আল্লার গজব পড়ুক

বোরহানউদ্দিন খান জাহাঙ্গীর

আমি তাকে ভালোবাসতে শুরু করি যখন তার বয়স উনিশ, আর আমার পঁচিশ। সে সবসময় হলুদ কিংবা নীলরঙা শাড়ি পরত, এই দুই রঙের ভেতর দিয়ে তার শরীর স্বচ্ছ হয়ে উঠত। এই স্বচ্ছতা নিয়ে সে ষাট বছরে মরে যায়, আর আমি এখনো সত্তরে বেঁচে আছি। আমরা কখনো সেক্স করিনি, যদিও করার ইচ্ছা দুজনের পুরোপুরি ছিল।
আমি বলতাম, করবে?
সে বলত, করব।
চলো, তাহলে করি।
সে নীলরং শরীর থেকে তুলে বলত, থাক, আর একদিন করব।
আমি বলতাম, সে-ই ভালো। শরীর তো পালিয়ে যাচ্ছে না।
এভাবে আমরা ষাট এবং সত্তরে পৌঁছেছি, সেক্স করার ইচ্ছা প্রকাশ করে এবং সেক্স করার ইচ্ছা স্থগিত করে। এর মধ্যে আমরা বিয়ে করি, সে অন্য পুরুষের শরীরে মাতামাতি করেছে এবং আমি অন্য নারীর শরীরে কোলাহল তুলেছি।
কিন্তু আমরা কখনো পরস্পরের সঙ্গে সেক্স করার ইচ্ছা বাতিল করিনি। যখনই দেখা হতো নীল কিংবা হলুদ শাড়িতে, তাকে নিয়ে শোবার ইচ্ছা আমার শরীরে হাহাকার করে উঠত।

দুই
আমরা দুজনই পেইন্টার। মধ্যম মাপের পেইন্টার হিসেবে বাজারে এবং শিল্পমহলে আমাদের সুনাম আছে। আমার একটা পুরনো ফোক্স ওয়াগন গাড়ি আছে। বিয়ের আগে এবং পরে, এই গাড়ি করে আমরা আউটডোরে কাজ করতে যাই। নিসর্গ অাঁকি, গাছপালা অাঁকি, কৃষকদের অাঁকি। ফেরার সময়, আমাদের দুজনের প্রিয় একটা ভাঙাচোরা গোরস্তানের কাছে গাড়ি পার্ক করে ফ্লাস্ক থেকে চা খাই।
আমি ওকে জিগ্গেস করি, কত লোক এখানে শুয়ে আছে বলতে পারো?
জানি না। তুমি বলতে পারো?
একটা ভয় কবরগলি থেকে উঠে আসে। নানা ধরনের ভয় ঘুরতে থাকে। হঠাৎ দেখি, একটা চাঁদ উঠে আসে আকাশে। একটা বাতাস শাদা ঢেউয়ের বাঁক তুলে দিগন্তে মিলিয়ে যায়। দূরে কোথাও নদী নেই। নদী আছে, এই কল্পনা ভালো লাগে। ওর নীল শাড়ি বাতাসে উড়ে যায়, এবং উড়ে যেতে যেতে একটা নদী হয়ে যায়, কৃষকদের ডাকাডাকি হয়ে যায়, দূরের কিংবা কাছের গ্রামের মানুষজন পরস্পরকে ডাকে, পরস্পরের গরুগুলোকে ডাকে, যেন প্রান্তরে গরু এবং মানুষজন এবং মানুষজনের পুত্রসন্তানরা হারিয়ে যাওয়া শুরু করেছে। চাঁদ উঠলে বিরান প্রান্তরে মানুষজনের হারিয়ে যাওয়া শুরু হয়। যে-নদী নেই, সে-নদীটা কাছে এসে পাড়ভাঙা শুরু করে। যে-পাখিটা আকাশে দেখা যায় না, সে-পাখিটা নদীর হাত ধরে ফিরে আসে। সে আমার হাত ধরে, আমি তার হাত ধরি, আমাদের মধ্যে ভরে যায় মৃত্যু। আমাদের চোখ মৃত্যু ভরে দেয়। মরে যাওয়া, একটা সিরিয়াস বিজনেস।
আমি ওকে জিগ্গেস করি, তাই না।
ও আমাকে জিগ্গেস করে, তাই না।
আমি গাড়ি চালানো শুরু করি। মুখ ফিরিয়ে নিই আকাশ, বাতাস, নদী এবং পাখি থেকে এবং মুখ ফিরিয়ে নিই মৃত্যু নামক একটা সিরিয়াস বিজনেস থেকে।

