আমার এ পথচলাতেই আনন্দ

ভোরের উঠোন ঝাড়– দিতে দিতে আমি তোমাকে দেখি ….
সদ্য শিউলি ঝরা উঠোনের নিজস্ব গন্ধ নিতে নিতে
আমি তোমাকে দেখি সবুজ শাড়ি পরিহিতা
ভোরের মাধবী আলোয় স্মিত মুখে আলোর ঝরনা পরে
কি উজ্জ্বল তুমি! সারা উঠোন জুড়ে পায়ের আনন্দে শ্যামল শোভা;

কোথাও যাব না আমি, ক্ষণস্থায়ী এ দৃশ্যের জন্ম দিয়েছে
যে মুহূর্তের আবেগ আমি তাকে কালের দীর্ঘ স্রোতে
বহমান জীবনের প্রেক্ষাপটে রৌদ্রের প্রতিমা করে
দেয়ালে দেয়ালে এঁকে জীবনের চিরন্তন প্রচ্ছদ বানিয়ে
মিছিলকে বলে যাব এ তোমার উত্তোলিত হাতের গৌরব
রক্তের অক্ষরে লেখা তোমার স্বরচিত গান, ধ্যান
কিষানির ধানক্ষেতে আউশের নীল শুদ্ধস্বর, রাতের নক্ষত্র;

আমি তাকে বলে যাব – টুকরো টুকরো আলোয়
মধ্যরাতের শেষে যে ভোরবেলা, উঠোনের সুমিষ্ট আহ্বান
খাঁচা ভেঙে বেরিয়ে এসে মুক্তির সে পদাবলি
কি করে ভুলে থাকি? যদি ক্ষরণের অতৃপ্ত দহন আমাকে
ফাগুনের ফোটা পলাশের কথা ভুলিয়ে দেয়
যদি বিস্মৃত হই অতীতের সকল অর্জন, তবে হিজলের সাথে
পথে পথে আমিও বলে যাব – ‘আমার এ পথচলাতেই আনন্দ’।