ঢাকার স্মৃতি-সত্তা ভবিষ্যতের বয়ান

হামিদ কায়সার
ঢাকা পুরাণ
মীজানুর রহমান
প্রথমা প্রকাশন
ঢাকা, ২০১১
৩০০ টাকা

‘একদিন এখানে একটা নদী ছিল। নাম ছিল তার বুড়িগঙ্গা। সে নদীতে থাকত বড় বড় সব জাহাজ। সদরঘাট টার্মিনালে নোঙর করা থাকত সারি বেঁধে। জাহাজের ভেঁপু, যাত্রী, মাঝি, কুলিদের তোলপাড় তোড়জোড়ে মুখর হয়ে থাকত জায়গাটা সবসময়। আর নদীটা প্রস্তে ছিল এতটাই প্রশস্ত, এপার থেকে ওপার প্রায় দেখাই যেত না। ঘাটের ভিড় ছাড়িয়ে একটু নির্জনে গেলেই চোখে পড়ত মাছরাঙা পাখি। চুপ করে বসে আছে জাল পেতে রাখার কোনো বাঁশে, সেই মাছরাঙা পাখির গায়ের রং এতই সুন্দর…’ আজ থেকে একশ কি দুশো বছর পর আজকের মীজানুর রহমানের মতো আরেকজন কোনো সুরসিক সজ্জন যদি আরেকটি ঢাকা পুরাণ লিখতে গিয়ে এরকম বর্ণনা দেন, তখনকার যুগের পাঠকরা কি খুব অবাক হবেন? না, অতি স্বাভাবিকভাবেই মেনে নেবেন ব্যাপারটা। যেমন, আমরা এখন খুব সহজেই মেনে নিয়েছি যে, ধোলাইখাল বলে একটা মনোরম খাল ছিল ঢাকার বুকে, দিলকুশার ওপর দিয়ে বয়ে যেত মতিঝিল নামের ছিমছাম এক নদী, কালের পরিক্রমায় যে-নদী সম্পূর্ণভাবে হারিয়ে গেছে – আছে শুধু নামটাই।

এমনি কত হারিয়ে যাওয়ার কাহিনিই না শুনিয়েছেন মীজানুর রহমান, ভরপুর গাছপালা, বনবনানী-পানাপুকুর-পশুপাখির মায়াজগৎ, যোগেশচন্দ্র ঘোষ-কাদের সর্দারের মতো মানুষের বদান্যতা, পেস্তা-বাদাম-দুধ-জাফরানসহ আরো কত কী দিয়ে মেশানো শরবত, ঐতিহ্যের কত খাবার, বিয়ে কিংবা মুসলমানির পর চকবাজারে ঘোড়ায় চড়ে চক্কর দেওয়ার মতো কত রীতিপ্রথা, কলকাতার কমলা সার্কাস, কান্দুপট্টির আলো-অাঁধার, ওকে রেসের মতো অভিজাত রেস্টুরেন্ট, জীবনানন্দ দাশ এবং তার মা কুসুমকুমারী দাশের স্মৃতিধন্য ব্রাহ্মসমাজের লাইব্রেরি, রামমোহন লাইব্রেরি, নর্থব্রুক হল লাইব্রেরি, পিঠাপুলি আর ঘুড়ি ওড়ানোর উৎসব, গোয়ালন্দ-অস্ট্রিচ – এসব তো আছেই, সবচেয়ে বড় যে-জিনিসটা আতিথ্য-সম্প্রীতি-ঔদার্যবোধে ভরা এদেশের মানুষের সেই মনটা, যা হারানোর ক্ষতি আর কোনোকিছু দিয়েই পুষিয়ে নেওয়া সম্ভব নয়। আজকের ঢাকা শহর অনেক প্রসারিত হয়েছে, অনেক বড় বড় দরদালান গড়ে উঠেছে, অবশ্যই বৈচিত্র্য এসেছে প্রাসাদের ডিজাইনে, সংযোজন হয়েছে আধুনিক নগরসভ্যতার সব উপাদান; কিন্তু মানুষের সেই অন্তঃপ্রস্রবিণী দিগন্তবিস্তারী হৃদয়টা কি আর আছে?

