পিয়াস মজিদ
জন্ম ২১ নভেম্বর ১৯৮৪, চট্টগ্রাম
প্রকাশক : শুদ্ধস্বর
সমালোচনা, প্রায়শই লক্ষ করা যায়, গতানুগতিক কথার ফুলঝুরি মাত্র। সেখানে থাকে না সৃষ্টির উত্তাপ, থাকে না নতুন অভিজ্ঞতার স্পর্শ। আবার কখনো কখনো সমালোচনাও হয়ে ওঠে সৃষ্টিশীল রচনা। বাংলাদেশে দ্বিতীয় ধারার লেখক যে খুব বেশি নেই, তা বলাই বাহুল্য। আমাদের তরম্নণ সমালোচক পিয়াস মজিদ করম্নণ মাল্যবান ও অন্যান্য প্রবন্ধ গ্রন্থের মাধ্যমে সৃষ্টিশীল সমালোচনার এক অনন্য নজির স্থাপন করেছেন।
পিয়াস মজিদ তরম্নণ কবি, নবীন কথাকার, সৃষ্টিপ্রিয় সমালোচক। গতানুগতিক পথে হাঁটেন না পিয়াস, নতুনের প্রতি তাঁর পিপাসা অমত্মহীন, বক্তব্যের পাশাপাশি গদ্যশৈলীতেও নিজস্বতার অভিসারী পিয়াস। সব মিলিয়ে প্রথম গদ্যগ্রন্থেই পিয়াস আমাদের আশান্বিত করেছেন, স্বাক্ষর রেখেছেন উজ্জ্বল ভবিষ্যতের। পিয়াস অনাবশ্যক কথা বলেন না, বক্তব্যহীন কথার জাল বোনাও তাঁর স্বভাব নয়। তিনি বিন্দু থেকে পৌঁছতে চান সিন্ধুতে – শিল্পমাতাল গদ্যভাষ্যে তুলে আনতে চান জীবনের না-বলা কথামালা। পাঠককে কাছে টেনে নেওয়া পিয়াসের গদ্যরীতির অব্যর্থ এক বৈশিষ্ট্য। তাঁর গদ্য-ঢং বক্তব্য প্রকাশে যেমন সহায়ক, তেমনি তা লেখকহৃদয়কে পাঠকের কাছে খোলাসা করতেও বিসত্মার করে সহযোগ। রবীন্দ্রনাথ থেকে আলতাফ হোসেন পর্যমত্ম শব্দসাধকদের সাহিত্যবৈশিষ্ট্য নিরূপণে পিয়াস করম্নণ মাল্যবান ও অন্যান্য প্রবন্ধ গ্রন্থে নিজস্বতার পরিচয় রেখেছেন নিজস্ব ঢঙে।
মৌলিক এবং একই সঙ্গে গাঢ়-সংবেদী চিমত্মাবৃত্তে বিচরণশীল পিয়াস মজিদকে ‘এইচএসবিসি-কালি ও কলম-২০১২’ পুরস্কারপ্রাপ্তিতে অবারিত অভিনন্দন।
Leave a Reply
You must be logged in to post a comment.