একতারা

বীথি চট্টোপাধ্যায়

 

একটি নৌকা কুয়াশার বুক চিরে;

ছোট ছোট গ্রাম পদ্মার দুই তীরে।

 

কোনো গ্রাম শুধু কৃষ্ণ কৃষ্ণ করে

কোনো গ্রাম ছেয়ে আলস্না হু আকবরে।

 

পদ্মার জল একটি নৌকা তাতে

লালন ফকির একতারা ধরে হাতে।

 

সেই একতারা সুর হয়ে ওঠে ভেসে

মক্কা মদিনা বারাণসী হৃষিকেশে।

 

মক্কা মদিনা সব এই দেহমনে

যে আছে কাবায়, সেই তো বৃন্দাবনে।

 

সে আছে নদীতে, নদীতীর জুড়ে আছে

লালন মাজার কালীগঙ্গার কাছে।

 

লালনের বাড়ি শিলাইদহর পাশে

ঝিনাইদহতে এখনো নাকি সে আসে?

 

এখনো নাকি সে গঙ্গায় পদ্মায়

একতারা নিয়ে নদীজলে বয়ে যায় …

 

একতারা নিয়ে পানির ওপর জলে

জলের ওপর পানিতেও ভেসে চলে।

 

ঠাকুরবাড়ির জমিদারি জলপানি

জ্যোতিদাদা তাঁর ছবি আঁকে একখানি।

 

যার ছবি আঁকা নদী আর নদীচরে

সুর মিলে যায় আলস্না ও ঈশ্বরে।

 

সুর মিলে যায় মাটি আর নদীজলে

একটি নৌকা পদ্মার বুকে চলে।