ত তো ডিস্ট্রিক্ট স্কলারশিপ পেল। আমি প্রেসিডেন্সিতে ভর্তি হলাম এবং চিত্ত বেলুড় রামকৃষ্ণ মিশনে।

চিত্ত লেখাপড়ার লাইনেই থেকে গেল। আমি কমিউনিস্ট পার্টির দিকে আকৃষ্ট হলাম এবং লেখাপড়া কম করতে লাগলাম। চিত্ত মেডিক্যাল কলেজ থেকে আমার সঙ্গে দেখা করতে শিয়ালদহ স্টেশনে যেত। আমি পার্টির কাজে ওখানে রিফিউজিদের সঙ্গে দিবারাত্র তখন

থাকতাম। ১৯৫৮ সালে চিত্ত বিলেত গেল। চার বছর দেখা নেই। প্রচুর চিঠি লিখতাম ওকে। কয়েকশ লিখেছি। ছোট ভাইয়ের প্রথম চিঠি পাই এডেন বন্দর থেকে।

যাহোক, দুই ভাই আমরা ছিলাম দুই মেরুর যাত্রী। আমি পরে পার্টি ছেড়ে লেখালেখির দিকে গেলাম। আটখানা বই লিখেছি – গল্প ও উপন্যাস। চিত্ত অ থেকে ত পর্যন্ত ডিগ্রি সংগ্রহে ব্যস্ত রইল। ১৯৫৮ থেকে ১৯৮৭ – এই ২৯ বছরে আমাদের যোগাযোগ কখনো ছিন্ন হয়নি। অভিযাত্রী হিসেবে ভিন্ন মেরুর দিকে গেলেও আমার ভাই ছিল আমার সম্পর্কে অত্যন্ত গর্বিত – আমি জানি। এখানে এসে প্রতিবেশী ও বন্ধুরাও তা সমর্থন করেছেন।

১৯৬৭ সালে এলেন আমার ভ্রাতৃবধূ। আমার ভাই যদি আমাদের পরিবারের মুকুটবিহীন রাজা হয়, তাহলে ভ্রাতৃবধূ আলো ছিল রানী। ক্রমে এল রাজপুত্র দুজন।

আমাদের বেশ বড় পরিবার। এখানে একটা কথা উল্লেখ করছি – একবার আমাদের হাওড়ার পৈতৃক বাড়িতে চ্যাটার্জি সম্মেলন। ভাইপো-ভাইজি, ভাগ্নে-ভাগ্নি, পিসতুতো-মাসতুতো, যে যেখানে ছিল সবাই এল। আলো-চিত্ত তখন ওখানে। নীল সবে হয়েছে –  বছর দুই হবে। রাতের খাওয়ার পর গল্প-গুজব চলছে – হঠাৎ আমার মেজদি একটা ব্যালট ভোটের ব্যবস্থা করলেন। গোপন মতামত একটা বাক্সে ফেলা হল। তাতে দেখা গেল আলোই সবচেয়ে বেশি ভোট পেয়েছে।

আর একটি ঘটনা বলে শেষ করছি। সেবার আমাদের ফ্ল্যাটে আলো এসেছে, চিত্ত বেরিয়েছে। দুপুরে খাওয়াতে গিয়ে নীলের গলায় মাংস আটকে গেল। কিছুতেই বেরোচ্ছে না। নীল সার্থকনামা হতে চলেছে মুখেচোখে। আলো তখন ঠ্যাং ধরে উলটে তার পেছনে থাপ্পড় মেরে বমি করানোর চেষ্টা করতে-করতে আমার স্ত্রীকে একটা ছুরি আনতে হুকুম করল।

‘ছুরি?’ ‘হ্যাঁ ছুরি। প্লিজ গেট মি অ্যা নাইফ – হিয়ার অ্যান্ড নাউ’ চিৎকার করে বলে। ছুরি না পেয়ে আমার স্ত্রী বঁটিটা এনে দিলেন দৌড়ে।