এই হারিয়ে যাওয়ার সুর শুনে কেউ যেন আবার ভেবে না বসেন, মীজানুর রহমানের ঢাকা পুরাণ শুধু ফেলে আসা স্মৃতির ধূসর বর্ণনা। মোটেও তা নয়, এটি রসের এক অফুরান ভান্ডার। পাতার পর পাতা যত মেলা যাবে, রসের ধারা উপচে উপচে এসে পড়বে। ‘মজারু কবিতার ফাঁদে’র অংশ থেকে একটু উদ্ধৃতি দিলেই বিষয়টি আরো পরিষ্কার হবে, ‘কার্টুন ছবি অাঁকার বাতিক ছিল আমার। নানা পত্রপত্রিকায় ছোটদের বিভাগে তা ডাকে পাঠাতুম। কেউ ছাপত, আবার ছাপতও না। কে যেন বললে ওষষঁংঃৎধঃবফ ডববশষু ড়ভ চধশরংঃধহ (অধুনালুপ্ত করাচির সাপ্তাহিক)-এ আমার কার্টুন ছেপেছে। কোনো স্টলেই সংখ্যাটি না পেয়ে পত্রিকার এজেন্টের খোঁজে ইসলামপুরের গলি-কানাগলি ঢুঁড়তে লেগেছি, আমপট্টির পাশের শ্রীহীন গলিতে দেখি, ততোধিক শ্রীহীন ললনা হাজারে বিজার! ওদের বসনের আলোড়ন আর ভীষণ ভূষণ হাফপ্যান্ট পরা স্কুল-পড়োর চোখকেও সেদিন মহা ধন্দে ফেলে দিয়েছিল। দুপুরের তোলবলে গা আমার আরো ঘেমে ওঠে, যখন দেখি মেয়েরা আমার দিকে তাকিয়ে যত না কথা বলে, হাসে তার চেয়ে বেশি। আর অকারণ এ-ওর গায়ে ঢলে পড়ে। আমাকে কাঠফাটা রোদে অমনভাবে দাঁড়াগোপাল হয়ে প্যাটপ্যাট করে তাকিয়ে থাকতে দেখে একজন এগিয়ে এসে বলে, ‘এইহানে কী কাম তোমার/ কারে চাও?’ ‘আপনারা বলতে পারেন, এখানে ইলাস্ট্রেটেড উইকলির আপিসটা কোথায়?’ হতচেতন আমার মুখ দিয়ে এটুকুই গড়াল। আমার জবাবে হাসার কী হলো, বুঝলাম না। ‘পুইচকা শয়তান কী কয় রে’ বলেই হাসির কর্কশ রোল। ওই বোলে আর রোলে আমি পালানোর পথ পাইনে।’

যেমন অসাধারণ মীজানুর রহমানের বলার ভঙ্গি, তেমনি অনন্যসাধারণ সেই চল্লিশ, পঞ্চাশ, ষাটের দশকের ঢাকার জীবনচারিতা, রসবোধ। যে-স্মৃতিচারণার শুরু ১৯৪৭ সাল থেকে, দেশ বিভাগের প্রেক্ষাপটে ১৫ আগস্ট পাকিস্তান নামের স্বাধীন রাষ্ট্রের সূচনাদিনে পরিবারের সঙ্গে ঢাকায় এসে বসত গড়েছিলেন লেখক। কলকাতা থেকেই নিয়ে এসেছিলেন শিল্পশোভিত ও সাংস্কৃতিক চর্চায় মোড়ানো একটা মন, তাই এদেশের শিল্প-সাহিত্য এবং প্রকাশনা জগতের সঙ্গে সম্পৃক্ত হতে সময় লাগেনি। প্রায় শৈশব থেকে তাকে পেয়েছি পত্রিকা প্রকাশের নেশা, মুয়াজ্জিন নামের দেয়ালপত্রিকা থেকে যার শুরু, পাকিস্তানের প্রথম কিশোর পত্রিকা ঝংকার, বিনোদন মাসিক