কালি ও কলম তরুণ কবি ও লেখক পুরস্কার ২০১৫

চার বিভাগে উদীয়মান চার তরুণ-তরুণী পুরস্কৃত

অষ্টমবারের মতো প্রদান করা হয়েছে ‘কালি ও কলম তরুণ কবি ও লেখক পুরস্কার ২০১৫’। এ পুরস্কার প্রবর্তন করা হয় ২০০৮ সালে। এবার সাহিত্যের পাঁচটি বিভাগের মধ্যে চারটি বিভাগে পুরস্কার প্রদান করা হয়েছে। কবিতায় ধানের ধাত্রী গ্রন্থের জন্য শামীম হোসেন, কথাসাহিত্যে ধাতব সময় গ্রন্থের জন্য ইমরান খান, প্রবন্ধ-গবেষণা-নাটকে বাংলাদেশের পালকি ও পালকিবাহক গ্রন্থের জন্য রঞ্জনা বিশ্বাস এবং মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক গবেষণা/প্রবন্ধ বিভাগে যুদ্ধদিনের গদ্য ও প্রামাণ্য গ্রন্থের জন্য সালেক খোকনকে পুরস্কার প্রদান করা হয়। পুরস্কার প্রদান উপলক্ষে ২৯ জানুয়ারি, শুক্রবার, বিকাল সাড়ে ৫টায়, রাজধানীর জাতীয় জাদুঘরের প্রধান মিলনায়তনে এ অনাড়ম্বর অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন কালি ও কলমের সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি এমেরিটাস অধ্যাপক আনিসুজ্জামান। বিশেষ অতিথি ছিলেন পশ্চিমবঙ্গের প্রখ্যাত কথাসাহিত্যিক ও সংগীতবোদ্ধা শঙ্করলাল ভট্টাচার্য ও কথাসাহিত্যিক সেলিনা হোসেন। উপস্থিত ছিলেন কালি ও কলমের প্রকাশক এবং বেঙ্গল ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান আবুল খায়ের এবং কালি ও কলম সম্পাদক আবুল হাসনাত। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন বেঙ্গল ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক এবং কালি ও কলমের সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য লুভা নাহিদ চৌধুরী। বিজয়ী প্রত্যেককে ‘কালি ও কলম তরুণ কবি ও লেখক ২০১৫’ পদক, পুরস্কারের অর্থমূল্যের চেক (প্রতিটি ১ লক্ষ টাকা) ও শংসা বচন প্রদান করা হয়। পুরস্কার বিজয়ীদের উদ্দেশে শংসা বচন পাঠ করেন প্রতিযোগিতার বিচারকমণ্ডলীর দুই সদস্য অধ্যাপক বিশ্বজিৎ ঘোষ এবং কবি ও অধ্যাপক মাহবুব সাদিক। পাঁচ সদস্যের বিচারকম-লীর অন্য তিনজন হলেন-  লেখক সুব্রত বড়ুয়া, কবি মুহম্মদ নূরুল হুদা ও কথাসাহিত্যিক ইমদাদুল হক মিলন। আয়োজনের প্রথমে ২০০৮ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত কালি ও কলম তরুণ কবি ও লেখক পুরস্কারের পথ পরিক্রমার ওপর একটি প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়।
