জলকুমারীর মুখ

সে এক অলৌকিক স্বপ্ন ও প্রার্থনা। নদীর তীরে দাঁড়িয়ে সুদূরে তাকিয়ে থাকার মতো স্বপ্নের ভেতর দিয়ে আসে, আমার প্রার্থনার ভেতর দিয়ে আসে আর আমি অপেক্ষায় থাকি, অপেক্ষায় থাকি …।

সে এক অলৌকিক মানবী, বৃক্ষের সবুজ পাতায় পাতায় মন পবনের হাওয়ায় দুলে, চাঁদ জোনাকির সাথে রজনীর ক্যানভাসে উড়ে, শিশির ভেজা দূর্বাঘাসের জমিনে কোমল বালিকার মতো চোখ তুলে তাকায়; আমাকে জাগিয়ে রাখে অপেক্ষায়, আমাকে দাঁড় করিয়ে রাখে স্মৃতির মিনারে এবং নীরবে নীরবে পুষ্পিত পোড়ায়।

সেই পুষ্পিত পোড়ামন নিয়ে স্বপ্ন ও প্রার্থনায় যাপিত হই; জলকুমারীর মুখ এঁকে হেঁটে যাই দূরের আঙিনায়। ফুল, পাখি ও প্রজাপতির সাথে ঘুরি, বিলের জলে রুপালি মাছের সাথে খেলা করি। ঘুরতে ঘুরতে খেলতে খেলতে একসময় গভীর তন্দ্রায় তলিয়ে যাই। অতঃপর হুইসেল বাজাতে বাজাতে কুউ কুউ ঝিকঝিক রেলগাড়ি চলে গেলে জেগে দেখি আমি একটি মোহন জংশনের প্ল্যাটফরমে ক্লান্ত এক বাঁশিওয়ালার পাশে হৃদয়ে সুর ভিজিয়ে অশ্রুজলে স্বপ্ন ও প্রার্থনায় কাঁদছি।