রূপছায়া হয়ে মীজানুর রহমানের ত্রৈমাসিক পত্রিকায় যার সফল পরিণতি। স্বভাবতই তিনি ছিলেন লেখক এবং শিল্পী-পরিবেষ্টিত। ওদিকে আবার নবপ্রতিষ্ঠিত চারুকলা ইনস্টিটিউটে ভর্তি হয়েছিলেন, যদিও সমাপ্ত করেননি অধ্যয়নকাল। স্বভাবতই তৎকালীন সময়ের শিল্প-সাহিত্যের একটা ছবি উঠে আসার কথা, তা এসেছে, ভালোমতোই এসেছে, জয়নুল-কামরুল-জসিমউদ্দীন-মাহমুদুল হক, সৈয়দ মুহাম্মদ তাইফুর; কিন্তু সেসব ছাপিয়ে তৎকালীন সময়ের চিত্রটাই বাঙ্ময় হয়ে উঠেছে সার্থকভাবে। সে-কারণেই বইটি শেষ পর্যন্ত হয়ে উঠেছে মূল্যবান। শেষ পর্যন্ত এ শুধু ব্যক্তির ঢাকাবিষয়ক স্মৃতিচারণায় আবদ্ধ থাকেনি, হয়ে উঠেছে ’৪৭ সাল থেকে স্বাধীনতা-পরবর্তীকালে রাজধানী ঢাকার ক্রমবিকাশের ধারাবাহিক ইতিহাসের স্কেচও। যদিও ইতিহাসবিদদের মতো ছক মেপে গুরুগম্ভীর চালে এগোয়নি বর্ণনা, গল্পের ঢঙে বৈঠকি ভঙ্গিতে এক একটি টুকরো অধ্যায়ে পারম্পর্যহীনভাবে যেসব ঘটনা, তথ্য এবং বিষয় বর্ণিত হয়েছে, তার মধ্যে দিয়েই আবিষ্কার করা যাবে ঢাকার ক্রমবিকাশকে এবং তার ক্রমান্বয়ে হয়ে ওঠা। ১৯৪৭-পরবর্তী হিন্দু-মুসলমানের সমাজজীবন-সম্পর্কের ভেতর-বাহির, তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের প্রতি পশ্চিমাদের অবহেলা-নিপীড়ন, একুশে ফেব্রুয়ারির অনিবার্য বিস্ফার, ক্রমে  জনগণের চাপা অসন্তোষের প্রকাশ, একাত্তরের যুদ্ধের মধ্য দিয়ে একটি নতুন স্বাধীন রাষ্ট্রের পথচলা – গল্প ঢঙের আড্ডার মুখরতায় ধারাবাহিক একটি ছবি তুলে ধরেছে আমাদের সামনে। যদিও তা সম্পূর্ণ নয়, সেটা আশা করাটাও শোভনীয় নয়। কেননা, এটি ব্যক্তি মীজানুর রহমানের অন্তরঙ্গ স্মৃতিচারণা। সেই ব্যক্তিস্মৃতিচারণাও যে দেশের ইতিহাসের জন্য কতটুকু মূল্যবান হয়ে উঠতে পারে, প্রতিটি অধ্যায়েই তার পরিচয় মিলবে। উদাহরণ হিসেবে শুধু ‘বৃত্তাবদ্ধ যিশু : যোগেশচন্দ্র’ থেকে তুলে ধরছি সামান্য অংশ, ‘সারা ভারত ও বিশ্বজুড়ে যাঁর প্রতিষ্ঠানের শাখা-প্রশাখা, নাম-যশ-খ্যাতি, সেকালের নিরিখে যিনি কোটিপতি, ঢলকো মলিন হেঁটো ধুতি ও নিমে গায়ে পা দোলাতে দোলাতে ৪০ পাওয়ারের আলোয় বিনে চশমায় কুল্লে ১০-১২ জন প্রশাসনিক কর্মী বাহিনী নিয়ে রাজত্ব চালিয়ে যাচ্ছেন – এ ভাবতেও অবাক হতে হয়। কিন্তু