জলকপাট

 

 

আমি সারা শহর তন্নতন্ন করে খুঁজেছি তাকে, না। সে কোথাও নেই

তবে কি সে ব্রান্ডি আর নীল বস্নাউজের ভেতরে অদৃশ্য হয়ে আছে?

তার সাথে শেষ দেখা হবার আগে, তাকে এলোমেলো আর অর্ধমৃত

ঘোড়ার মতো ঠাওর হয়েছিল! অদৃশ্য জলের রেখা ঢেকে দিয়েছিল

তার নিখাদ মুখোশ। আমি লণ্ঠন হাতে তার অদৃশ্য পথের ওপর

ভোরের আলোর অপেক্ষায় কাঁটাতারের এপাশে নীল প্রজাপতি হয়ে

উড়িয়ে দিয়েছি ডানা। পাহাড়ি পথ ধরে এগিয়ে আসছে যে তাকে

আমি কতটুকু চিনি? সবুজ হাওয়ায় আমার চুল উড়ছিল তার মুখের

ওপর। এক নিদ্রাতুর গোলকধাঁধা গোলাপের সৌগন্ধ নিয়ে আসে

 

দুই

 

জলের ভেতর মহাদিগমত্ম। ক্রমশ প্রতিবিম্ব অমীমাংসিতভাবে

লাজুক মাছের মতো অবনত হতে থাকে। সকলের সাথে

যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হলে ধীবরের জালই য্যানো নীল প্রণয়

সেজে বসমেত্মর গান গায়! শেষ গোধূলিলগ্নে পানশালায়

অনির্ধারিত সিগ্রেটের ছাই হাওয়ায় ওড়াতে থাকে প্যাঁচার মতো

অন্ধকার। গণিতশাস্ত্র অচিরেই নির্মম নিঃসঙ্গতার লাল রম্নমাল

উড়িয়ে অমত্মর মৃত্যুর মতো হিম ও রহস্যময় করে তোলে

 

তিন

 

ফুঁ দিয়ে উড়িয়ে দিলে নীল প্রজাপতির ডানা। মাতাল

হাওয়ায় সকল নির্ভার, প্রস্ফুটিত ভালোবাসা। ব্রহ্মপুত্রের

জলের সাথে বিস্মৃত হতে থাকে ক্রমশ অপেক্ষার ঢেউ

কোথায় হারিয়ে গেলে তুমি? জীবনের এপার থেকে?

এ যেন স্বপ্ন হননের দিন। পাণ্ডুর আর রহস্যময়!