দুটি কবিতা

আলতাফ হোসেন

 

দেড় আঙুলের বেলে মাছেরা
কলা রামনাথের দিনকি পুরিয়ার আবহে বসতে হলো। আজকের মতো সকালের যা যা করা দরকার শেষ করে গেছে। এ মেয়েটির কথা তপন বলেছে অন্তত দশবার। তার আগে বৃষ্টি হচ্ছিল। দ্যাখো, আমাকে অত কুয়াশা  দেখিয়ো না। এমনিতেই মেঘলা আকাশ। বাহ্, দারুণ তো! এই বুঝি নতুন রাগিণী? কিন্তু কথকের তো একবারের বেশি কোনো কিছু  শোনা, দেখা বা বলা বারণ। আর দেখলেই আবারও দেখতে ইচ্ছা হবে না বলো? বললেই আবার…। বেহালাটা এখন ওই যে শাদা মেঘের ওপর গিয়ে বসেছে। গাইতেও  থাকবে, তবে তারানা,  কেননা, কথায় পচন ধরতে বেশিক্ষণ লাগে না।
এবার ট্রেন ছুটতে শুরু করেছে। এখন তার দুপাশ দিয়ে ছুটতে শুরু করবে দেড় আঙুলের  বেলে মাছেরা।
দেখতে-দেখতে অমলের ঘুম পেয়ে যাবে।

রিলে রেস
আমাদের এখানে কোত্থেকে এক গালিভার এসেছে আজ। আর আমরা তো জানিই, লিলিপুট। এবার জমবে মজা। তিনজন লোক তাদের নিজের-নিজের কথা বলতে-বলতে যাচ্ছে রাস্তা দিয়ে। দেখতে-দেখতে পথ উঠে এলো চারতলার সমান্তরালে। ব্যালকনিতে বসে আছে একজন গায়ক। সে আজ বহুদিন গান গাইবার অপেক্ষায়।
পথঘাট কিছুই মানছে না। তুলোর শরীরে উড়তে শুরু করবে নাকি। এভাবে সাড়ে দশটার চা খাবার সময় এসে পড়ে। একটা টিভি চ্যানেলের সব কথা নাকি ফুরিয়ে গেছে। গানও, বাজনাও। কী আর করবে। মরে গেল।
করাত চালাচ্ছে কেউ। করাচিতে  বোমা। মরেছে ৩৮।  কাবুলে ১৩।
ধিক আমাদের।
রিলে রেস নাকি থামবে না।