দুটি কবিতা

আলোক সরকার

 

কাঁসর ঘণ্টা

 

পাহাড় থেকে নেমে আসছে।

ছায়া ওই পিছন দিকে

সর্বস্ব।

ওইবার বাঁপাশে, এবার

ডানদিকের হু-হু নিঃস্বতা।

পাহাড় থেকে নেমে আসছে।

অহিসাব, অর্ধহিসাব।

 

তোমার অনুপস্থিতির

হিসেবগুলো ক্রমান্বয় ক্রমক্রিয়

হয়েছে,

সংগৃহীত হয়েছে। যোগফল হয়নি।

 

যোগফল নিকটবর্তী মেঘের বুকে

হরিতবর্ণ, তাম্রবর্ণ

তাদের কোলাহল

চতুষ্পার্শ্বে

থমথম নিরতিশয়।

 

শোনো শোনো মেঘাঞ্জলির

অবতরণ, বার্তাবহ

সবকিছুরই যোগফল – নিঃস্বতার আগন্তুক।

 

বিশুদ্ধ প্রাসাদ –

ঘরে ঘরে

কাঁসর ঘণ্টা।

কাঁসর ঘণ্টা

বেজেই চলেছে বেজেই চলেছে।

অভূতপূর্ব

 

চিন্তাকে স্বাধীনতা দাও।

তা একটা অবস্থানে দাঁড়িয়ে

অন্য অবস্থানে স্বতঃস্ফূর্ত হয়।

নিমগাছ ঘন অরণ্য হল।

ঘন অরণ্য আদিম সূর্যসময়।

সেখানে হিংস্রতাও বাঁচার শপথে

ধন্য।

হওয়ার শপথে।

 

আজ সকালে

একটা পাখি

অবিতর্ক পরী হয়েছে –

পরী সৌভাগ্য গুনছে,

পরী সাদাগৃহ

হাওয়ার গৃহ করল।

সর্বাঙ্গ দিয়ে যথাযথ।

সর্বাঙ্গ দিয়ে পরিবর্ত।

যাকে পরম বলে আর কী!

আছে আছে – কল্পসম্ভব

অভূতপূর্ব।