এই যে পুঙ্খানুপুঙ্খ বর্ণনা দিলুম সাধনা ঔষধালয়ের কর্ণধার যোগেশচন্দ্র ঘোষের কর্মধারার, একজন সামান্য অধ্যাপক থেকে বিশাল এক কর্মযজ্ঞের কান্ডারি হওয়ার চাবিকাঠিটা কিন্তু ওখানেই লুকোনো। আপাতত মনে হতে পারে বিচ্ছু হাড় কেপ্পন, কিন্তু কথায় বলে – অ ংঃরঃপয রহঃরসব ংধাবং হরহব। ওঁর ১ সেন্টিমিটারের শক্তি যে মহাশক্তি, তা ওঁর কর্মকান্ডই সাক্ষ্য দেয়। কত লোকের অন্নসংস্থানের হেতু ছিলেন তিনি, অথচ তাঁর মৃত্যু হলো কত মর্মান্তিকভাবে, তিলে তিলে গড়ে তোলা ৭১ নম্বর দীননাথ সেন রোডে অবস্থিত তাঁর প্রতিষ্ঠানের এই ৪০ পাওয়ারের দপ্তরেই। ঢলে পড়েছিলেন ১৯৭১-এর ৪ এপ্রিল পাকসেনাদের গুলিতে। ওরা দেরি করেনি। ২৫ মার্চের নীল-নকশায় যোগেশচন্দ্র ঘোষের নাম ছিল, যেমন ছিল রণদাপ্রসাদ সাহার, পুত্রসহ যাকে ধরে নিয়ে গিয়ে পাক-সেনারা আর ফিরিয়ে দেয়নি।’

তবে মীজানুর রহমানের সেই ঢাকার অনেককিছুই হারিয়ে গেলেও কিছু জিনিস এখনো রয়ে গেছে এবং তা আরো বহুবিস্তৃত ধারায় প্রসারিত হয়েছে এবং আমরা যে আসলে কতটুকু উন্নত করেছি সে-প্রশ্নটার সামনে আমাদের মুখোমুখি করে দিয়েছে, এমন প্রসঙ্গও বর্ণনায় আছে। যেমন, ‘মজারু কবিতার ফাঁদে’ অধ্যায়ে আছে, ‘গন্ধে অন্ধ নারিন্দা যেন বিন্দু ইন্দুপম।’ লাখ কথার এক কথা। পাঠক, যে-গন্ধের কথা বলা হয়েছে, সে তো ঢাকা মিউনিসিপ্যালিটির মলভান্ডবাহিত গো-শকটের সৌরভ! হ্যাঁ, আমাদের কালে এ- ব্যাপারটা ছিল – বাড়ি বাড়ি থেকে বয়ে আনা ওই পদার্থের গন্ধে পুরো নারিন্দা অন্ধ হতো বইকি! আর  যে-রাস্তা ধরে গজেন্দ্রগমনে ক্যাঁচক্যাঁচ শব্দ তুলে গাড়িগুলো চলাফেরা করতো, চুইয়ে পড়া পুরীশলাঞ্ছিত সেসব রাস্তার পথচারীদের লাঞ্ছনার কথা একবার ভাবুন তো!’ কী আর ভাববো, আজ শুধু কি নারিন্দা? ঢাকা শহরের যে-কোনো প্রান্তেই হোক না কেন, ঘর থেকে বের হলেই তো এই অসহনীয় নির্যাতন সহ্য করতে হয়! রোডে রোডে ময়লা-আবর্জনার স্তূপ, সেইসঙ্গে মিউনিসিপ্যালিটির সেই ময়লার গাড়ির ঐতিহ্য তো রয়েছেই – যখনই বাচ্চাদের স্কুলে যাওয়ার সময় হয়, তখনই নেমে আসে ওইসব ময়লাবাহিত গাড়ি। আজ আর্বজনার স্তূপে স্তূপে ভরে যাচ্ছে বুড়িগঙ্গা। এমনকি ঢাকার আকাশ পর্যন্ত বিষিয়ে উঠেছে – রাতে তারা পর্যন্ত দেখা যায় না!