আলো এমনকি সেটা হাতে করে নিয়েও ছিল। কিন্তু সেই মুহূর্তে ছেলেটা বমি করে মাংস-টুকরোটা বের করে দেয়। বলা বাহুল্য, প্রয়োজন হলে ওর গলা কেটে মাংসটা বের করবে বলেই আলো ছুরিটা চেয়েছিল।

সেই থেকে আলোর সঙ্গে মাতা দুর্গতিনাশিনীর আমি কোথায় খুব মিল পাই। সত্যিই আলোর তখন এক হাতে অস্ত্র, অন্য হাতে অভয় – চোখ ঝকঝক করছে। মূর্তিমতী দুর্গা।… অন্তত আমার কাছে।

 

সংযোজন

সত্তর দশকের অন্তিমপর্বে, কলকাতায় ছাত্রজীবনে আমার পরম বান্ধব এবং অনুজ গৌতম সেনগুপ্ত, (বর্তমানে তালপাতা প্রকাশনার কর্ণধার) জবানবন্দী নামে একটি কাগজ সম্পাদনা করেছিলেন; আমি ছিলাম তাঁর লেজুড়। দুজনে মিলে গিয়েছিলাম কলকাতার উত্তর শহরতলিতে সন্দীপন চট্টোপাধ্যায়ের বাড়িতে তাঁর সাক্ষাৎকার নিতে – তাঁর সঙ্গে বুদ্ধিদীপ্ত রসবোধের সংলাপ – সে এক অপরূপ অভিজ্ঞতা। ‘ঘরঘরে’ শব্দটি তিনি রেফ দিয়ে ‘ঘর্ঘরে’ লিখতে বললেন, যাতে শব্দটাকে চোখে দেখলেও ‘ঘর্ঘরে’ লাগে, বললেন রেফটাকে খুব তীক্ষè করে টানতে, যাতে হাতে ছোঁয়ালেই আঙুল থেকে রক্ত বেরোয়। তারপর প্রায় চার দশক কেটে গেছে, কিন্তু ঘটনাটি মনে গেঁথে রয়েছে।

তাঁর খাটের তলায় পড়ে থাকা যে-কোনো বই নির্বিবাদে বাড়ি নিয়ে আসার অনুমতি ছিল। একদিন সেখানে পেয়েছিলাম অলোকরঞ্জন দাশগুপ্তের অনুবাদে হ্যোলডারলীনের ঈথার-দুহিতা – বইটি এখনো আমার সঙ্গে আছে। এনেছিলাম আরো দু-একটি কবিতার বই – মহাদেশ বদলের সময় সেগুলো হারিয়ে বসেছি।

১৯৮০ সালের শুরুতে আমি কলকাতা ছাড়ি এবং ১৯৮১-এর শুরুতে চলে আসি ক্যালিফোর্নিয়া। আর কোনোরকম যোগাযোগ ছিল না সন্দীপনদার সঙ্গে। তারপর ১৯৮৭-এর গ্রীষ্মে একদিন অলৌকিকভাবে তাঁর সঙ্গে হঠাৎ দেখা।

আমি থাকতাম ক্যালিফোর্নিয়ার সিলিকন উপত্যকায়; সেখান থেকে পুবদিকে প্রায় ২০০ কিমি দূরে থাকতেন এক উচ্চবিত্ত চিকিৎসক দম্পতি – চিত্তরঞ্জন এবং আলো চ্যাটার্জি। আমার সঙ্গে তাঁদের মুখচেনা এবং জানতাম না যে তাঁরা সন্দীপনদার ভাই এবং ভ্রাতৃবধূ। মাসদুই আগে এক গাড়ি দুর্ঘটনায় তাঁদের দুজনের এবং তাঁদের এক ছেলের শোচনীয় অকাল মৃত্যু। সেই সূত্রে সন্দীপনদার ক্যালিফোর্নিয়ায় আসা। এবং সেই পরম শোকাবহ দিনগুলোতে তাঁর সঙ্গে অল্প হলেও কিছু সময় কাটিয়েছিলাম। তবে তাঁর তৎকালীন মানসিক অবস্থায় সাহিত্যের কথা অথবা কলকাতার স্মৃতিচারণের সুযোগ ছিল না।

