আলোর রেখা

ফেরদৌস আরা আলীম খবরের কাগজের নারী পাতায় নারীদের কথা লেখেন। নারীর দুঃখ, নারীর যুদ্ধই তাঁর লেখার মূল উপজীব্য। চর্যার হরিণী তুই তাঁর একটি প্রবন্ধ-সংকলন। ২০১১ থেকে ২০১৬ পর্যন্ত চট্টগ্রাম থেকে প্রকাশিত দৈনিক আজাদীর সাপ্তাহিক কলামে ‘গল্প নয়’ শিরোনামে প্রকাশিত তাঁর নির্বাচিত পঁয়তালিস্নশটি প্রবন্ধ স্থান পেয়েছে আলোচ্য গ্রন্থে। কেবল নারী-সম্পর্কিত প্রবন্ধ ছাড়া সমকালীন প্রসঙ্গ, স্থানীয়, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক নানা বিষয়, এমনকি বিশ্বসাহিত্যের টুকিটাকি পর্যালোচনাও আছে তাঁর লেখায়। প্রকৃতি ও বাংলার ঋতুবৈচিত্র্য, মানবিকতা, দেশাত্মবোধ, ইতিহাস, ধর্ম, দর্শন ঘুরেফিরে আসে তাঁর লেখায়। আঙুল তুলে দেখান তিনি কোথায় গলদ – কি রাষ্ট্রে, সমাজে, কি গৃহে। হাহাকার ঝরে পড়ে তাঁর কলম থেকে। পালটে দিতে চান সকল অব্যবস্থাপনা। নজরুলের সেই কথাটির মতো – ‘দেখিয়া শুনিয়া খেপিয়া গিয়াছি, যাই আসে তাই মুখে …।’ তবে বিদ্রোহীর বেশে নয়, মাতৃরূপে।

চর্যার হরিণী তুই ফেরদৌস আরা আলীমের প্রবন্ধ-সংকলন হলেও প্রতিটি প্রবন্ধই পাঠককে একটি করে গল্প শুনিয়ে যায়। সংক্ষিপ্ত পরিসরে অল্প কথায় নানান ধরনের জীবনের গল্প বলে যান তিনি বিস্ময়করভাবে। সমাজের নিচুতলা থেকে উঁচুতলা সব অবস্থানেই নারীর অসহায়ত্বের কথা ফুটে উঠেছে তাঁর লেখায়। বিশ্বাস ও বিশ্বাসহীনতার কথায়, অকিঞ্চন জীবনের কথায় চরিত্রগুলো রক্ত-মাংস নিয়ে জীবন্ত হয়ে ধরা দেয় পাঠকের সামনে। পরিবারের অন্ন জোগাতে শরীরের অঙ্গ বিক্রি করা কালাই গাঁয়ের নারী-পুরুষ থেকে শুরু করে বিশ শতকের শুরুতে বাঙালি নারীদের উচ্চশিক্ষায় ‘পায়ে পায়ে পথ কেটেছেন’ যে-রমণীগণ তাঁদের কথা আছে ফেরদৌস আরার লেখায়। পায়রাবন্দের রোকেয়া থেকে সোয়াত উপত্যকার মালালা যেমন আছেন, তেমনি আছেন মুম্বাইয়ের অরুণা, দিলিস্নর নির্ভয়া, কাবুলীওয়ালার বাঙালি বউ সুস্মিতাসহ অনেক অনেক মানবীর কথা, যাঁদের কোনোদিন ভুলবে না পৃথিবী। আমাদের তারামন বিবি, কাঁকন বিবিসহ দু-লাখ নারী, যাঁদের স্মরণ করা হয় কেবল বিশেষ দিবসে তথাকথিত দেশাত্মবোধের প্রমাণ দিতে, তাঁরা আসলে মিশে আছেন আমাদের অস্তিত্বে। লেখক তাঁদেরই সম্মান দিয়েছেন বাংলাদেশের জননী বলে।