তিন
ওর কথা মনে হলেই, আমার মনে পড়ে ওর পিঠের ঢাল; ওর দুই হাত কোলের ওপর, একটু পরপর ডান পা বাঁ পায়ের ওপর, বাঁ পা ডান পায়ের ওপর তুলে ধরা। একটা অস্থিরতা ওর সারা শরীরে। ওর বয়েস হয়েছে কখনো মনে হয় না, সেই কবে থেকে দেখছি। ওকে মনে হয় তৃপ্ত, নিজের ভেতরে একটা বৃক্ষ তৈরি করে ও বসে আছে। আমি ওর পাশে গিয়ে বসি, ও একটু জায়গা ছেড়ে দেয়, ও ঘরের টুকিটাকি কাজ সারে, আমার দিকে খুব একটা তাকায় না, শুধু হাত দিয়ে আমার গাল ছুঁয়ে দেয়।
আচমকা বলে ওঠে, হ্যালো। চলো যাই।
ওর সম্বন্ধে আমার এসবই মনে পড়ে।
কখনো কখনো আমরা শহীদ মিনারে যাই বিখ্যাতদের মৃতমুখ দেখতে।
যাওয়ার আগে আমরা শহরের ওই রাস্তা এই রাস্তা ঘুরে বেড়াই। দোকানপাটের কাচের জানালা দিয়ে উঁকি দিই। পাশাপাশি অনেকক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকি। ইচ্ছা করে বিছানার চাদর কেনার। আমার চাদরখানা ছিঁড়ে গেছে, রং চটে গেছে। আমি ওকে জিগ্গেস করি, তোমার কী কেনার ইচ্ছা হচ্ছে?
আমার? দুই চোখ আমার চোখে স্থাপন করে ও বলে, জানালার পর্দা। আমরা এভাবে কেনাকাটার কথা বলি, এই রাস্তা ওই রাস্তায় ঘুরি, তারপর শহীদ মিনারের কোলাহলের মধ্যে প্রবেশ করি। আমার হাত শক্তভাবে ধরে রাখে ও, কিছুতেই যেন হাত থেকে হাত খসে না যায়।
আমাদের সামনে কিবরিয়া শুয়ে আছেন। শান্তভাবে। আমি ভাবি, এই কিবরিয়া সত্য। আমি ভাবি, এই কিবরিয়া সত্য।
ও আমার হাত ধরে কোলাহলের বাইরে চলে আসে। ও হঠাৎ বলে, আমার ইচ্ছা করছে তোমার কপালে একটা চুমু খেতে। খাব?
খাও।
আমরা চুমু খাই না। চুমুর কথা বলি। গাড়ি স্টার্ট দিয়ে শহীদ মিনার এলাকা পেছনে ফেলে উঁচু উঁচু গাছপালার রোদ ও ছায়ার ভেতর দিয়ে ওর বাড়ির সামনে পৌঁছে যাই।
ও আমার হাত ধরে খানিকক্ষণ দাঁড়িয়ে থেকে গেট খুলে ভেতরে চলে যায়। আমি নিজের ডেরায় ফিরে আসি। একটা পেইন্টিং শুরু করেছিলাম। কাজটার দিকে তাকিয়ে থাকি, কিবরিয়ার হাত ধরে ঘুমিয়ে পড়ি। একটা শান্তি, একটা উঁচু গাছ, একটা রোদের ভেতর দিয়ে কোন অনন্তের সামনে দাঁড়িয়ে থাকি।
হঠাৎ ঘুম ভাঙে। দেখি, ইজেলের দিকে তাকিয়ে আছি। আমার হাতে কিবরিয়ার হাত নেই, তোমারও হাত নেই।
তুমি আস্তে আস্তে বলছ, একটা সুন্দর দিন উপহার দেওয়ার জন্য।
আমি তোমার চোখের দিকে তাকাই। কিবরিয়ার মৃত্যুর দিন সত্যিই সুন্দর। আমি তোমার দিকে তাকিয়ে থাকি। তুমি কী দেখছ তুমিই জানো। যা-ই তুমি দেখো, তা নিয়ে তোমার ভাবনা নেই। ভাবনাটা কি আমাকে নিয়ে? যাকে ভালোবাসি, তাকে আমরা কি সবসময় পছন্দ করি?
এখানেই বোধহয় আমার এবং তার ভুল। আমরা ভেবেছি, আমাদের বাছাই করার সুযোগ আছে। আমি ভেবেছি এবং সে-ও ভেবেছে, আমরা বোধহয় কাউকে পছন্দ করে বিয়ে করতে পারি। আমরা বোধহয় তাকে নিয়ে সুখী হতে পারি। কিন্তু আমরা বুঝিনি আমাদের সব পছন্দই ফ্যাটাল। আমার এবং ওর মতো যে-কোনো মেয়ের পছন্দমাত্র ভুল, যখনই আমরা পছন্দ করি না কেন।
কিবরিয়া, মৃত্যুর মধ্যে দিয়ে, আমাদের দুজনকে, পছন্দের সর্বনাশ শিখিয়েছেন। কিবরিয়ার রং কী দারুণ ফ্যাটাল আমি এখন বুঝতে শিখি।