ঢাকা পুরান এক নিশ্বাসে পড়ার পর অভিভূত যেমন হয়েছি, আফসোসেও কম পুড়তে হয়নি। মাঝে মাঝেই ভাষায় এমন মোহনীয় ঐশ্বর্য, বর্ণনার এমন বৈদগ্ধ্যতা, অতি একটি সাধারণ বিষয়ও হয়ে উঠেছে প্রাসাদগুণে সুস্বাদু। লেখক-কবি জসীমউদ্দীনের কাছে একটি কবিতা চাইতে গিয়েছেন। পুচকে সম্পাদকের আহবানে সাড়া দিয়ে কবি তাঁর পুরো কবিতার খাতাটাই তুলে দিলেন মীজানুর রহমানের হাতে। তারপর তার কী দশা হলো, ‘ফুলবাড়িয়ার জসীমউদ্দীন’ অংশ থেকে তারই বর্ণনা, ‘কিন্তু মুশকিল হলো বাংলা বর্ণমালার অবয়ব সম্বন্ধে আমার তাৎক্ষণিক দ্বিধা ও দ্বন্দ্ব দেখা দিল। খাতার সাদা পৃষ্ঠায় শয়ান চরণ ও তার অক্ষরগুলো আলিঙ্গনাবস্থায় উচ্চ-নীচ ভেদাভেদ উপেক্ষা করে তরঙ্গায়িত চিত্তে যেমৎ কেলিমত্ত, তাতে করে অর্থোদ্ধার দূরে থাক, বৃন্দাবনে রাধাকৃষ্ণ ও গোপীগণের জলকেলি বিষয়ক ‘আধ্যাত্মিক’ জটিলতাই বৃদ্ধি করে। নিজের হস্তাক্ষর সম্পর্কে নিঃসন্দেহ হওয়ার চলতি প্রয়াসটি এভাবে ব্যর্থ হওয়ায় এবার জসীমউদ্দীন নিজেই এগিয়ে এলেন। বললেন, ‘বুঝেছি, পড়তে বোধ করি তোমার অসুবিধা হচ্ছে। তাহলে আমিই পড়ি। তুমি শোনো। যেটা ভালো লাগবে, বলবে।’ কবিতা দিয়েছিলেন বটে, সে-কবিতা ঝংকারে ছাপাও হয়েছে – কিন্তু তা নিয়ে যে বিষয় তালগোলে সব ব্যাপার ঘটে গিয়েছিল… তা মীজানুর রহমানের বর্ণনায় যারা পাঠ নেবেন না, তারা সত্যিই দুর্লভ রস গ্রহণের স্বাদ থেকে বঞ্চিত হবেন। কেন, তিনি আরো বেশি বেশি লিখলেন না? তাঁর বইয়ের সংখ্যা ঢাকা পুরান নিয়ে আর মাত্র দুটি – কলকাতা জীবনের স্মৃতি নিয়ে কমলালয় কলকাতা ও অন্যটি কৃষ্ণ ষোলই। তবে ধারণা করি, তিনি মীজানুর রহমানের ত্রৈমাসিক পত্রিকায় যেসব অতি সুস্বাদু ভাষায়, তথ্যসমৃদ্ধ সম্পাদকীয়গুলো লিখেছেন সেসবসহ আরো অনেক অগ্রন্থিত লেখা থেকে যেতে পারে – যেসব সংবদ্ধ হয়ে প্রকাশিত হলে পাঠকরাই লাভবান হবেন। কাইয়ুম চৌধুরীর দীর্ঘ চমৎকার একটি ভূমিকা এবং রফিকুন নবীর প্রচ্ছদ, এবং অলংকরণ, ঢাকার চারশো বছর উপলক্ষে প্রকাশিত প্রথমার এ-বইটির সৌকর্য ও সমৃদ্ধি দুটোই বাড়িয়েছে।