সংকলনের প্রথম গল্পটিতে একটা বিমূর্ত ভাব আছে। লেখক চর্যাপদের দৃশ্যের সঙ্গে মিল খুঁজে পেয়েছেন হরিণ বাগানের সীমানার বাইরে পথভোলা হরিণীর দিশেহারা ছুটে চলায়। ‘অথ হরিণীর কথা’ নামে এ-গল্পটি পড়ে মনে হয় হরিণী আর মানবী – দুয়ের জীবন যেন এক সুতোয় গাঁথা। সীমানার বাইরে গেলেই বিপদের হাতছানি, ওত পেতে থাকে মৃত্যু। সে-মৃত্যুতে আকাশ কাঁদলেও মাটির পৃথিবীর পাথর হয়ে যাওয়া অন্তরে আঁচড় লাগে না। এখানেই যেন গ্রন্থের নামকরণের সার্থকতা।

সময়কে লেখক ধারণ করেছেন রচনায়। কথায় কথায় পাঠককে নিয়ে যান বঙ্কিমের যুগে, আবার ফিরিয়ে নিয়ে আসেন এই কালে। মিল খুঁজে পান দুই কালের মাঝে। তবে কি সম্পর্কের ধরন চিরকাল একই রকম? ভালোবাসাবাসি কি কেবলই খেলা? লুকোচুরি আর প্রতারণার খেলা?

মনে দাগ কেটে যাওয়ার মতো প্রবন্ধ ‘একটি ডায়েরির গল্প’; এক আটপৌরে মায়ের হাতেলেখা জীবনগাঁথা। ঘটনাচক্রে লেখকের হাতে আসে সেই মহামূল্যবান দলিল; একজন সাধারণ মেয়ের অসাধারণ নারী হয়ে ওঠার গল্প, যার শেষ হয় জাগতিক জীবন থেকে মুক্তিতে। বিত্তবান পরিবারের সুদর্শন রুচিবান সুশিক্ষিত জীবনসঙ্গী পেয়েও সুখের মুখ দেখেননি এই মা। অন্দরমহলের যাবতীয় দায়িত্ব নিষ্ঠার সঙ্গে পালন করে গেছেন জীবনভর। কিন্তু যুগের হাওয়ায় তাল মিলিয়ে আধুনিক রমণীদের (রূপবতী হওয়া সত্ত্বেও) মতো করে স্বামীর পাশে দাঁড়াতে পারেননি। এই ছিল তাঁর ব্যর্থতা। রুচিবান পতিদেবতার মন উঠে যায় সংসার থেকে। সব ছেড়ে, দেশ ছেড়ে নতুন করে ঘর বাঁধেন বিলেতে গিয়ে, পশ্চিমের এক সাদা রমণীকে নিয়ে। যশ-খ্যাতি আরো বাড়ে। কর্মজীবনে দুর্দান্ত সফল। তাঁর পা–ত্যের কথা লোকের মুখে মুখে। অনেক দিন পর। বিদেশিনীর সঙ্গে ছাড়াছাড়ি হয়ে গেলে তিনি দেশে ফিরে আসতে মনস্থ করেন। ভেবেছিলেন সারাজীবনের অর্জিত শিক্ষা কাজে লাগিয়ে দেশের জন্য কাজ করবেন, আরো নাম কুড়াবেন। বাকি জীবনটা সুখে-শান্তিতে দেশেই কাটাবেন। বিচক্ষণ মানুষ। সব হিসাব-নিকাশ করেই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। তাঁর নিজের মা, রেখে যাওয়া সাম্রাজ্য ও সন্তানদের এতদিন দেখেশুনে রাখছিলেন সেই পরিত্যক্ত স্ত্রী, যিনি যৌবনে তাঁর পাশে দাঁড়িয়ে সৌন্দর্যবর্ধনে কোনো ভূমিকাই রাখতে পারেননি। নিতান্ত সাদামাটা বঙ্গনারী। তিনকুলে কেউ নেই। তিনি আর যাবেনইবা কোথায়! বুড়ো বয়সে কোনোমতে একসঙ্গে কাটিয়ে দেওয়া যাবে – এই ছিল রুচিবান-খ্যাতিমান পুরুষের ভাবনা। সেই নিতান্ত সাদামাটা বঙ্গনারীর ভেতরে এত তেজ আর অহমিকা ছিল কে জানত? ডায়েরির শেষ পাতায় আত্মজাকে সম্বোধন করে লেখা চিঠিতে প্রশ্ন তুলেছেন সেই নারী – এতগুলো বছর নিরুদ্দেশ থাকার পর ওদের বাবা এখনো তাঁর স্বামী আছেন কিনা। সেই মানুষের সঙ্গে একঘরেতো থাকা যায় না। অতঃপর দরজা-জানালাবিহীন চিরশান্তির সেই ছোট্ট ঘরেই পা বাড়ালেন তিনি একান্তে, সংগোপনে। ডায়েরির গল্পের মায়ের জীবনাবসান তথাকথিত সংস্কৃতিমনা সমাজের ওপর এক নীরব চপেটাঘাত।