চার
আমার একটি ছোট ভাই আছে। সে মাদ্রাসার লাইনে লেখাপড়া করে ইন্ডিয়ার দেওবন্দে চলে যায়। সেখান থেকে লোকপরম্পরায় শুনি, সে আফগানিস্তান চলে গেছে তালেবানের ফাইটার হয়ে। অনেকদিন তার খোঁজখবর পাই না। বাবা অনেকদিন আগে গত হয়েছেন, মা খালি কান্নাকাটি করেন। যখন তাঁর কান্না শেষ হয় না, আমি ইজেলের কাছে ফিরে আসি, নয়তো ওর সঙ্গে লং ড্রাইভে বেরিয়ে যাই। রং আমাকে অনেকটা স্বস্তি দেয়, লং ড্রাইভ আমাকে অনেকটা উদাস করে তোলে। আমি বুঝি, এসব আমার দরকার; বেঁচে থাকতে হলে এসব আমার দরকার। কেঁদে তো ছোট ভাইটির খোঁজ পাওয়া যাবে না। যে তালেবানের সঙ্গে আমেরিকানদের বিরুদ্ধে আল্লার হুকুমত প্রতিষ্ঠা করতে গেছে, তার খোঁজ আমি কী করে পাব।
একদিন বাসায় ফিরে একটা চিঠি পাই। খামের ওপর আমার নাম লেখা। কোনো ডাকঘরের কোনো সিল নেই।
চিঠিটা আমার, আমার ছোট ভাই লিখেছে, আমাকে উদ্দেশ করে। চিঠিটা পড়তে গিয়ে আমার দুচোখ ঝাপসা হয়ে যায়।
আমার মা কীভাবে টের পান, কে জানে। হয়তো সব মা-ই সন্তানদের খোঁজ এভাবেই পান। রক্তের মধ্যে সব সন্তানের নাম-ঠিকানা লেখা থাকে। সেই লেখা মোছা যায় না।
মা জিগ্গেস করেন, কার চিঠি বাবা?
আমি আস্তে আস্তে ক্যানভাসে শিশির ছিটানোর মতো বলি, বলাটা একটি গাছে বাতাসের ছোঁয়ার মতো আমার কানে বাজে, রহমানের। মা প্রথম থমকে যান, পরে কান্না কান্না গলায় বলেন, আমার বাজানের।
জি, মা।
পড়ে শোনা।
পড়ছি মা।
ভাইজান, আমার সালাম নিবা। আম্মাকে দিবা। আমি পাকিস্তান থেকে পালাবার পথে। চিঠিটা আমার এক তালেবান দোস্তের হাত দিয়া পাঠালাম। আশা করি, কেরামত আমার আগে দেশে পৌঁছাইবে।
