তুষার কবির
ওই উপত্যকা পার হয়ে দেখা পেয়ে যাই দিগন্তের শেষ রেখা; শূন্যতার ভেতর বেরিয়ে আসে আরো কিছুটা শূন্যতা, মৌনতার ভেতর ছড়িয়ে পড়ে হাড়হিম নিস্তব্ধতা! সারিবদ্ধ মেঘের রঙিন বিজ্ঞাপন দেখে বুঝে উঠি কিছুক্ষণ পর জঙ্গলের সবুজ পাতার ফাঁকে আরণ্যিক বৃষ্টিরা ঝরবে। বৃষ্টির পেরেকে ভিজে যাবে জেব্রার গ্রীবার ছাপ, হাওয়ায় হারানো ভায়োলিন, কুমারীর শেষ লেখা ভাঁজপত্র। জলের মুদ্রণে ছেয়ে যাবে জঙ্গলের বৃক্ষরাজি, পিগমি নারীর সাদা হাড়, প্রতনতাত্ত্বিকের ফেলে দেওয়া লগবুক।
মরু-উপত্যকা পার হয়ে হেঁটে যাই টোটেম গুহার দিকে; দেখি চকমকি পাথর আর রক্তকোরকের নিচে চাপা পড়ে আছে বৃষ্টিদগ্ধ হরিৎ কবিতা।
Leave a Reply
You must be logged in to post a comment.