সত্যি ভালোবাসার গল্পও আছে এ-গ্রন্থে। আছে মানব-মানবীর ভালোবাসা ও পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধের কালজয়ী উপাখ্যান। ভালোবাসা ও দাম্পত্যের নয় দশক পূর্ণ করেছিলেন চীন দেশের জেম গাঁয়ের ইয়াং শেং জং এবং চিন জি জেন। ক্যামব্রিজশায়ারের জেক-লিলি, চীনের লিউ-সুর পাশে আমাদের শাহজাহান-মমতাজের ভালোবাসাকে রেখেছেন লেখক একই সারিতে। পঞ্চগড়ের এক অখ্যাত অজপাড়ার হাফিজউদ্দিন তাজমহল বানাতে পারেননি। সাতাশ বছর ধরে স্ত্রীর কবরের কাছে কবরের মতো করেই ছোট্ট ঘর তুলে দিনরাত ওখানেই থাকছেন। এ-কালের মুন্নি যুদ্ধ করছিল মরণাপন্ন স্বামীকে নিয়ে পনেরো মাস ধরে। বিজ্ঞানমনস্ক মুন্নি দাম্পত্যের চিহ্ন নাকফুল, চুড়ি খুলে বৈধব্যের খোলস পরে। মানুষটা চলে গেলেও হারায় না ওদের ভালোবাসা। সত্যি ভালোবাসার নায়কদের তালিকায় ভারতের তদানীন্তন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জিকেও রেখেছেন লেখক। পঞ্চান্ন বছরের যুগলজীবনে একদিনও পত্নীর সঙ্গে মতবিরোধ হয়নি। প্রচলিত ধারায় দৃশ্যমান ভালোবাসা তাঁদের মাঝে ছিল না কোনোকালে। আবেগ উদ্যাপনের বালাই ছিল না ওঁদের জীবনধারায়। একি সত্য, সকলই কি সত্য?

সত্যি ভালোবাসার গল্পে দীপনপুরের জলির কথা আসেনি, তবে মুখবন্ধে আছে। দীপনবিহীন জগৎসংসারে দীপনকে বাঁচিয়ে রাখার জন্যই যেন বেঁচে আছেন, বেঁচে থাকবেন ‘জলি’ নামে এক দীপনযোদ্ধা। চর্যার হরিণী তুই উৎসর্গ করা হয়েছে সেই জলিকে। জলিই উদ্যোগী হয়ে প্রবন্ধ বাছাই করে এ-সংকলনটি তৈরি করতে সাহায্য করেছেন লেখককে, এবং দীপনের হাতেগড়া প্রতিষ্ঠান ‘জাগৃতি প্রকাশনী’ থেকে ছাপানোর ব্যবস্থা করে দিয়েছেন।