আমি মরতে মরতে বাঁইচা আছি। এখন বুঝি, এসব যুদ্ধ ভালা না। যুদ্ধ কইরা আমেরিকানরা গণতন্ত্র এই দেশে আনতে পারে নাই, কুন দিনও পারবে না। আর আমরাও যুদ্ধ কইরা শরিয়তি জীবন কায়েম করতে পারব না, কুন দিনও পারব না।
যুদ্ধ কইরা মানুষ মারণ যায়। আর কিছু করণ যায় না। আমি দেশে ফিরা আসতাছি।
ভাইজান, আম্মাকে কইও, আমি বিবাহ করিয়াছি। মেয়েটি আফগানি। মেয়েটির ওপর অনেক অত্যাচার গিয়াছে। মেয়েটিকে দেখিলে তোমাদের পছন্দ হইবে। কিছু ভাঙা ভাঙা বাংলা তাকে শিখাইছি। সে-ও আমাকে কিছু ফারসি শিখাইছে।
আমি এখন বুঝিয়াছি, আমেরিকানদের মতো গণতন্ত্র নিয়া বাড়াবাড়ি করিয়া কোনো লাভ হয় না। খালি মানুষ খুন হয়। আর তালেবানের মতো শরিয়ত নিয়া বাড়াবাড়ি করিয়া কোনো লাভ হয় না। খালি মানুষ খুন হয়।
আমি আর মানুষ খুন করিতে চাহি না। আল্লাপাক আমাকে মাফ করিয়া দিবেন। নিশ্চয় আল্লাপাক আমাকে মাফ করিয়া দিবেন।
ভাইজান, আপনারা ছহিছালামতে থাকিবেন। আল্লার ইচ্ছায় শিগগিরই আপনাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ হইবে।
ইতি
আপনার স্নেহের ভাই রহমান।
আমি স্তব্ধ হয়ে থাকি। আমার চোখে পানি আসে। আর মা ফোঁপাতে শুরু করেন। এই অশ্রু সুখের না দুঃখের, জানি না।
রহমানকে ফিরে পাচ্ছি। কিন্তু কোন রহমানকে? অনেক মৃত্যু পেরিয়ে রহমান আমাদের কাছে ফিরে আসছে। কোন জীবন নিয়ে? আমার মাথা দপদপ করতে থাকে।
আমি মাকে বলি, একটু ঘুরে আসি।
মা বলেন, যাবি যা। আমার একলা থাকতে ডর লাগছে।
জানি মা।
দেরি করিস না।
করব না। আমি শুধু ওর বাসায় যাব।

