আমি ও বাঘারু

আহমেদ মুনির
জন্ম ৪ জুলাই ১৯৭২
পেশা : শিক্ষকতা ও সাংবাদিকতা
প্রকাশক : ঐতিহ্য

আহমেদ মুনিরের কাব্যগ্রন্থ আমি ও বাঘারুতে আশা-নিরাশার সঙ্গে মিশ্রিত হয়েছে জীবনের এক স্বপ্নছবি। এ-ছবি বিপন্ন সময়ের।কবির জন্য কঠিন এক সময়। এই সময়কে তিনি শনাক্ত করেন পরিপার্শ্ব থেকে। যেখানে স্বপ্ন আছে একটু হাত বাড়ালেই, টের পাওয়া যায় কবির ভাষায়, ‘মাদারির মুখের মতো পবিত্র ও করুণ সব স্বপ্ন’।জীবনের বহুস্তর ভাঙা-গড়াও জীবন্ত হয়ে ওঠে এই কবির কণ্ঠে।

নবীন এই কবির কাব্যভাষা ও নির্মিতি ভিন্ন এক আবহ সৃষ্টি করে।আমরা পেয়ে যাই এই তরুণ কবির মধ্যে ভিন্ন এক জগৎ। ভাষা ও বক্তব্যের ভিন্ন সুর আমাদের চেতনাকে প্রসারিত করে।কবির এই নির্মাণ ও সৃষ্টি আধুনিক বাংলা কবিতার অভিযাত্রায় সাধনা ও সিদ্ধিতে এক পথ নির্মাণ করবে। আর এই স্বীকৃতি কবিকে প্রেরণা জোগাবে এই আশা করি। কবিকে অভিনন্দন।আহমাদ মোস্তফা কামাল তাঁর জন্ম ১৪ ডিসেম্বর ১৯৬৯ সালেবর্তমানে ইন্ডিপেন্ডেন্ট ইউনিভার্সিটিতে কর্মরতঅন্ধ জাদুকর আহমাদ মোস্তফা কামাল প্রকাশক : পাঠসূত্র  প্রতিটি মানুষ আনন্দ-বেদনা, সুখ-দুঃখের মধ্যেও জীবনের ছন্দকে খুঁজে বেড়ায় বটে; কিন্তু সে কি কিছু পায়? এই খোঁজা ও তাড়না তাকে করে তোলে নিঃসঙ্গ। এভাবে হয়ে ওঠে সে ভিন্ন। এই বোধ আধুনিক বোধ। নবীন কথাসাহিত্যিক আহমাদ মোস্তফা কামাল এই সময়ের আশ্চর্য বোধকে রূপায়িত করেন তাঁর কলমে।অন্ধ জাদুকর উপন্যাসে নায়কের জীবনবোধের সঙ্গে যে-সম্পর্ক ও সম্পর্কহীনতা, মানুষের সঙ্গে মানুষের ও পরিবেশের সংযোগহীনতা তাঁকে তাড়া করে। এই বোধ তাঁকে কোনোকিছুর সঙ্গে মেলাতে পারে না। সেজন্য সে হয়ে পড়ে নিঃসঙ্গ।

অন্ধ জাদুকর বাংলা উপন্যাসে মানবজীবনের কিছু অনিবার্য ও অনস্বীকার্য প্রশ্নের উত্তর খুঁজেছে। এই খুঁজে বেড়ানোই লেখককে অনন্য করে তুলেছে। পাঠকের অভিজ্ঞতার দিগন্ত হবে বিস্তৃত। এই নির্মিতি লেখককে স্বাতন্ত্র্যেও চিহ্নিত করেছে। সম্পূর্ণ নতুন অনুষঙ্গকে ধারণ করে এই উপন্যাস মানব-হৃদয়ের বেঁচে ওঠার আর্তির বিশ্বস্ত দলিল হয়ে উঠেছে। জাদুবিস্তারি বর্ণনায় এ-দেশের সাহিত্যে এ এক নব সংযোজন। আহমাদ মোস্তফা কামালকে অভিনন্দন জানাই।