শিহাব সরকার
এই নিয়ে রাত দুপুরে গ্লাস-ভাঙা
কে কাকে মধ্যে রেখে না ঘুরে যায়
কী না ঘোরে, ঘোরে সবকিছু, আমি ও তুমি
মানুষ পতঙ্গ জন্তু জীব পাখি জলকণা,
ঘোরে গ্রহতারা, কবে থেকে কেন ঘোরে
আখড়ার উঠানে বসে বৃদ্ধ বাউল দিশাহারা।
দেখি সূর্য ঘোরে, পৃথিবী নিশ্চল
শনি মঙ্গল বুধ সমুদ্রে অস্ত যায় প্রতি সন্ধ্যায়,
অথচ মূলকথা পৃথিবী সূর্যের বলয়ে ঘোরে
তবু আজো কারো কারো খটকা
সূর্যই পৃথিবীর চারদিকে ভোর থেকে দিনান্তে
গ্যালিলিকে বনমানুষেরা তাড়িয়ে বেড়ায়
আমাদের অমল ও নীলার ছয় মাস
নতুন সংসার, মিনি-ফ্ল্যাট, বার্নিশে পেইন্টে ভুরভুর
কে কাকে মধ্যে রেখে ঘুরেছে,
এই নিয়ে রাতদুপুরে গ্লাস-ভাঙা, রক্তারক্তি
নৈঃশব্দ্যের বাজনায় নাচছে ব্যালেরিনা।
ভোরে শূন্য বিছানা। অমল পড়ে নীলার চিঠি।
সাধুর পদ্মাসনে তত্ত্বের বিদ্যুৎ
পাহাড়প্রান্তে বা ভাঙনের কিনারে।
পেছনে অমাবস্যায় অলীক জোনাকিরা
অশরীরীদের কানাকানি চাপা হাসি
এখনই সময় মূল তত্ত্ব রচনার।
পর্বতচূড়ায় বা অচেনা বন্দরে
জাহাজের ভেঁপু সমুদ্রসারস, প্রমোদভবনে
নারীর থাবায় অসহায় নাবিকেরা
এ-সময়ে জীবন নিয়ে আরো তত্ত্ব …
পথহাঁটুরে সাধুরা তাঁবুতে ধ্যানাসীন
ভুবন-ভাসানো জ্যোৎস্নায় সাদা বিড়াল,
রাত্রি গাঢ় হতে হতে পৃথিবী অন্য ভুবন,
সাধুর পদ্মাসনে তত্ত্বের বিদ্যুৎ।
এভাবে অনেক কবিতা এবং পদ্য
শুঁড়িখানার আঙিনায়ও কবিতার ফুল।
Leave a Reply
You must be logged in to post a comment.