জাতীয় অধ্যাপক আনিসুজ্জামান আজ, ১৪ মে ২০২০, বিকাল ৪টা ৫৫ মিনিটে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেছেন (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাহি রাজিউন)। তাঁর বয়স হয়েছিল ৮৩ বছর। তিনি বার্ধক্যজনিত নানা জটিলতায় ভুগছিলেন।
অধ্যাপক আনিসুজ্জামান ছিলেন কালি ও কলমের সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি। তাঁর দিকনির্দেশনায় এ পত্রিকা হয়ে উঠেছে বাংলা ভাষার প্রধানতম সাহিত্যপত্রিকা। বেঙ্গল ফাউন্ডেশনের তিনি ছিলেন সুহৃদ ও অন্যতম ট্রাস্টি।
বর্ণাঢ্য জীবনের অধিকারী আনিসুজ্জামানের জন্ম ১৯৩৭ সালে, তৎকালীন অবিভক্ত ভারতবর্ষের কলকাতায়। তিনি ১৯৫৭ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় হতে এমএ এবং ১৯৬২ সালে পিএইচ.ডি করেন। তিনি উচ্চতর গবেষণা করেছেন শিকাগো ও লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয়ে এবং জাতিসংঘ বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি গবেষণা-প্রকল্পে যুক্ত ছিলেন পাঁচ বছর ধরে। ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলা সাহিত্যের অধ্যাপনা করেন দীর্ঘকাল, ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এমেরিটাস অধ্যাপক। প্যারিস, নর্থ ক্যারোলাইনা স্টেট ও কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভিজিটিং ফেলো এবং বিশ্বভারতীতে ভিজিটিং প্রফেসর ছিলেন। বাংলা ও ইংরেজিতে রচিত ও সম্পাদিত তাঁর বইপত্র প্রকাশিত হয়েছে ঢাকা, কলকাতা, লন্ডন ও টোকিও থেকে। তিনি পাকিস্তান লেখক সংঘের দাউদ পুরস্কার, বাংলা একাডেমী পুরস্কার, বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটির ফেলোর পদ, আনন্দ পুরস্কার, কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের সরোজিনী বসু পদক ও জগত্তারিণী পদক, কলকাতার এশিয়াটিক সোসাইটির ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর স্মারক ফলক ও রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর জন্মশতবর্ষ ফলক এবং রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়, নেতাজি সুভাষ মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় ও কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাম্মানিক ডি লিট্ লাভ করেন। বাংলাদেশ সরকার তাঁকে সম্মানিত করেছে একুশে পদক ও স্বাধীনতা পুরস্কার দিয়ে, ভারত সরকার পদ্মভূষণ দিয়ে। সার্ক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র থেকে তিনি ২০১৯ সালের সার্ক সাহিত্য পুরস্কার লাভ করেন।
Leave a Reply
You must be logged in to post a comment.