অনুষ্ঠানের শুরুতেই লুভা নাহিদ চৌধুরী তার স্বাগত বক্তব্যে জানান, দীর্ঘ ১২ বছর ধরে কালি ও কলমের পথচলা অব্যাহত আছে। এখন আর শুধু দেশে নয়, ২০১৫ সালের জুলাই থেকে কালি ও কলম পশ্চিমবঙ্গ থেকেও নিয়মিত প্রকাশিত হচ্ছে। এরই মধ্যে পশ্চিমবঙ্গে কালি ও কলমের সাতটি সংখ্যা প্রকাশিত হয়েছে। আবুল খায়ের বলেন, বেঙ্গল ফাউন্ডেশনের বিভিন্ন কার্যক্রমের মধ্যে কালি ও কলমের প্রকাশনা অন্যতম এবং মুখ্য। তিনি নবীনদের প্রেরণাদায়ী এ পুরস্কার প্রদান কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে বলে জানান। একই সঙ্গে তিনি বলেন, কলকাতা থেকে কালি ও কলমের প্রকাশনা শুরু করতে গিয়েই আমি বুঝতে পারি যে আমরা ঠিক পথে রয়েছি।
শঙ্করলাল ভট্টাচার্য তার বক্তৃতায় বলেন, বর্তমান বিশ্বে এখন সবচেয়ে প্রচলিত একটি শব্দ infrastructure, কালি ও কলম বাংলা সাহিত্যের ক্ষেত্রে সে পরিকাঠামো তৈরি করছে। নবীনদের পুরস্কার প্রদানের মাধ্যমে কালি ও কলম সে ধারাকে আরো বেগবান করেছে। তিনি আরও বলেন, বাংলা সাহিত্যের ক্ষেত্রে পূর্ব ও পশ্চিম বাংলা এক হয়ে যায়। সেখানে কোনো দেশের সীমারেখা থাকে না। এছাড়া বাংলাদেশের চলমান সাহিত্যধারারও তিনি ভূয়সী প্রশংসা করেন।
সেলিনা হোসেন বলেন, দীর্ঘ ১২ বছরের পথচলায় কালি ও কলম একটি জায়গায় এসে দাঁড়িয়েছে। বাংলাদেশের সাহিত্যে ৫২-এর ভাষা আন্দোলন থেকে ৭১এর মুক্তিযুদ্ধ পর্যন্ত যে ধারাবাহিক ঘটনাক্রম ধরা আছে তার উদ্যোক্তা অধ্যাপক আনিসুজ্জামান, শামসুর রাহমানসহ বরেণ্য সাহিত্যিকরা। পুরস্কারপ্রাপ্ত নবীনরা সেই ধারাকেই ধারণ করছেন।
আনিসুজ্জামান বলেন, এইচএসবিসির সঙ্গে এ পুরস্কার প্রদান শুরু করলেও কালি ও কলম গত দুই বছর ধরে একাই এ পুরস্কার প্রদান করছে। তিনি আরও বলেন, এদেশের সাহিত্যে নতুনদের অনুপ্রেরণায় কালি ও কলমের এ পুরস্কার নতুন মাত্রা যোগ করেছে।
সবশেষে পুরস্কারপ্রাপ্তদের অভিনন্দন এবং উপস্থিত সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে বক্তব্য রাখেন কালি ও কলম সম্পাদক আবুল হাসনাত। তিনি বলেন, দীর্ঘ ১২ বছর ধরে বিরতিহীন প্রকাশনায় কালি ও কলম সর্বদাই নতুনদের মানসম্পন্ন রচনা প্রকাশে তৎপর ছিল এবং এখনও আছে।
সবশেষে সংগীত পরিবেশন করেন রবীন্দ্রসংগীত শিল্পী শামা রহমান। আবৃত্তি করে শোনান হাসান আরিফ।

 

কবিতা
ধানের ধাত্রী
শামীম হোসেন
জন্ম ৭ আগস্ট ১৯৮৩
প্রকাশক : নদীপ্রকাশDhaner Dharty

 

 

 

 

 

 

 

 

গল্প ও উপন্যাস
ধাতব সময়
ইমরান খান
জন্ম ১৫ জানুয়ারি ১৯৮৩
প্রকাশক : ধ্রুবপদ

Dhatob Somoy

 

 

 

 

 

 

 

প্রবন্ধ, গবেষণা ও নাটক
বাংলাদেশের পালকি ও পালকিবাহক
রঞ্জনা বিশ্বাস
জন্ম ২ জানুয়ারি ১৯৮১
প্রকাশক : সংবেদ

Bangladesher Palki o Palkjibahok

 

 

 

 

 

 

 

 

 

মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক গবেষণা/প্রবন্ধ গ্রন্থ
যুদ্ধদিনের গদ্য ও প্রামাণ্য
সালেক খোকন
জন্ম ২ জানুয়ারি ১৯৭৭
প্রকাশক : ইত্যাদি গ্রন্থ প্রকাশ

Juddho Diner Galpha o Pramannochitro