গাড়ি নিয়ে বার হওয়ার পর, আমার মনে পড়ে, মা আমাকে ডাকেন, আমার ছেলে আর রহমানকে ডাকেন, আমার বাজান।

আমাকে দেখে ও প্রায় চিৎকার করে ওঠে, কী হয়েছে তোমার?
আমি বলি, রহমান ফিরে আসছে।
কোন রহমান? তোমার ভাই?
হ্যাঁ।
অনেকক্ষণ আমরা চুপ করে থাকি। পরস্পরের দিকে তাকাই না। একটা বিষাদ আমাদের ঘিরে ধরে। একটা বিষাদ, পূর্ব জীবন থেকে উঠে আসে। তুমি খুশি হওনি তোমার ভাই ফিরে আসছে বলে।
বুঝি না।
আগের রহমানকে ফিরে পাবে না। তাই তো।
হ্যাঁ।
যে-ভাইটা ফিরে আসছে, সে-ভাইটা তোমার চেনা না। রহমানের সঙ্গে কিছু এখন শেয়ার করতে পারবে না।
ঠিক।
জানো তো, আমরা সাত বোন। এক একটা বোনের বিয়ে হয়েছে। বোনটি বিট্রেয়াল মুছে জীবন শুরু করেছে। স্মৃতি কেবল ঢেকে রাখে।
আমার তাই মনে হয়।
রহমান থেকে তুমি এখন কিছু শেয়ার করতে পারবে না। রহমানও তোমার জীবনযাপন থেকে কিছু শেয়ার করতে পারবে না।
তার মানে আমরা দুজন নিঃসঙ্গ হয়ে যাব।
উপায় কী বলো।
একটা অন্ধকারের মধ্যে জীবনের সঙ্গে বিট্রে করে চলব।
আমাদের মৃত্যু। আমাদের মৃত্যু এভাবেই হয়।

পাঁচ
বহু রকমের মৃত্যু আছে। কিছু কিছু মৃত্যু আবার হত্যা তৈরি করে। হত্যা যেসব মৃত্যু তৈরি করে, তার মধ্যে একটির সঙ্গে হঠাৎ সাক্ষাৎ হয়ে যায়। বারডেমে আমরা এসেছি আমাদের একজন পরিচিত ব্যক্তিকে দেখতে। অসুস্থ রোগী, ব্লাড সুগার কমছে না। আমরা দীর্ঘ নিশ্বাস ফেলে তাকে দেখতে আসি। দীর্ঘ নিশ্বাস ফেলে ফের ফিরে যাই।
এবার রোগীকে দেখে ফেরার সময় লিফটের কাছে দেখি ভিড়। পুলিশ, র্যা ব এবং গোয়েন্দা ভর্তি।
একটা হুইল চেয়ারে একজন ব্যক্তি বসা।
লোকটিকে দেখে আমরা দুজন, সমস্বরে, নিচু গলায় বলি, আরে ওই কসাইটা না।
তাই তো।
কসাইটাই।
গোলাম আযম, না?
ভুল হওয়ার কোনো কারণ নাই।
এই মানুষটা অভিশপ্ত।
আমরা ভিড় ঠেলে গাড়িতে উঠি। রাস্তায় মানুষ, উত্তেজিত গলায় স্লোগান দিচ্ছে : গোলাম আযমের ফাঁসি চাই।
আমি বলি, এই লোকটা না বহু হিন্দুকে জোর করে মুসলমান করেছে। এই লোকটা না বহু মুসলমানকে কাফের বলে হত্যা করেছে।
ও বলে ওঠে, এই কসাইটার বাঁচার অধিকার নাই।
আমি বলি, আল্লার লানত এই লোকটার ওপর।

আমাদের গাড়ি রূপসী বাংলা হোটেলের পাশ দিয়ে বেরিয়ে যায়। এই লোকটা অভিশপ্ত। আল্লা এই লোকটাকে অভিশপ্ত করে দিয়েছেন। আল্লার দুনিয়ায় এই লোকটার বাঁচার কোনো অধিকার নাই। মৃত্যু এই কসাইটার চূড়ান্ত প্রাপ্য।
জানো।
আমি কয়েক লহমা চুপ করে থাকি।
বলো।
অভিশপ্ত মানুষদের সম্পর্কে হজরত মুসা (আ.) বলেছেন। হজরত ঈসা (আ.) বলেছেন। হজরত মোহাম্মদ (সা.) বলেছেন।
আল্লার গজব পড়ুক এই কসাইটার ওপর।
তুমি আস্তে আস্তে, বজ্র থেকে আওয়াজ কেড়ে নিয়ে বলতে থাকো, আল্লার গজব পড়ুক এই কসাইটার ওপর।