সেই সময়কার একটা সন্ধের কথা বিশেষভাবে মনে আছে। তখন তাঁর দেশে ফিরে যাওয়ার সময় হয়ে এসেছে। স্যান হোসে শহরের দক্ষিণপ্রান্তে এক বাঙালি পরিবারে আমাদের দুজনেরই ছিল রাতের খাওয়ার নেমন্তন্ন। গল্পগুজবে, খাওয়া-দাওয়ায় বেশ কয়েক ঘণ্টা কেটে যাওয়ার পর সন্দীপনদা আর তাঁর কন্যাকে তাঁর সাময়িক আস্তানায় পৌঁছে দেওয়ার পালা। তিনি তখন ছিলেন ৩০-৩৫ মাইল দূরে ইউনিয়ন সিটি শহরে অন্য এক বাঙালি পরিবারে। আমার তখন সদ্য কেনা ঝকঝকে নতুন গাড়ি। রাত এগারোটা নাগাদ রওনা দেওয়া গেল। অল্প কিছুদূর যাওয়ার পরই সন্দীপনদা বললেন, একটা সিগারেট খেলে ভাল হয়। সারা সন্ধে তাঁর সিগারেট খাওয়া হয়নি। এখানে বাড়ির ভেতরে কেউ সিগারেট খান না। তাই ভীষণ অসুবিধে।

সঙ্গে-সঙ্গে প্রবল আপত্তি তাঁর কন্যার। বাবা সিগারেট খেলে আমার নতুন গাড়ি নোংরা হবে, সিগারেটের তামাকের গন্ধ থেকে যাবে গাড়িতে। কিন্তু আমি বললাম, ঠিক আছে, সিগারেট খান, তাতে কোনো অসুবিধে নেই; পথে থেমে তাঁকে সংগ্রহ করে দিলাম সিগারেট ও দেশলাই। সিগারেট ধরিয়ে বাকি পথ গল্প করে গেলেন সন্দীপনদা। তিনি যে-বাড়িতে অতিথি সেখানে পৌঁছেও অনেকক্ষণ চলল কথাবার্তা। তারপর আমি যখন বিদায় নিয়ে ফিরে আসব, তিনি তাঁর ঝোলা থেকে তিন-চারটে দোমড়ানো-মোচড়ানো কাগজ বের করে আমার হাতে দিয়ে বললেন, ‘অংকুর, দ্যাখো, এর থেকে তুমি কিছু উদ্ধার করতে পারো কিনা।’

সেই কাগজগুলো থেকেই এই লেখা – আমি কেবল পাঠোদ্ধার করেছি – কোনো শব্দ যোগ করিনি অথবা বাদও দিইনি। উনি লেখার কোনো নাম দেননি, নামটা আমার দেওয়া। স্থানীয় বাঙালি অ্যাসোসিয়েশন থেকে আমরা শঙ্খ নামে একটি ছোট বাংলা কাগজ প্রকাশ করতাম, তার পরবর্তী সংখ্যায় প্রকাশিত হয়েছিল লেখাটি। অর্থাৎ রচনাকাল জুন ১৯৮৭ এবং প্রকাশ জানুয়ারি ১৯৮৮। সিলিকন উপত্যকার শদেড়েক বাঙালি পরিবার ছাড়া আর কেউ লেখাটি পড়েননি। লেখাটি বৃহত্তর পাঠকসমাজে পৌঁছে দেওয়া জরুরি এবং তাঁর গদ্য সংগ্রহেও লেখাটি অন্তর্ভুক্ত হওয়া উচিত।

সন্দীপন চট্টোপাধ্যায়ের কথাসাহিত্য আলোচনার পরিসরেও এই লেখাটি বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ। কারণ ঘটনাটি আলোড়ন তুলেছিল লেখকের মনে এবং কয়েক বছর পরে প্রিয়জন হারানোর অভিঘাতে তিনি হিরোসিমা, মাই লাভ উপন্যাসটি লেখেন।