নারীর যুদ্ধ ও ভালোবাসার গল্প ছাড়াও ফেরদৌস আরা আলীম সমাজে প্রচলিত নানা অনাচার ও অসামঞ্জস্যের কথা তুলে ধরেছেন। তাঁর মতে, অনাচার উদ্ভাবনে আমাদের বাঙালিদের জুড়ি মেলা ভার। দুর্নীতির প্রাতিষ্ঠানিকীকরণ, খাবারে ভেজাল মেশানোর নানা তরিকা উদ্ভাবন, অপরাধীর বীরত্ব প্রদর্শন, আইনের ফাঁকফোকর ও দীর্ঘসূত্রতার সুবাদে বিচারহীনতার জয়জয়কার চলছে, চলবে। আমাদের সন্তানদের জন্য সুস্থ জীবন ও সমাজ নিশ্চিত করতে পারব তো আমরা?

আমরা আজ আধুনিকতার বড়াই করি। নারীবাদের ধুয়া তুলে নারীমুক্তির নামে কত আস্ফালন হয়! কিন্তু শতবছর আগে বেগম রোকেয়ার দেখিয়ে দেওয়া পথে আজো কি হাঁটতে শুরু করেছে শিক্ষিত নারীসমাজ? শিক্ষার সঙ্গে ঘরকন্না তথা খুন্তি-কড়াইয়ের কোনো বিরোধ তো নেই। একজন শিক্ষিত মেয়ে দশভুজার মতো সামলে নিতে পারেন ঘর-বাহির। সভা-সমিতি ও বিনোদন মাধ্যমের কাটতি এবং সৌন্দর্যবর্ধনে নারীজীবনের মুক্তি ও সার্থকতা আসে না – রোকেয়ার কথাগুলো নতুন করে আমাদের মনে করিয়ে দেন ফেরদৌস আরা আলীম। ‘রোকেয়া ও তাঁর তাজমহলের গল্প’ নিবন্ধে নারী জাগরণের অগ্রদূতের যুদ্ধ ও কর্মযজ্ঞের সংক্ষিপ্ত আলোচনা একালের নারীবাদীদের নতুন করে নাড়া দেবে।

রোকেয়া ছাড়া রবীন্দ্রনাথকেও প্রাণে ধারণ করেছেন লেখক। প্রতিটি লেখায় তা স্পষ্ট। বিশেষ করে প্রবন্ধের শিরোনাম নির্বাচনে অনায়াসে শব্দ ধার করেছেন কবিগুরুর কাছ থেকে। রবীন্দ্রজয়মত্মীতে রচিত বিশেষ প্রবন্ধে নারীমুক্তির প্রবক্তা কবির প্রতি নারীর আজন্ম ঋণের কথা মনে করিয়ে দিয়েছেন তাঁর কালজয়ী কিছু রচনার উদ্ধৃতি দিয়ে। রবীন্দ্রনাথ যেভাবে চেয়েছিলেন, ‘নীতির চেয়ে সত্য বড়, রীতির চেয়ে জীবন’, মানতে পারলে ধরার বুকে স্বর্গ নেমে আসত বইকি।

শেষ রচনায় এক অপার বিস্ময়, অন্তত আমার কাছে। রোকেয়ারও আগে নৈশ বালিকা বিদ্যালয় চালাতেন একজন খায়রন নেসা খাতুন, যমুনার পাড়ে, হোসেনপুর গ্রামে। তাঁর পুঁজি ছিল মুষ্টিভিক্ষার চাল। কলম তাঁর কথা বলত, নারীকে জাগাতে। কুসুমকুমারী দাশ বোধ করি একই সময়ে ধানসিঁড়ির পাড়ে বসে লিখছিলেন, ‘আমাদের দেশে হবে সেই ছেলে কবে/ কথায় না বড় হয়ে কাজে বড় হবে’। কুসুমকুমারীর আলাভোলা পুত্র মিলুই আমাদের জীবনানন্দ। মাথা নত হয়ে আসে সেসব মহীয়সীর কথা মনে হলে। সোয়া শতাব্দী শেষেও ওঁদেরই আমাদের বাতিঘর মানতে হয়।

