বঁটিতে মাছ কুটতে থাকলে আমার জিভে মশলার ঘ্রাণ পাই
স্ফুলিঙ্গের শিখায় শিখায় ধৃত বিবিধ ব্যঞ্জন
এসো হে তাবৎ মীন মানুষের জন্যে নিজেদের উৎসর্গ করো
জীববৈচিত্র্যের কথা কস্মিনকালেও তুলো না
হাওরের কুবাতাস ঘুরে ঘুরে আছড়ে পড়ে তীরে
বজরাতেই হাছন রাজার বাড়ি তামাক ঘুম ও নর্তকী ছিল
কোনো এককালে কোনো এক বহুজাতিক জীবনে
কালান্তরে সেই ধূম্রজাল ছিন্ন করে ইঞ্জিনের নৌকো এসে
তোমাকে তুলে নিয়ে যায় আগুনমোমের কাছে
যেখানে তুমি পুড়িয়ে এসেছো তোমার নিঃসঙ্গ সেই একতারা
শহর থেকে আসা সৌখিন রমণক্লান্ত ট্যুরিস্টরা হিজলগাছের কাছে
রাশি রাশি হল্লা আর নিঃসীম শীৎকার ফেলে যায়
হাওরের জলবীজতলা থেকে লাফিয়ে ওঠা সরপুঁটি খলসেরা
ক্যানবন্দি হয়ে বিমানের কার্গোতে পশ্চিমের কিচেনের উদ্দেশে
উড়াল দেয় মনপবনের নাওয়ে
ঢোঁড়া সাপের আঁকাবাঁকা পথেও শুধু অস্থিভস্ম কালো কার্বনব্যূহ
বঁটিতে যে-মাছ কুটছে মা তার আঁশের সঙ্গে পরিহাসও
রান্না হতে থাকে বহুজাতিক ভাঁড়ারে মীনমুদ্রায় নাচতে থাকে
বঙ্গদেশীয় বণিকবাহিনীও নগ্ন পোর্টিকোয়
নাচতে নাচতে মূর্ছা যায়।
Leave a Reply
You must be logged in to post a comment.