 

এরপর কেটেছে দু-দশকেরও বেশি সময় – আমার সেই নতুন গাড়ি বহু ব্যবহারে জীর্ণ – সোয়া দুলাখ মাইল চলার পরে। নতুন গাড়ি কেনার কথাবার্তা চলছে। যে মেহিকান দম্পতি আমাদের ঘরদোর পরিষ্কার ও শিশুকন্যার পরিচর্যা করেছেন গত পনেরো-ষোলো বছর তাঁদের দামাল শিশুটি এখন নবীন কিশোর – কলেজে যাওয়ার জন্য তার প্রয়োজন একটি কাজ চালানোগোছের গাড়ির। পরিবারে সবাই মিলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হলো নতুন গাড়ি কেনার পরে পুরনো গাড়িটি বিক্রি না করে তাকে উপহার দেওয়া হবে।

যথাসময়ে গাড়িটি খালি করতে গিয়ে চোখে পড়ে অ্যাশট্রেতে জমা অল্প খানিকটা ছাই। আমি সিগারেট খাই না, অন্য কেউও কোনো দিন ধূমপান করেননি আমার গাড়িতে। মনে পড়ে যায় সন্দীপনদা এই সিটে বসে ধূমপান করেছিলেন ১৯৮৭ সালে, তারপর আর কোনো ধূমপানের ঘটনা ঘটেনি। খালি করার আগে অ্যাশট্রেটা হাতে নিয়ে চুপচাপ বসে থাকি অনেকক্ষণ, ভাবি পুরনো দিনের কথা। মনে পড়ে, কয়েক বছর আগে শ্মশানের চুল্লিতে সন্দীপনদা নিজেই ছাই হয়ে গেছেন।

২০০৫ সালে ডিসেম্বর মাসে সন্দীপনদার মৃত্যুসংবাদ পেয়েই একটা কবিতা লিখতে বসেছিলাম। সেটা এখানে তুলে দেওয়া আশা করি অপ্রাসঙ্গিক হবে না :

 

সন্দীপন চট্টোপাধ্যয় (১৯৩৩-২০০৫) স্মরণে

কবিতা লেখোনি, তবু কবিদের সংবেদন ছিল

তোমার দুরন্ত গদ্যে-দুর্বিনীত, অবাধ্য, খর্খরে –

শব্দের অবাধ বিশ্ব, চিত্রকল্পে, আসঙ্গে, সংরাগে

মধ্যবিত্ত জীবনের সকরুণ, নিবিড় আখ্যান।

 

বিজনের রক্তমাংসে ক্রোধ ছিল, ছিল প্রতিশ্রুতি –

শোণপাংশু বাংলা গল্পে নতুন, নবীন কথাকার;

ক্লেদ-প্রেম-যৌনতায় ক্রীতদাস-ক্রীতদাসী ঘেরা

নব কথাসাহিত্যের অবিসম্বাদিত রাজকুমার।

 

আত্মজৈবনিক গদ্যে স্বীকারোক্তি, সতত লাজুক

অথচ গভীর বাক্যে নিংড়ে নেয়া মজ্জা, অন্তঃসার;

বহু প্রজননে রত সমবেত প্রতিদ্বন্দ্বী দল

বাণিজ্যিক গদ্য লিখে নতজানু সম্মুখে তোমার।

 

বন্ধু ছিল, আড্ডা ছিল, দিবসের কর্ম ছিল বাঁধা –

একাকী উৎকোচহীন কলিকাতা কর্পোরেশানে;

কোথাও অসুখ নেই, সজীব সতেজ স্বাস্থ্যে ভরা

অথচ গভীর রাতে কণ্ঠের কর্কট এসে ডাকে…

 

একে একে চলে যান গদ্যের গার্হস্থ্য ছেড়ে দূরে

সতীনাথ, ওয়ালিউল্লাহ, কমলকুমার, সন্দীপন।