আসাদ চৌধুরী
তোমার শরীরে মাটি
শাদা কাপড়ের ভাঁজে ভাঁজে
আকাশ দেখার সাধ
কৌতূহলী কিশোরীর মতো
কাজে ও অকাজে।
সুন্দরবনের কোন দিকে
তোমার বসত,
তোমার ফেরার পথ
বাঘের থাবার কাছাকাছি?
শাসিত্ম কীভাবে মকুব হলো?
মাটির গভীরে গিয়ে ফিরে আসা
ছোঁয়নি তো মাছি।
সমুদ্রে তলিয়ে গিয়ে
আকাশে আকাশে ডানা মেলা পুনরায়।
ও ভাই, ভাই রে,
তোমার কি এসব বৃত্তান্ত মনে আছে?
কার কাছে তুমি যাও
সকাল সন্ধ্যায়?
সাতমোড়া তোমার বাড়ির খুব বুঝি কাছে?
কী এমন অপরাধ করেছি? গাছেরা
সব পাতা ঝেড়ে ফেলে দিলো
সব পাখি প্রচ- বোমার বিস্ফোরণে
গার্লস স্কুলে নীল-শাদা
জামায় কাদার ছোপছাপ?
বলেছি তো, হাভাতে লোকের
মান-সম্মান আছে
ক্ষেধে আছে
কাম-ক্রোধ এইসব আছে
এর বেশি বলার ক্ষমতা অন্তত আমার নেই।
তোমাদের জানা নেই আমার মুরোদ?
পশুদের প্রতিশোধ নেবার আকাঙক্ষা আর
শক্তি আছে,
ক্ষমতার এইসব থাকে
বেপরোয়া হয়ে পয়সার গরম…
চা-তে চিনি হতে পারে কম
ভাতে টান পড়তে পারে নুন
সঙ্গীবিহীন রজনী
যুবকের
হয়তো বা যুবতীর
খারাপ লাগতেই পারে –
বলা-কওয়া শেষ –
বালিশেরে শান্তি দাও,
মাথাটা ওপরে তুলে
একটুখানি ভাবো।
মৃত্যুকে সঙ্গী করে
আমাদের সব আস্ফালন
আঁতুড়ঘরের গন্ধ
কে আর খুঁজতে চায়
কবরে কি চিতায়।
বিশাল বারান্দা,
কী মসৃণ ঘাস-কাটা লন,
এক ফালি চাঁদের সহিত
কথা অনর্গল
এইসব দেখে-টেখে
কেটে গেছে রাত্রি আর দিন।
অল্প রোজগারে ব্যতিব্যস্ত
কেমনে এনে দেবে সমত্মানেরে
বারবির পুতুল।
রবারের লাল বল?
সিঁড়িগুলো পায়ের নিচেই থাকে
কেউ কেউ বেশ উঠে যায় তর-তর করে
কেউ নামে, অনিচ্ছায়,
কেউ কেউ বেশ তাড়াতাড়ি নেমে যেতে পারে।
ওঠা ও নামার জন্য
মানুষের এইসব সিঁড়ি