ছায়ালক্ষ্মী

কে যেন এখনো কর্কটকালে অদৃশ্য আসে যায়
আমাদের সিথানে বিষণœ শয্যায়
বিরান ধানক্ষেতে আর বটতলার বিষাদ ছায়ায়
মায়াচ্ছন্ন এক ছায়াপথ থেকে এ মøান জনপদে
কে যেন নিভৃতে অস্ফুটে বলে যায় সুখে থাক;

কেউ কী সে-ছায়ারূপ দেখতে পায়
কেবল কবি ছাড়া
কবি তাই ছন্নছাড়া
যেমন পাগল খুঁজে ফেরে পরশপাথর
তেমনই অচিন সে-রূপ আজো খোঁজে পাগলপারা।

কিন্তু মায়াবী সে-ছায়ালক্ষ্মী নিয়ত উধাও
চকিতে দেখা দেয় কেবল কল্পনায়
নিরাশ্রয় কবি তবু খোঁজে এক অনন্ত আশায়
আছে সে আশেপাশেই আর কোনো স্বর্ণাভ পৌষবেলায়

ফিরবে স্বরূপে আবার আমাদের রিক্ত রান্নাঘরে খিন্ন রোগশয্যায়
ছায়াহীন উঠান আর অবসিত ধানের গোলায় ॥