কোজাগরি

রহিমা আখতার কল্পনা

 

চোখ তো কাঁদে না আর, চোখে নিদারুণ মরু

চোখের তারায় জল টলোমলো আয়না

আকাশে বাড়ায় বাহু মনোবাসনার তরু

ফিরে আসে হাত, নীলাকাশ ছুঁতে পায় না।

চোখ তো কাঁদে না আর, চোখে নিদারুণ মরু

চোখের তারায় জল টলোমলো আয়না।

 

কখনো আমার কিছু আপনজনেরা ছিল

তখন আমার মাটিতে শিশির, মমতা

উড়ে গেলে পোষা পাখি, মাটিতে ব্যাকুল ছায়া

ছায়া মুছে দেয় বিভেদ, চেনায় সমতা।

কখনো আমার কিছু আপনজনেরা ছিল

তখন আমার মাটিতে শিশির, মমতা।

 

মুখরা শরৎ এলে নদী হবে লাজবতী

কাশবনে তার কবিতার কলি উড়বে

আকাশে রুপালি মেঘে নীল জলকেলি নিতি

নিচে দুই পাড় ধু-ধু পিপাসায় পুড়বে।

মুখরা শরৎ এলে নদী হবে লাজবতী

কাশবনে তার কবিতার কলি উড়বে।

 

চোখ তো বলে না কথা, চোখে কোজাগরি রাত

চোখের পাতায় বিবাগি ভোরের দীনতা

বুদ্ধপূর্ণিমায় ভেঙেছে কপাট, খিল

মন জুড়ে আছে মনোময় উদাসীনতা।

চোখ তো বলে না কথা, চোখে কোজাগরি রাত

চোখের পাতায় বিবাগি ভোরের দীনতা।