কফিনকাব্য

মামুন মুস্তাফা

আট

জুতা সেলাইয়ের ভেতরে জেগে থাকে অনুকাব্য। প্রতিটি ফোড়নে বেরিয়ে আসে ‘জুতা আবিষ্কার’। মুচির আত্মার মতো করুণ ভালোবাসা নিয়ে জুতা হেঁটে যায়। মুচি ফিরে চলে মেঘের ভেতরে। যেখানে স্বপ্নেরা স্নান সারে। উৎকণ্ঠ বিশ্বাস নিয়ে মুচি পেরেক ঠোকে কফিনের কাঠে। সারাবেলা বসে থেকে কফিনকাঠ মেলে ধরে ঝিনুক-উত্তর। তোমারও সঙ্গী কেবল প্রতারণাটুকু! মুচির চোখের গোলকে ভেসে ওঠে পঞ্চম পেরেকে ঝলসে ওঠা কফিনকাঠ – জুতাপালিশের মতো বর্ণময় কবরের মাটি…

নয়

স্থায়ী নিবাস হাওয়া। ইমিগ্রেশনে ঠিকানা ভুল। তিতির পাখিদের ডানা ঝাপটানো, পা নেই, ক্র্যাচও নেই। এ কোন শহর? স্থায়ী নিবাস শরমে আরক্ত হতে হতে ঘোষণা করে – আমি তো তাসের ঘর, বালির বাঁধ – ওই দেখ আমার চৌকাঠে ঘুণ নয়, ঝরে যাচ্ছে কর্পূর, এ এক কফিনকাঠ! খাটলায় আয়ুস্মতী শুয়ে শুয়ে ভেসে যাচ্ছি সবুজ শহরে। প্রবেশে দ্বাররক্ষকে বাধা দিলে উচ্চারিত হলো – পাসপোর্ট এখন আয়ুর শহরে, পৃথিবীর বিশ্বস্ত প্রতিনিধি বিমূঢ়, দিকচিহ্নহীন। দেখলাম নিদান পাসপোর্ট খোঁজে স্থায়ী ঠিকানা-মৃত্যুর শিকস্তী নিয়ে এই কর্পূরের কফিন…