তথাপি ছোট্ট একটা কিন্তু। খবরের কাগজের জন্য লিখিত হলেও ভাষা ও রচনাশৈলীর কারণে সাধারণ পাঠকের কাছে একটু দুর্বোধ্যই লাগতে পারে কিছু কিছু নিবন্ধ। লেখক ব্যাকরণের নিয়ম মেনে কঠিন ও অপ্রচলিত কিছু শব্দ ব্যবহার করেছেন, যার অর্থ বোঝার জন্য পাঠককে শব্দকোষের দ্বারস্থ হতে হয়, এবং কিছু অংশ একাধিকবার পড়তে হয়। এতে পাঠকের ধৈর্যচ্যুতি ঘটার কিঞ্চিৎ আশঙ্কা থেকে যায়।

ফেরদৌস আরা আলীমের বিশেষত্ব – শুধু লেখার জন্য লেখেননি তিনি। তিনি যেন কারো ঘুম ভাঙাতে চান, যে ভোর আনবে, আলো দেখাবে। এত অন্ধকার, অশনিসংকেতের মাঝেও তারুণ্যের সূর্যোদয়ের আভা দেখতে পান তিনি। তিনি মনে করেন, ধর্ম শেকল নয়, ধর্মই নারীর বর্ম। তাই জয় হোক ধর্মের, ধর্মান্ধতার নয়। নারীর শক্তি মেধায় ও মননে, শারীরিক সৌন্দর্যে নয়। বন্ধ হোক তাই রং ফর্সাকারী প্রসাধনসহ নারীর অবমাননাকারী সকল অপবিজ্ঞাপন। বস্ত্তগত প্রাপ্তির নেশায় ঊর্ধ্বশ্বাস-রুদ্ধশাসে ছুটে চলা মা-বাবাদের জন্য সতর্কবাণী রেখেছেন পিতা-মাথার হত্যাকারী কিশোরী ঐশীর প্রসঙ্গ টেনে। লেখকের সাহসী উচ্চারণ – ‘সমাজ, জীবনানন্দের নষ্ট শসা। পচন ধরেছে রাষ্ট্রযন্ত্রে। রাজনীতি দূষিত, কলুষিত। ভাঙনের তীরে দাঁড়িয়ে আছে দেশ।’
(পৃ ১৪৪) হাল ধরার আকুতি জানিয়েছেন তিনি দেশবরেণ্য নেতাদের কাছে নয়, বাংলার সাধারণ মায়েদের কাছে।

২০১১ থেকে ২০১৬-র মধ্যে রচিত হলেও চর্যার হরিণী তুই-এ স্থান পাওয়া ফেরদৌস আরা আলীমের লেখাগুলো ২০১৮-র শেষে এসেও আবেদন হারায়নি; এখনো অনেক প্রাসঙ্গিক। পরিসংখ্যানে শিক্ষাসূচকের ঊর্ধ্বগতি, অর্থনৈতিক স্বাধীনতা, জীবনযাত্রার মানের দৃশ্যমান উন্নয়ন হলেও পোশাকি স্বাধীনতার নামে নারীত্বের অবমাননা চলছে অহরহ, যত্রতত্র। রোকেয়ার স্বপ্ন আজো পূরণ হয়নি। সুফিয়া কামাল, আশাপূর্ণা দেবী, রাজিয়া খান, নীলিমা ইব্রাহীম, জাহানারা ইমামরা যুদ্ধ করে গেছেন। যুদ্ধ করছেন সেলিনা হোসেনরা। সেই একই যুদ্ধে নেমেছেন ফেরদৌস আরা আলীম। সত্তরেও কলম তাঁর বিরামহীন, শানিত, দুর্বার। অদূরেই কি দেখা যায় আলোর রেখা!